আরিফুল হক (রোম) ইতালী থেকে: অনানুষ্ঠানিকভাবে ইতালী স্বীকার করেছে যে তারা কাগজে কলমে স্লোভেনিয়ার দিকে অভিবাসীদের ফিরিয়ে দিচ্ছে।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে এটি একটি অবৈধ প্রক্রিয়া এবং এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যা অভিবাসীদের শুধুমাত্র ইতালী নয় বরং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের করে পাঠিয়ে দিচ্ছে ক্রোয়েশিয়া হয়েবসনিয়া–হার্জেগোভিনায় । এ সম্পর্কে কোন লিখিত প্রমাণ, কোন চিহ্ন অথবা কোন কাগজপত্র নেই।
ভ্যানে করে ভূতের মত উধাও হয়ে যাওয়ার আগে অভিবাসীদেরদেখতে পাওয়া যায় ইতালীর ট্রিয়েস্টে স্টেশনে । এরপর তাদেরকে পুনরায় দেখতে পাওয়া যায় বসনিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্লকের সম্পূর্ণ বাইরে। যেখানে তারা প্রতিনিয়ত ক্রোয়েশিয়ার পুলিশ দ্বারা নৃশংস নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
ইতালীয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর লিগ্যাল স্টাডিজ অন ইমিগ্রেশন বলছে যে এই আইন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং স্লোভেনিয়ার আইনজীবীরাও এতে একমত।
কিন্তু ইতালীর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এতে একমত হয়নি। বরং এই প্রত্যাখ্যানকে “অনানুষ্ঠানিক পুনঃঅর্ন্তভূক্তিকরণ প্রক্রিয়া” হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে তারা যুক্তি প্রদান করে যে তারা যা করছে তা পুরোপুরি বৈধ।
আহমেদের কাহিনী: ২৪ ঘন্টায় ট্রিয়েস্টে স্টেশন থেকে বসনিয়া
২০ জুলাই পাকিস্তান থেকে আগত আহমেদকে পুলিশ ট্রিয়েস্টে স্টেশনের কাছে আরও দুই দল অভিবাসীর সাথে আটক করে।কয়েকদিন আগে তারা তাকে বসনিয়া ছেড়ে এসেছে।
সবাইকে একটি তাঁবুতে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাদের আঙ্গুলের ছাপ নেয়ার পর তাদেরকে একজন দোভাষীর সাথে কথা বলতে বলা হয়। আহমেদকে ইতালীতে রাজনৈতিকআশ্রয়ের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়।
কিন্তু বিকেল ৫টার মধ্যে তাকে একটি ভ্যানে করে স্লোভেনিয়ার কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেখানে তার আঙ্গুলেরছাপ আবার নেওয়া হয় এবং পরদিন সকালে তাকে ক্রোয়েশিয়ার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেদিন রাত ৮টায় তাকে ও অন্যান্যদের বসনিয়ার সীমান্তের কাছে ভেলিকাক্লাডুসা এলাকায় ফেলে রেখে আসা হয়।
আহমেদের কাহিনী পরে জানানো হয়, বসনিয়া এবংহার্জেগোভিনায় কর্মরত আই,এস,পি,আই,এ নামক একটি এনজিও –কে । তিনি ফিরে গেছেন– কিন্তু যাবার আগে, তিনি এবং অন্যান্যরা বসনিয়ার সীমান্তে কাছে ক্রোয়েশিয়ার পুলিশের হাতে নির্মম নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন। এমনকি তাদেরকে প্রহার করে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র (ব্যাকপ্যাক, টেলিফোন, জামা কাপড়, ইত্যাদি) ও কাগজপত্র ধ্বংস করে দেয়া হয়। একমাত্র দলিল ছিল ট্রিয়েস্টে সীমান্ত পুলিশের জারি করা এবং অভিবাসী প্রার্থীদের দ্বারা স্বাক্ষরিত তদের “পরিচয় ঘোষণা এবং একজন তদন্তকারী ব্যক্তির মাধ্যমে একজন আইনজ্ঞ নিয়োগের প্রতিবেদন“। এর মধ্যে ছিল অবৈধভাবে ইতালী প্রবেশের অভিযোগ। আহমেদ এই নথি-পত্র লুকিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছিল।
