বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে সন্দ্বীপের জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত ও উদ্বাস্তুদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। এই ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় সন্দ্বীপবাসীর না গল্প এতদিন অধরাই থেকে গেছে। ‘সন্দ্বীপে জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার মানুষের শত বছরের না বলা গল্প’ শিরোনামে মাঠ পর্যায়ে এক অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে (২৪, ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ইং)। জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে বাংলাদেশের সন্দ্বীপ উপজেলা এমন ভয়াবহ এক ভবিষ্যতের দিকে এগুচ্ছে; যা ইতোমধ্যে সন্দ্বীপবাসীর বাঁচামরার সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নীরব এই ঘাতক বিগত শত বছর ধরে সাড়ে ৮ লাখ সন্দ্বীপবাসিকে গৃহহারা করেছে। সন্দ্বীপের এক বিশাল জনগোষ্ঠীর গৃহহারা হয়েছেন ও বাস্তুভিটা হারিয়েছে।
কেবল সন্দ্বীপে নয়, বাংলাদেশে জলবায়ু উদ্বাস্তুর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে। উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯ টি জেলার কৃষিজীবি মানুষ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। প্রায় ৩-৪ কোটি মানুষ এই প্রত্যক্ষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। পরোক্ষভাবে দেশের জেলা শহরগুলো ও রাজধানীও এই জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থ নাগরিকের চাপে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জলবায়ু উদ্বাস্তুর শিকার হচ্ছে। নদ-নদী ও সাগর মাতৃক বাংলাদেশের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে ও এর বিরূপ প্রভাবে জলবায়ু উদ্বাস্তু হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে। সম্ভবতঃ এর দায় কেউ নিতে চাইবেন না।
বলা হচ্ছে যে, বিশ্বময় বায়ু উষ্ণুতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নানা দুর্যোগ বা অসহিষ্ণু পরিস্থিতির কারণে ভোক্তভুগী মানুষ যখন নিজেদের বাড়িঘর ও আবাদীভূমি ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করে, তখন এই ক্ষতিগ্রস্থ জনগণকে জলবায়ু উদ্বাস্তু বলা হয়।
কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ একদা সন্দ্বীপ সমগ্র বাংলাকে প্রতিনিধিত্ব করতো। ব্যবসা বাণিজ্য, যুদ্ধ – বিগ্রহ ও রাজনীতির মাঠ ছিল উল্লেখ করার মত সমৃদ্ধ। পঞ্চায়েত ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল এই সন্দ্বীপে। সন্দ্বীপ থেকে প্রাচীন কাল থেকে রপ্তানি হতো পুন্ডাল তেল, লবন, ধান-চাল, সুপারি- নারিকেল ও নারিকেল তেল ও জাহাজ তৈরীর কাঠ ইত্যাদি। এই রপ্তানিকে কেন্দ্র করে সন্দ্বীপের ভূরাজনীতি ও ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্রে পরিণত হয়। বেনিয়াদের কাছে লাভজনক অর্থকরী মোকাম হিসাবে পরিগণিত হয়েছিল সন্দ্বীপ।
