ছবির লোকটি মো: শাহনেওয়াজ চৌধুরী। তিনি একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাকে ফেসবুকে বাঁশখালীর কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার অপরাধে গত শুক্রবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি ফেসবুকে কী লিখেছিলেন? তিনি লিখেছিলেন, “টুয়েল্ভ মার্ডারের (১২ খুনের) পরিবেশ বিধ্বংসী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে বাঁশখালীর মানুষ মনে করেছিল, গন্ডামারা ইউনিয়ন উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। আজ দেশের মানুষ প্রকৃতপক্ষে দেখতে পাচ্ছে, গণ্ডামারাবাসী জোয়ারের পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। বাঁশখালীর তরুণ ও যুবসমাজকে সাহসী লেখনীর মাধ্যমে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং উন্নয়নের পক্ষে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে নির্ভয়ে।” এই লেখার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তারে বোঝা যাচ্ছে, দেশে মত প্রকাশের অধিকার কোন তলানীতে এসে ঠেকেছে। এখন সংবিধানের ৩৯ ধারার (১) “চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হইল” কথাটি অর্থহীন। এখন গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা- এ সব কথা ও ধারাগুলো সংবিধান থেকে বাদ দিয়ে দিলে সরকারকে আর প্রতিনিয়ত সংবিধান লঙ্ঘনের অপরাধে অভিযুক্ত হতে হয় না। স্বাধীনতার আগে ও পরে যত স্বৈরশাসক ছিল কারা কেউই এত নির্দয় ছিল না।
– রফিউর রাব্বি, সাংস্কৃতিক ও সমাজকর্মী, নারায়ণগঞ্জ
ফেইসবুক পোস্ট ১ লা জুন ২০২১