এই অভিযোগ দুটি বিষয় তুলে ধরে: প্রথমত ইতালীয় পুলিশ স্বীকার করেছে যে অভিবাসন প্রার্থীরা ইতালীতে প্রবেশকরেছিল। দ্বিতীয়ত পুনঃঅর্ন্তভূক্তিকরণ প্রক্রিয়ার গতি কাউকে এই অভিযোগ থেকে রেহাই দেয় না।
এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্রিয়েস্টে সীমান্ত কর্তৃপক্ষ ইউরোনিউজকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এব্যাপারে জানতে চাওয়ার জন্য বলে, যখন তাকে এই পদ্ধতি সম্পর্কে জিজ্ঞেসকরা হয়– যা এই বিষয়টির সংবেদনশীলতার আরো প্রমাণ বহন করে। তারা ফোনে ইউরোনিউজকে জানায়, এটি উঁচু পর্যায়ের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক বিষয়।
আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে আহমেদের আইনজীবীও তার সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি এবং তিনি আরও বিস্ময়প্রকাশ করেন ট্রিয়েস্টে স্টেশনে যেখানে তার অভিবাসন প্রার্থীতা “প্রত্যাখ্যান” করা হয়েছে, তিনি বলেন: “মনে হচ্ছে এটা কিছুটা দূরেই। “
তিনি আরো বলেন যে স্লোভেনিয়ায় কোন অভিবাসীর কাছ থেকে তিনি কোন ফোন পাননি। ট্রিয়েস্টে স্টেশনে অভিবাসীদের আশ্রয় খাদ্য ও অন্যান্য সুবিধাদি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান শ্যাডো লাইন অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা লোরেনা ফরনাসির বলেছেন, আহমেদের এই ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা সুরক্ষিত কাশ্মীরের অপ্রাপ্তবয়স্ক, আফগান বা পাকিস্তানী নাগরিকদেরসাথেও এ ধরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। তিনি আরও যোগ করেন: “ধরার পর, কেউ তাদের আর ট্র্যাক করছে না। এমনকি আমরা জানিও না তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে কিনা।“তারা ভূতের মত হাওয়ায় মিলিয়ে যায় তারপর তাদেরকে আবার দেখা যায় বসনিয়ায় যেখানে প্রত্যাখ্যান প্রক্রিয়ার সময় ক্রোয়েশিয়ার পুলিশ তাদের সাথে কি আচরণ করছে সেই ছবিতারা আমাকে পাঠায়। ”
এরপর তিনি গত সপ্তাহের একটি ঘটনার কথা স্মরণ করেনযেখানে তিনি ১৩ জন ছেলেকে স্লোভেনিয়ায় নিয়ে যেতে দেখেন।
তিনি বলেন “পুলিশের বাধার মুখে আমরা ছবি তুলতেপারিনি,”। “কিন্তু পুলিশ যখন তাদের আটকায় তখন আমরা তাদের মরিয়া আর্তনাদ শুনতে পাই। “
এই পদ্ধতির সমস্যাটি হচ্ছে এটি কোনও চিহ্ন রাখেনা
এই পদ্ধতি অভিবাসীদের আশ্রয় প্রার্থনার নিশ্চয়তা দেয় নাযার ফলে শরণার্থী হিসেবে তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে, যা তাদের শেষ পর্যন্ত এই দেশ থেকে বহিষ্কার হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।
কেবল তাইই নয়, অভিবাসীদের কোনো “আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই“ প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং একে চ্যালেঞ্জ করার কোনোসুযোগই দেয়া হয় না। তখন তাদেরকে সম্পূর্ণ পুলিশের দয়ার উপর নির্ভর করতে হয়।
শিয়াভোনে ডি আসগির মতে, পুরোটাই একটি ত্রটিপূর্ণপদ্ধতি। ইতালীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ১৯৯৬ সালে উত্থপিত চুক্তিটির বৈধতা সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করা হয় এবং সংসদে এটি কখনই অনুমোদিত হয়নি।