সন্দ্বীপে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থ ও উদ্বাস্তুর সংখ্যা ধীরে ধীরে বেড়েই চলছে। পৃথিবীর উত্তর মেরুর জলবায়ুর উপর চাপ বাড়ছে। কোথাও স্বচ্ছ ও পরিষ্কার বায়ু নেই। বায়ু দূষণ হচ্ছে ব্যাপক হারে। শিল্প -কলকারখানার উত্তপ্ত কালো ধুঁয়া মিশে যাচ্ছে আকাশময়। ক্যামিকেল ও বর্জ্য আরো বিষিয়ে তুলছে জলবায়ুকে। জলবায়ু দূষিত হবার কারণে আগামী ২-৩ দশকের মধ্যে বাংলাদেশের আরো ২-৩ কোটি মানুষ নদী সিকস্তি ও পয়স্তির মাধ্যমে তাদের প্রিয় বাস্তুভিটা ছেড়ে দিতে বাধ্য হতে পারে। গ্রামীণ জীবন থেকে শহরে জীবনে পদার্পন করবে। এতে শহরের নাগরিক সুযোগ সুবিধার জন্য বাড়তি চাপ পড়বে।
এক হিসাবে দেখা গেছে যে, বিশ্বে ৪৫ জন মানুষের মধ্যে ১ জন জলবায়ুর শিকার হয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হচ্ছে। আমাদের দেশে এই হিসাবটা আরো ভয়াবহ হবে যে, মোট জনসংখ্যার ৮ ভাগের ১ ভাগ জনসংখ্যা জলবায়ুতে ক্ষতিগ্রস্ত ও উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে। ডাল – ভাত রোজগার করতে পারবে না অনেকে। অসহনীয় ও নীরব দুর্ভিক্ষের মধ্যে দিনাতিপাত করতে হবে। আয়- ব্যয়ের মধ্যে ফারাক তৈরী হবে। দেশের প্রায় ২০ শতাংশ জমি নদীগর্ভে সিকস্তি হবে বা নদীর পানির নীচে ডুবে যাবে বা লবনাক্ত পানি বেড়ে যাবে ও ব্যাপক ক্ষতি হবে ফসলের। জীবন যাত্রার মান ও জীববৈচিত্রের উপর চরম প্রতিক্রিয়া হবে ও বিলুপ্ত হবে।
প্রতি নিয়ত পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বাড়ছে , বায়ু দূষিত হচ্ছে । পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর বরফ গলে গিয়ে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোথাও অনাবৃষ্টি হচ্ছে, কোথাও অতিবৃষ্টি হচ্ছে , খরা-বন্যা হচ্ছে কোথাও, নদী ভাঙ্গন বেড়ে যাচ্ছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদির জেরে মানুষ জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিণত হচ্ছে। নিজেদের বাস্তুভিটা ত্যাগ করে শহরে বন্দরে আসছে জীবিকার তাগিদে, জীবন ধারণের জন্য ক্রয়-ক্ষমতা থাকে না , উদপাদন ব্যবস্থা থেকে ছিটকে পড়ছে ও অর্থ উপার্জনের উপায় না থাকার কারণে দেশ-দেশান্তরী হচ্ছে সন্দ্বীপের মানুষ। জলবায়ুতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে অদম্য পরিশ্রমে পড়াশুনা করেও পরিবারের খরচ মেটানোর মত চাকরি জোগাড় করতে না পারার কারণে কর্মী হিসাবে বিদেশ যাচ্ছে। আর এভাবেই দেশের ট্যাক্সের পয়সায় পড়াশুনা করা শিক্ষিত মেধাবী জনসংখ্যা পাচার হচ্ছে বিদেশে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, জলবায়ু উষ্ণতার কারণে উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর বরফ গলছে, তাহলে এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ ১ মিটার (৩.২৩ ফুট) সমুদ্রের পানি বৃদ্ধি পাবে। এর জেরে বাংলাদেশের ৩০ লাখ হেক্টর (৭৪.১৩ লাখ একর) কৃষি ও বসতভিটা প্লাবিত হতে পারে। সম্প্রতি সন্দ্বীপের সমুদ্র উপকূলের পানির পরিমাপ করে গবেষকরা জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার মত সন্দ্বীপ উপকূলে প্রতিবছর ১৪ মিলিমিটার করে সমুদ্রের পানি বাড়ছে। ফলে বাংলাদেশের সন্দ্বীপে বাস্তুচ্যুতির পরিমাণ বাড়বে।
তাছাড়াও বাংলাদেশের উজানের ৫৪ টি নদ-নদীর মধ্যে ৫৩ টি নদ-নদীর পানি প্রবাহে বাঁধ দেয়ার ফলে বর্ষা মৌসুমে অধিক পানি ও শীত মৌসুমে পানির স্বল্পতা উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। জীববৈচিত্রের উপর মারাত্মক প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে ও অনেক বনজ প্রাণী ও পাখির বিলুপ্ত হবার ঘটনা আমরা প্রায়শই পত্র-পার্টিকে দেখতে পাচ্ছি।
