আমি টুকটাক ছবি তুলি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন ফটোগ্রাফির উপর একটি ডিপ্লোমা কোর্স করেছিলাম। তাই ফটোগ্রাফি এবং ক্যামেরা নিয়ে কিছু প্রাথমিক ধারণা আছে। তখন ধারণা ছিলো DSLR ক্যামেরা নিয়ে, আর এখন মোবাইল ফোনের ক্যামেরায়ও কিঞ্চিৎ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। সেই সুবাদে ক্যামেরা কোনটা নেওয়া উচিত- অনেকেই জানতে চান। তার উত্তর হিসেবে স্বল্প জ্ঞানে এই লেখার অবতারণা।
ছবি কে না তোলে?
কোনও একটা বিশেষ মুহুর্ত ফ্রেমবন্দী করতে সবাই চায়। কত সুন্দর মুহুর্ত, সে প্রিয়জনের সাথে হোক বা ভ্রমণ স্মৃতি, থেকে যাবে অ্যালবামে। এখন ছবি যদিও অ্যালবামে থাকে না খুব একটা, ডিজিটাল যুগে ভরসা ফোন মেমোরি কার্ড বা পিসি/ল্যাপটপ এর হার্ড ডিস্ক। আর ছবি তোলার ঝক্কিতো নেই বললেই চলে। হাতের কাছে মোবাইলতো আছেই। আর একটু ভালো ছবি তোলার জন্য চাহিদা অনুযায়ী পয়েন্ট অ্যান্ড শুট বা DSLR মোটামুটি সাধ্যের মধ্যেই। ফলত প্রচুর ছবি উঠলেও ভালো ছবির সংখ্যা হাতে গোনা। ডিজিটাল মাধ্যম সুবিধা দিয়েছে ঠিকই কিন্তু ছবির উপর দরদ গেছে কমে। অনেকটা অর্থনীতির সেই ‘যোগান বাড়লে মূল্য কমা’র মত।
যাই হোক আমরা যে সব ছবি সব থেকে বেশী দেখি সেটা হল মূলত ট্রাভেল ফটো। এটাই সর্বাপেক্ষা বেশি তার কারণ আমরা সবাই কম বেশী ঘুরতে যাই আর সেই মুহূর্তগুলো ফ্রেমবন্দী করি। আর তার জন্যই দরকার একটি ক্যামেরা। আর এখানেই প্রশ্ন- কোন ক্যামেরা নেব?
দোকানে গেলে দেখা যায় ক্রেতা- বিক্রেতা মোবাইল, পয়েন্ট অ্যান্ড শুট বা DSLR এর ‘মেগাপিক্সেল কত’ তাই নিয়ে বিস্তর আলোচনা করছে। এখানে বলে রাখি মেগাপিক্সেল বেশি হলে ক্যামেরায় ছবি ভালো উঠবে এটা সম্পূর্ণ ঠিক নয়। ক্যামেরা কত ভালো সেটা নির্ভর করে ক্যামেরার সেন্সরের উপর। আর সেই কারণেই সেন্সরের মাপ বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে দামও বাড়ে। অ্যানালগ ক্যামেরায় যেটা ছিল ফিল্ম, সেটাই ডিজিটালে সেন্সর। যারা এই ব্যাপারটি জানেন না তাদের উদ্দেশ্যে এটি নিয়ে আলোচনা করছি। কারণ অনেক মানুষ এই ব্যাপারটি নিয়ে ওয়াকিবহাল না থাকার কারণে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না কোন ক্যামেরা নেবেন।
ছবি কি?
বিভিন্ন রঙের বিভিন্ন বিন্দু থেকে প্রতিফলিত আলোকরশ্মির সমষ্ঠি যা লেন্সের মধ্যে দিয়ে এসে সেন্সরে পৌঁছায়। সেন্সরে থাকে অসংখ্য আলোক সংবেনশীল বিন্দু যেগুলো আমরা pixel নামে চিনি। আপনার ক্যামেরা যদি 10 megapixel হয়, তার মানে 100 লক্ষ পিক্সেল আপনার ক্যামেরার সেন্সরে আছে। এই প্রতিটি পিক্সেলের কাজ হল লেন্সের মধ্যে দিয়ে আসা প্রতিফলিত আলোক বিন্দুকে রেকর্ড করে প্রসেসরে পাঠানো।
আর এখানেই শুরু হয় সমস্যা। মনে করুন, আপনি এমন একটা ক্যামেরা কিনেছেন যেটার সেন্সরের মাপ বেশ ছোট কিন্তু তাতে megapixel বেশী আছে। আপনি সেই ক্যামেরায় সী বীচে সূর্যাস্তের আছড়ে পড়ার নয়নাভিরাম দৃশ্যের ছবি তুলছেন। আপনি মুগ্ধ হয়ে ছবি তুলে ফেললেন। কিন্তু দেখা গেল আপনার দেখা আর ছবির মধ্যে বেশ ফারাক। কোথায় সেই রঙের খেলা?
