কিছু দিন আগেও রোম এম্ব্যাসী ছিল একটি দালাল চক্রের জিম্মায়। মাচের পচন যেমন মাথা থেকে শুরু হয়, তেমনি রোম এম্ব্যাসীর পচন শুরু হয়েছিল মাথা থেকে। এমনটাই মনে করতেন রোমে অবস্থানরত প্রবাসী বাঙ্গালীরা। এখন চিত্রপট অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এম্ব্যাসীর অসাধু কর্মকর্তাদের লালিত দালালদের দৌরাত্বা কমেছে। হয়রানিবিহীন সেবা পেতে শুরু করেছে ইতালী প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধারা। আর এর সব কিছুই সম্ভব হয়েছে সুচিন্তিত ও সৎ নেতৃত্বে কর্মদক্ষতার গুণে। ইতালীতে বাঙ্গালী কমিউনিটিতে সমালোচিত রাষ্ট্রদূত সোবহান সিকদার সাহেব চলে যাওয়ার পর তার স্থলাভিষিক্ত হয়ে যিনি এসেছেন তার কর্মতৎপরতা মুগ্ধ সবাই। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তিনি মন জয় করতে শুরু করেছে আমাদের মত কট্রর সমালোচকদেরও। মাননীয় রাষ্ট্রদূত জনাব শামীম আহসান সাহেব রোম এম্ব্যাসীতে যোগ দেওয়ার পরপরই পাসপোর্টের জন্য এপয়েনমেন্ট পাওয়াটা এখন অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। কিছু দিন পূর্বেও যেখানে ২০/৫০ ইউরো খরচ করে এপয়েনমেন্ট নিতে হতো, সরকারি দলের লোক পরিচয় দিয়ে চলা কিছু নিদিষ্ট দালালদের মাধ্যমে তা এখন অনলাইনে ঘরে বসেই নেওয়া যাচ্ছে। যদিও সপ্তাহে একদিন শুধু মাত্র শুক্রবার এই সুযোগটি পেয়ে থাকেন প্রবাসীরা। তারপরও বলবো, মন্দের ভাল এবং আশা করবো, সময়ের সাথে সাথে এম্বাসীর ওয়েব সাইটটির পাসপোর্ট নতুন/রিনিউ করার জন্য এ্নমেন্টের অবশনটি ২৪ ঘন্টা খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হবে। ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশীরা দীর্ঘ দিন পাসপোর্ট জটিলতায় ভুগছিলেন। বার বার দূতাবাস বা কস্যুলেটের দারস্থ হয়েও তারা কোনো সমাধান পাচ্ছিলেন না। এ বিষয়ে ২/৩ বছর আগে ফিলল্যান্ড সফররত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও অবহিত করেন ইতালী আওয়ামী লীগের নেতা এম এ রব মিন্টু। ঐ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর তাৎক্ষণিক নির্দেশেও সমস্যার সমাধান হয়নি দালাল চক্রের দৌরাত্মের কারণে। বরং ইতালী ফিরে এম এ রব মিন্টু সাহেবকে পড়তে হয় দালাল চক্রের রোষানলে। ঝুলে থাকে কয়েক হাজার পাসপোর্ট। রাষ্ট্রদূত জনাব শামীম আহসান দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রবাসীদের পাসপোর্ট জটিলতার নিরসন করার উদ্দ্যোগ গ্রহন করেন। যার ফলশ্রুতিতে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় প্রবাসীদের পাসপোর্ট প্রদানের সহ অন্যান্য কার্যদিবসেও পাসপোর্টের কার্যক্রমে স্বাভাবিক গতি চলে আসে।
শামীম আহসান রাষ্ট্রদূত হিসাবে যোগ দেয়ার পর শতচেষ্টা করেও অনলাইনে এপয়েনমেন্ট সংগ্রহ করতে না পারার অভিযোগ গুলি কমতে শুরু করেছে। আজ ১২/০২/২১ তারিখে দূতাবাস থেকে ফেইসবুক পেজে লাইভ করার মাধ্যমে দেখানো হয়েছে কোন প্রক্রিয়ায় অনলাইন এ্যপয়েনমেন্টের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। যা অনলাইন এপয়েনমেন্টের কার্যক্রমের সচ্ছলতার প্রমান বহন করে। এখনো ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এর সদস্য পদ গ্রহন করতে না পারা হঠাৎ মৃতবরণ করা ব্যক্তির মরদেহ এম্বাসীর খরচে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা সহ রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান সাহেব ইতিপূরে নেয়া তার সকল প্রশংসনীয় উদ্দ্যোগ গুলি আরো মসৃণ করে ইতালীতে অবস্থানরত রেমিন্টেন্স সৈনিকদের মনের কোঠায় স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিবেন। সেই প্রত্যাশাই করছি। যেমনটি নিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন । আর যে সকল সম্মানিত রেমিটেন্স যোদ্ধা ভাই – বোনেরা এখনো ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এর সদস্য পদ গ্রহন করেনি তারা যত দ্রুত সম্ভব সম্ভবত ৪০ ইউরো ফি দিয়ে এই পদ গ্রহন করুন। http://www.bdembassyrome.it ওয়েব সাইট ভিজিট করে জেনে নিন, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এর সদস্য হলে আপনি কি কি সুবিধা পারেন।
– হাফিজুর রহমান মিতু অনলাইন এক্টিভিস্ট