প্রায় শত বছর ধরে নদী সিকস্তি ও জলবায়ুর শিকার সন্দ্বীপের জনগণ বাস্তুহারা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ। এই সকল মানুষ মূল ভূখণ্ড সন্দ্বীপ ত্যাগ করে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সন্দ্বীপী পাড়া গড়ে উঠেছে। এক হিসাবে দেখা গেছে যে, সন্দ্বীপের প্রায় সাড়ে ৮ লাখ মানুষ বাস্তুভিটা ও গৃহহীন হয়েছেন। উপার্জন হারিয়েছেন। এক সময়ের স্বচ্ছল কৃষকও হয়ে যাচ্ছেন বেকার ও অস্বচ্ছল ।
পরিবেশ বিজ্ঞানীগণ বলছেন যে, নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রায় ৩-৪ কোটি মানুষ জলবায়ুর শিকার হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের দ্বারা নগরে বন্দরে ভীড় বাড়বে। সামাজিক পরিবেশ ও প্রতিবেশ অসহনীয় হয়ে উঠবে। আয় রোজগার করা কঠিন হয়ে পড়লে অপরাধ প্রবণতা বাড়বে। শিশু ও কিশোর-কিশোরী ও নারী ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধরা মৌলিক চাহিদা লাভে ব্যর্থ হবে ও মেয়েদের বাল্য বিবাহ বাড়বে।
ইতিমধ্যে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, দেশে অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, খরা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, নদী ভাঙা – উপকূলের বাড়িঘর ও জমিজমা তলিয়ে যাওয়া, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়া, দেশের নদ-নদী ও খাল-বিলের পানি প্রবাহ কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া কিংবা লবণাক্ততা বেড়ে গিয়ে ফসলের জমিতে সেচের পানির অভাব দেখা দেয়া, বৃষ্টিপাতের ধরণ পাল্টে যাওয়া, ভূগর্ভে পানির স্তর নিচে নামা, পানিতে আর্সোনিক বেড়ে যাওয়ার মত নানা কারণে মানুষ জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিনিত হচ্ছে। তীব্র জোয়ারের সময় বাতাসের গতি এবং জমির ক্ষয় আরো ১০ ভাগ বেড়ে যাচ্ছে। এখনই এই সব সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধান না করা গেলে সন্দ্বীপে ক্রমবর্ধমান হারে বিপুলসংখ্যক মানুষ জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিণত হচ্ছে। পাশ্চাত্যের উন্নত দেশগুলোর আয়েশী জীবন যাত্রার জন্য গ্রিন হাউস এফেক্টের জন্যই এই জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা এর ভুক্তভোগী হচ্ছি।
সন্দ্বীপের বাস্তুভিটাহারা এই জনসংখ্যাকে আশ্রয় ও বন্দোবস্ত দিতে হবে সন্দ্বীপের সীমানাভুক্ত জেগে উঠা চরগুলোতে। নিজেদের বাপদাদার বাস্তুভিটায় ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এই চরগুলোকে চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। খাজনা পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে। আধুনিক শহরের পরিকল্পনা করতে হবে। উপকূলে বেড়িবাঁধ তৈরী করতে হবে। (সন্দ্বীপের) ভাসানচরে ১৯ ফিট বেড়িবাঁধ তৈরী করা হয়েছে। অথচ সন্দ্বীপের চরগুলোতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। স্লাইকোন সেন্টারও নির্মাণ করা হয়নি। এখনো সন্দ্বীপকে নদী বন্দরও ঘোষণা করা হয়নি। ফলে স্লাইক্লোনের সময় বিশেষ আবহাওয়ার সময় সিগন্যালের বাইরে থাকছে ।
