গুলশানে অগ্নিকাণ্ডের সময় দৈনিক কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক জহিরুল ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আইন শৃংঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য কর্তৃক নির্যাতন ও নানাভাবে নাজেহাল ও বাধা দেওয়ার ঘটনায় মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সরাসরি সম্প্রচারকালে দৈনিক কালের কণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার জহিরুল ইসলাম গুলশান থানার এসআই পদমর্যাদা এক পুলিশ কর্মকর্তার হামলার শিকার হন। এ সময় তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়, নানাভাবে লাঞ্চিত করা ছাড়াও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া হয় ও বেপরোয়া পুলিশ কর্মকর্তাটি তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। গণমাধ্যমে আরো জানা যায়, ঘটনার সময় গুলশান এলাকার একটি ফাঁড়িতে কর্মরত (ইনচার্জ) উক্ত পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক আরো কয়েকজন সাংবাদিক মারপিটের শিকার হন।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) মনে করে, একজন সাংবাদিককের ওপরে যে আচরণ করা হয়েছে তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক, অন্যায় ও অনভিপ্রেত। সরকারের নীতি যেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সেখানে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যদের এহেন আচরণ প্রমাণ করে যে, এদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও তথ্য পাওয়ার অধিকারের ক্ষেত্রে বিরাট প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। যা গণতন্ত্র ও অবাধ মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি স্বরূপ। জাতিসঙ্ঘ রচিত মানবাধিকার সনদে মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, যেকোনো উপায়ে সব ধরনের তথ্য ও চিন্তা খোঁজার, গ্রহণ ও প্রদান করার অধিকারই হল বাকস্বাধীনতা। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের এই নির্যাতন ও বাধা দান করা নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে যা অবশ্যই অগ্রহনযোগ্য। এম এস এফ বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনায় নিয়ে সুষ্ঠূ তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছে।
– প্রেস রিলিজ