আসল গল্পটা হলো ওই ছোট সেন্সর আর অসংখ্য মেগাপিক্সেলের। ব্যাপারটা অনেকটা চার জনের সিটে দশ জনকে বসিয়ে রাখার মত।
প্রতিটি পিক্সেলের পারস্পরিক দূরত্ব অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যার থেকে। এক একটি পিক্সেল এক একটি রঙের আলোকবিন্ধুর প্রতিফলন রেকর্ড করে। এক একটি রঙের এক এক রকম প্রাবল্য। সুতরাং দুটি রঙের পিক্সেল যদি একে অপরের ঘাড়ের উপর উঠে যায়, ব্যাপারটা কি ঘটবে সহজেই অনুমেয়। কিন্তু উপরোক্ত উদাহরণের ক্ষেত্রে যদি সেন্সর বড় হতো বা মেগাপিক্সেল সংখ্যায় কম হতো তা হলে ছবিটা অনেক ভালো আসতো, নিখুঁত হতো।
আমার সীমিত জ্ঞানে আশা করি এটুকু বোঝাতে পেরেছি যে ক্যামেরা কেনার ক্ষেত্রে প্রথম শর্ত কোনটা। যারা শুধু ঘুরতে গিয়ে ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জন্য ক্যামেরা কেনেন তাদের অবশ্য এত কিছু ভাবার দরকার নেই। একটি ভালো মোবাইল বা ভালো point and shoot ক্যামেরাতেই তাদের দারুন কাজ চলে যাবে, আর বিভিন্ন জায়গায় ক্যারি করাও অনেক সুবিধাজনক হবে। কিন্তু যারা কিছু হলেও ফটোগ্রাফি নিয়ে ভাবেন বা শখ রয়েছে এই নিয়ে চর্চা করার তারা অবশ্যই এইগুলো মাথায় রাখবেন আর চেষ্টা করবেন DSLR নেওয়ার। ফুল ফ্রেম বা ক্রপ সেন্সর, পকেটের জোর বুঝে পছন্দ মত নিয়ে নিন। সেন্সরের সাইজের জন্য ফুল ফ্রেমের দাম অনেক বেশী। বাজারে মিরর লেস ক্যামেরাও এসে গেছে।
আশা করি সেন্সর আর মেগাপিক্সেলের গুরুত্ব বোঝাতে পেরেছি। একটা ছোট্ট উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটা শেষ করি। আমি যে ফোন ব্যবহার করি তার ক্যামেরার মেগাপিক্সেল 18, পয়েন্ট অ্যান্ড শুট ক্যামেরা গুলোর মেগাপিক্সেল কম বেশি 20 মেগাপিক্সেল মত হয়ে থাকে আর সবে মাত্র বাজারে আসা Nikon Z6 ii মিররলেস ফুল ফ্রেম ক্যামেরার মেগাপিক্স 24.5.
এই বার আসি সেন্সরের মাপ নিয়ে। ছবিতে সেন্সরের মাপের একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছিঃ- DSLR এ সেন্সরের মাপ দুই রকমের হয়। ফুল ফ্রেম আর হল ক্রপ সেন্সর, নিকনের ক্ষেত্রে FX আর DX, ক্যাননের Full Frame আর APS-C যথাক্রমে।
অ্যানালগ ক্যামেরার সময় 35mm ফিল্মের মাপ হতো 36mm×24mm, যার কর্ণের মাপ √(36×36 + 24×24) = 43.27mm। এই মাপের সেন্সরই থাকে সমস্ত ফুল ফ্রেম DSLR এ আর সঙ্গে থাকে সেইরকম ক্ষমতাশালী প্রসেসর। বুঝতেই পারছেন কেন এই ক্যামেরার এতো দাম!