এটি শরণার্থীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় এবং ইউরোপে আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যাপারে এটি ডাবলিন চুক্তির সাথে সাংঘর্ষিক, যা এক রাষ্ট্র থেকে অন্য রাষ্ট্রের মধ্যে সীমান্ত ফেরত এড়াতে তৈরি করা হয়েছিল।
তবে ইতালীর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলছে যে তারা শরণার্থীদের আশ্রয় অধিকারের কোনও আইনই লঙ্ঘনকরেনি এবং দেশগুলির মধ্যে শরণার্থী প্রত্যাখিত হওয়ার ধারাবাহিকতার ঝুঁকির প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে স্লোভেনিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া ই,ইউ–র সদস্য এবং তাই তা নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়।
স্লোভেনীয়ার প্রশাসনিক আদালত, জুলাইয়ে ২৪ বছর বয়সী ক্যামেরুনের এক নাগরিককে শরণার্থী বিষয়ক আইনলঙ্ঘনের দায়ে সাজা প্রদান করে। পরে তাকে ক্রোয়েশিয়ায় ফেরত পাঠানো হয় এবং সেখান থেকে তাকে শেষ পর্যন্ত বসনিয়াতে স্থানান্তরিত করা হয়।
সাংবাদিক, এনজিও কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক এবং রাজনীতিবিদদের দ্বারা সংগ্রহ করা ক্রোয়েশিয়ান পুলিশের সহিংস আচরণের প্রচুর প্রমাণ রয়েছে। ক্যামেরুনিয়ানের ক্ষেত্রে এটি সুস্পষ্ট হলযে, এই প্রক্রিয়ার অনানুষ্ঠানিকতার অর্থ হল তিনি প্রয়োজনীয় আইনী সুরক্ষার দ্বারস্থ হতে পারছেন না।
২০০৬ সালে স্বাক্ষরিত একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে স্লোভেনিয়াও ইতালীর মত একই ভাবে এই “পুনঃপ্রবেশ“পদ্ধতিকে সমর্থন করেছে। যাই হোক স্লোভেনীয়ার জাস্টিস ফর পীস ডিপার্টপেন্ট, যারা ক্যামেরুনের নাগরিকের বিচারপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছিল, তারা ইঙ্গিত দেয় যে এই চুক্তি “ইউরোপীয় আইনী আদেশের পরিপন্থী“।
রিপোর্টে লেখা হয়েছে, আজকে ইউরোপে যেসব অভিবাসী প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে তাদের বেশীরভাগই একই ধরনের দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে যৌক্তিক বলে বিবেচিত হচ্ছে – যার সবগুলোকেই আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে। স্লোভেনিয়ার মানবাধিকার রক্ষার আইনী সংস্থাও(পিআই,সি) ইতালীর এ,এস,জি,আই-এর আইনজীবীদের সাথে একমত। “
পি,আই,সি–র পরিচালক ক্যাটরিনা বারভার স্টার্নাদ ইউরোনিউজকে বলেন “এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যা ইউরোপীয় আইন মেনে চলে না। কেন বা কোথায় অভিবাসীদের রিপোর্ট করা হয়েছে সে বিষয়ে কোন লিখিত সিদ্ধান্ত নেই, কোন প্রক্রিয়াগত নিশ্চয়তা নেই এবং অভিবাসীদের আইনগতভাবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল করাও সম্ভব নয়। “
স্লোভেনিয়া এবং ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী, অপ্রাপ্তবয়স্কদেরও এতে বাদ দেওয়া হয় না। প্রটোকল অনুযায়ী সোশ্যাল সার্ভিসকে অবহিত করলে স্লোভেনিয়ার পুলিশকে এধরণের কাজ করার অনুমোদন দেওয়া হয় না। ”
