সোজা কথা ডেস্ক: ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল ছিল পাতানো, এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক অরবিন্দ ডি সিলভাকে মঙ্গলবার তলব করেছিল লঙ্কান পুলিশ। ছয় ঘণ্টা ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার আগে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী মাহিন্দানাদা আলুথগামাগেকেও
মঙ্গলবার কলম্বোতে দুর্নীতি দমন ইউনিটের সুপারিন্টেন্ডেন্ট জগথ ফনসেকা স্থানীয় গণমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘আজ আমরা ম্যাচ পাতানোর অভিযোগের (২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল) তদন্ত শুরু করেছি।’
শ্রীলঙ্কার ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ও সাবেক অধিনায়ক ডি সিলভা ২০১১ বিশ্বকাপের সময়ে দলটির প্রধান নির্বাচকের ভূমিকায় ছিলেন।
ওই আসরের ফাইনালে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে লঙ্কানরা আগে ব্যাট করে ছুঁড়ে দিয়েছিল ২৭৫ রানের লক্ষ্য। জবাবে গৌতম গম্ভীর ও মহেন্দ্র সিং ধোনির দারুণ দুটি ইনিংসে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছিল ভারত। ওপেনার গম্ভীর খেলেছিলেন ৯৭ রানের ইনিংস। অধিনায়ক ধোনির ব্যাট থেকে এসেছিল অপরাজিত ৯১ রান।
‘অরবিন্দ ডি সিলভা যে বিবৃতি দিয়েছেন তার ভিত্তিতে আমরা ২০১১ সালের স্কোয়াডের অন্যতম খেলোয়াড় উপুল থারাঙ্গাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আগামীকাল (বুধবার) তলব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,’ জানান ফনসেকা।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৫৪ বছর বয়সী ডি সিলভা কোনো বিবৃতি দিতে রাজি হননি। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ছয় ঘণ্টা ধরে অন্তত তিনজন গোয়েন্দার বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে তাকে।
জুনের শুরুতে শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রীড়া মন্ত্রী মাহিন্দানান্দা অতুলগামাগে অভিযোগ তোলেন, ‘২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।’ পরবর্তীতে অবশ্য সুর নমনীয় করে কেবল সন্দেহের কথা জানান তিনি।পরবর্তীতে এর বিরোধীতা করেন সাবেক লঙ্কান গ্রেট কুমারা সাঙ্গাকারা এবং মাহেলা জয়াবর্ধনে।
ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ম্যাচ পাতানো নিয়ে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। বর্তমান ক্রীড়া মন্ত্রী দুল্লাস আলাহাপ্পেরুমা তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রতি দুই সপ্তাহ অন্তর প্রতিবেদনও চেয়েছেন।
পরবর্তীতে অতুলগামাগে জানিয়েছিলেন, ক্রিকেটার নয় বরং ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এছাড়াও ফাইনালের আগে খেলোয়াড় পরিবর্তনের কথাও তোলেন সাবেক এই ক্রীড়া মন্ত্রী।
এরপরে অরবিন্দ ডি সিলভা আইসিসি, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আবেদন করেন এই অভিযোগের যথার্থ তদন্ত করার জন্য।