অনেকে বলছেন যে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও পরিবেশের অন্যান্য ঝুঁকি মোকাবিলায় দেশের উপকূলীয় এলাকায় বনায়ন এবং পরিবেশ সংরক্ষণ করা দরকার। আমার ধারণা যে, যদি সন্দ্বীপসহ উপকূলীয় এলাকায় অপরিকল্পিত বনায়ন করা হয়। তাহলে এই এলাকায় অধিক বৃষ্টি হবে। ফসলী জমি তলিয়ে যাবে। খাদ্যাভাব দেখা দিবে। বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য দায়ী শিল্পোন্নত দেশগুলি যদি তাদেরই সৃষ্ট গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ সময় মতো কমাতে না পারে। তা না হলে উপকূলীয় এলাকা ও সন্দ্বীপে জীবন যাত্রার মান ব্যাপক ভাবে নিম্নমুখী হবে ও এই এলাকায় জলবায়ু উদ্বাস্তু বেড়ে যাবে নিঃসন্দেহে।
বিশ্বব্যাংক বলছে যে, ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ৫৩ লাখ মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হবেন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়বে সরাসরি পানি ও জমি উপর। ফলে কাঙ্খিত ফসল ও খাদ্য উদ্পাদন না হওয়ায় ভীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। উপকূলীয় মানুষ হারাবেন বাসস্থান, বাড়বে পানীয় জলের সংকটও। দেশে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ক্ষতি ও ফসল হানি মোকাবিলার জন্য উপযুক্ত তহবিলের গঠিত হয় নাই। এই বিষয়ে দেশের সক্ষমতার ও ফলাফল সম্বন্ধে উপলব্ধির অভাব রয়েছে। বিশ্বব্যাংক আরো বলছে যে, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে ইতোমধ্যে সন্দ্বীপ সহ বাংলাদেশের উপকূলীয় ১৯টি জেলায় দারিদ্র্যতা ও সুবিধা বঞ্চিতদের হার ধীরে ধীরে বেড়ে চলছে।
শুধু বাংলাদেশ নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের নীতিবাচক প্রভাব পড়ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ ও ভয়াবহ প্রভাবে ২০৫০ সাল পর্যন্ত ব্যাপক আকার ধারণ করবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ৬ কোটিরও বেশি মানুষকে নিজেদের বাস্তুভিটা ছেড়ে জীবন ও জীবিকার তাগিদে শহরমুখী হতে হবে। গবাদি পশু ও জীববৈচিত্রের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
ভিটেবাড়ি ও কৃষি – আবাদি জমি ছেড়ে অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে শহরেও স্বচ্ছ ও সজীব বাতাসের অভাব পরিলক্ষিত হবে। রোগ- শোকে আক্রান্ত হয়ে তুলনামূলকভাবে স্বাস্থ্য সেবার উপর চাপ সৃষ্টি হবে। স্বচ্ছ ও সজীব বাতাসের অভাব নাগরিকের দুঃখ- দুর্দশা বেড়ে যাবে। লবণাক্ত পানির কারণে পানীয় জল ও শুকনা মৌসুমে চাষাবাদের জন্য পপানি সংকটে আছে। তার সঙ্গে পানির চরিত্রও পরিবর্তন হয়ে গেছে, বদলে গেছে পরিবেশ ও প্রাণ বৈচিত্র্য। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উপকূলীয় এলাকায় বন্যা, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও লবণাক্ততার এই দুর্ভোগ আরো বাড়বে। এই গুলো হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে।
এখনই আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো বিবেচনায় এনে ভবিষ্যত পরিকল্পনা করতে হবে। সন্দ্বীপে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্তদের না বলা গল্পকে বিবেচনায় নিতে হবে।
– শিব্বীর আহমেদ তালুকদার
এল এল -বি (অনার্স, ঢাඃ বিঃ) এম. এ., এম. এফ., এম. এম.
আইনজীবী, সমাজ সংগঠক, কথ্য ইতিহাস গবেষক ও লেখক
Mobile: 0044749 689 5501
Email: shibbir8@hotmail.com
https://www.facebook.com/shibbir8