স্লোভেনিয়া পুলিশের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইতালীয়ান কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৮ সালে ১৫৮টি অভিবাসী এবং ২০১৯ সালে আরো ১৪৭টি অভিবাসী পারাপারের রিপোর্ট করা হয়েছে। তাদের প্রায় সবাইকে ক্রোয়েশিয়ার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ২০২০ সালের প্রথম ছয় মাসে, ইতালী থেকে স্লোভেনিয়ায় “পুনঃঅর্ন্তভূক্তিকরণ প্রক্রিয়ায়” ফেরত পাঠানোর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৯১ জন।
ইউরোপীয় কমিশন এবং ইউএনএইচসিআর এর ব্যাখ্যা
এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইউরোপীয় কমিশনের একজন মুখপাত্র ইউরোনিউজকে জানান যে, অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে ইইউ–এর নির্দেশিকা অনুযায়ী– সদস্য রাষ্ট্রগুলো সেই বছরের আগে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আইন প্রয়োগ করছে।
এ,এস,জি,আই উল্লেখ করেছে যে যদিও এই পুনঃঅর্ন্তভূক্তিকরণ প্রক্রিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতীয় আইন উভয় দ্বারা স্বীকৃত, তথাপিও তারা কখনই সাধারণ শরণার্থীদের আইনী ব্যবস্থা ও মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনকরতে পারে না। এ,এস,জি,আই এক বিবৃতিতে লিখেছে, “যদি কোনো বিদেশী নাগরিক এই দেশে আশ্রয় গ্রহণ বা আন্তর্জাতিক সুরক্ষা প্রাপ্তির শর্তগুলির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে তাহলে কোনও দেশই তাকে ফিরিয়ে দিতে পারবে না এবং এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না।
এই বিষয়ে ইইউ কমিশন উল্লেখ করেছে যে ইউরোপীয় এসাইলাম রেগুলেশনে আশ্রয় প্রার্থীদের প্রতিবেশী সদস্য রাষ্ট্রে স্থানান্তরের অনুমতি নেই, যদিও তারা সেখান থেকে আসে। ব্রাসেলসের এক মুখপাত্র বলেন, “যদি সদস্য রাষ্ট্র অন্য সদস্য রাষ্ট্রকে কোনও শরণার্থীর এসাইলাম আবেদনের জন্য দায়ী বিবেচনা করে, তাহলে আবেদনকারীকে স্থানান্তরের আগে প্রবিধানের পদ্ধতি মেনে তা করতে হবে। “
বছরের পর বছর ধরে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত সকল সদস্য রাষ্ট্রের জন্য প্রত্যাখ্যান না করাকে বাধ্যতামূলকনীতি করতে হস্তক্ষেপ করেছে। শিয়াভোনে দি আসগি জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ইউএনএইচসিআর–এর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তত একজন কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে ট্রিয়েস্টে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে।
ইতালির ইউএনএইচসিআর কর্মীরা ইউরোনিউজকে জানিয়েছে যে স্লোভেনিয়ায় পাঠানো লোকের সংখ্যা গতবছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউএনএইচসিআর–এর নোটে বলা হয়েছে, “প্রতিটি রাষ্ট্রের তার সীমানা নিয়ন্ত্রণ এবং জনগণের অনিয়মিত প্রবেশ রোধ করার অধিকার আছে, কিন্তু একই সাথে একে অবশ্যই অতিরিক্ত বা অসমানুপাতিক বল প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সুশৃঙ্খল পদ্ধতিতে এসাইলামের আবেদনের দায়িত্ব নেওয়ার ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে হবে। “
*পরিচয় গোপন রাখার জন্য আহমেদের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে
সূত্র: ইউরোনিউজ