সোজা কথা ডেস্ক রিপোর্ট : সোমবার সকালে চীনের আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ের ধনকুবের গণতন্ত্রপন্থী মিডিয়া মুঘল জিমি লাইসহ সাত ব্যক্তিকে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। চীনের অন্যতম কট্টর সমালোচক বলে তিনি পরিচিত। খবর বিবিসির।
জিমি লাইসহ অন্যদের গ্রেফতারের সর্বশেষ এই ঘটনা হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীদের বিরুদ্ধে চীনের দমন অভিযান হিসেবে দেখা হচ্ছে।
হংকংয়ে নিয়ন্ত্রণ পোক্ত করতে গত ১ জুলাই নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকর করে বেইজিং। গণতন্ত্রপন্থীরা আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন, হংকংবাসীর যে স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন অবশিষ্ট ছিল, সেটাও ধূলিসাৎ করবে আইনটি।
জিমি লাইয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মার্ক সাইমন বলেন, ‘স্থানীয় সময় সোমবার সকাল সাতটার লাইকে তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। আমাদের আইনজীবীরা পুলিশ স্টেশনে যাচ্ছেন।’
জিমি লাইয়ের মিডিয়া টীমের কয়েকজন সদস্যকেও আটক করা হয়েছে বলে জানান মার্ক সিমন।
এক বিবৃতিতে পুলিশ বলেছে, বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাতমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সাত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই সাত ব্যক্তির মধ্যে ৭২ বছর বয়সী জিমি লাই আছেন বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।
হংকংয়ে বহুল বিতর্কিত আইনটি কার্যকর হওয়ার আগে গত জুন মাসের মাঝামাঝি এএফপির সঙ্গে কথা বলেছিলেন জিমি লাই। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমি জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।’
নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনে বিচ্ছিন্নতাবাদ, কেন্দ্রীয় সরকারের পতন, সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাতমূলক যেকোনো কাজ শাস্তিমূলক অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ধরনের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
গত বছর হংকংয়ে সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সময় এতে সমর্থন জানিয়েছিলেন ৭১ বছর বয়সী ধনকেুবের ব্যবসায়ী জিমি লাই। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতেও তাকে অবৈধ আঁতাতের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।