এই বার আসি ক্রপ সেন্সরে। Nikon এর ক্ষেত্রে(DX) মাপ হল 23.6mmx16.6mm, আর কর্ণের মাপ 28.29mm। Canon এর ক্ষেত্রে(APS-C) মাপ হল 22.2mm x 14.8mm যার কর্ণ 26.68mm।
[ বিভিন্ন মাপের যে সেন্সর গুলি থাকে সে মোবাইল হোক বা পয়েন্ট অ্যান্ড শুট ( 1″, 1/2, 1/3, 2/3 etc.), সবই ওই কর্ণের মাপ।] *(1″ = 25.4mm)
এবার প্রশ্ন আসতেই পারে এতো মাপ জেনে কি করবো? বলছি,
মনে করুন আপনার কাছে একটা 20mm ফোকাল লেন্থের একটি লেন্স আছে। এখানে বলে রাখি, যে লেন্সের ফোকাল লেন্থ যত কম তা দিয়ে তত বেশি জায়গা দেখা যায়, আর ফোকাল লেন্থ বাড়লে জায়গা কমবে। সোজা হিসাব।
এখন এই 20mm লেন্স যদি একটা ফুল ফ্রেম ক্যামেরায় লাগানো হয়, তাতে যতোটা দেখবেন, ক্রপ সেন্সর ক্যামেরাতেও কি তাই দেখবেন? মোটেও না, অনেকটা কম দেখবেন। তার কারণ ওই সেন্সরের মাপ। একে বলে ক্রপ ফ্যাক্টর। এই ক্রপ ফ্যাক্টর Nikon এর ক্ষেত্রে (43.27/28.39) = 1.5 আর Canon এর ক্ষেত্রে ( 43.27/26.68)=1.6। সুতরাং এই 20mm লেন্স যদি Nikon এর ক্রপ সেন্সরে লাগানো হয় তা হবে (20mm × 1.5)= 30mm এর সমান আর Canon এ হবে (20mm × 1.6)= 32mm এর সমান। ক্রপ সেন্সর যারা ব্যবহার করেন, তাদের লেন্স বাছাই করার সময় এই ব্যাপারটা মাথায় রাখা দরকার।
আর একটা কথা বলে সেন্সরের গল্পের ইতি টানবো। সেন্সর দুটো টেকনোলজিতে বানানো হয়, CCD আর CMOS। কিন্তু এই নিয়ে ভাবতে যাবেন না। শুধু এটুকু জেনে রাখুন CMOS সেন্সরের ফটো ক্যাপচার করার ক্ষমতা অনেক বেশি আর বর্তমানে অধিকাংশ DSLR সেন্সর CMOS ই হয়।
এইবার আসি DSLR আর মিররলেস নিয়ে। এটা যাকে বলে একেবারে পাবলিক ডিমান্ড, অগত্যা নো ছাড়। তবে যারা নতুন তাদের কথা মাথায় রেখেই একটু সহজ করে বলার চেষ্টা করবো।
অনেকেই জানতে চান, ফুল ফ্রেম আর মিররলেস নিয়ে। মিররলেস একটা অ্যাডভান্স টেকনোলজি তার সাথে ক্যামেরার সেন্সরের মাপের কোনও সম্পর্ক নেই। সেটা ফুল বা ক্রপ দুটোই হতে পারে।
যাই হোক, ছবির গুণগত মানের কোনও পার্থক্য হয় না একটা ভালো DSLR ও মিররলেসের মধ্যে, ওটা নির্ভর করে ফটোগ্রাফারের উপর। এইবার ক্যামেরা দুটির মেকানিজমটা একটু বলি।
DSLR ক্যামেরায় একটা মিরর থাকে। আলো লেন্সের মধ্যে দিয়ে এসে মিররে প্রতিফলিত হয়ে ক্যামেরার উপর দিকে থাকা পেন্টাপ্রিজমের (এটি একটি পাঁচ কোনা প্রিজম) মধ্যে দিয়ে ভিউ ফাউন্ডার এসে পড়ে। এর ফলে লেন্স ঠিক যা দেখে সেই ছবিই দেখতে পাই। এই ভিউ ফাইন্ডারকে অপটিক্যাল ভিউ ফাইন্ডার বলে (OVF)। যেই আমরা ছবি তোলার জন্য shutter ক্লিক করি মিরর উপর দিকে ওঠে আর আলো সোজা এসে সেন্সরে পড়ে। এই জন্যই শাটার ক্লিক করলেই আমাদের ভিউ ফাইন্ডার ব্ল্যাক আউট হয়ে যায়।
মিররলেসের ক্ষেত্রে এই মিরর টাই থাকে না। আলো লেন্সের মধ্যে দিয়ে এসে সোজা সেন্সরে পড়ে আর ইলেকট্রনিক্যালি ভিউ ফাইন্ডারে ছবি দেখতে পাওয়া যায়। এটিকে তাই ইলেকট্রনিক ভিউ ফাইন্ডার (EVF) বলা হয়। এই মিরর আর পেন্টাপ্রিজম না থাকার কারণে মিররলেস আকারে এতো ছোট আর হালকা হয়। এই ছোট আকারের জন্যই মিররলেসের ব্যাটারী একটু ছোট হয় আর EVF থাকার জন্য চার্জও খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়। একটা DSLR ক্যামেরায় সেখানে সারাদিন একটা ব্যাটারীতেই অনায়াসে কাজ চালানো যায়। তবে ইতিমধ্যেই অনেক মিররলেসে ব্যাটারী লাইফ আরও ভালো করা হয়েছে আর Nikon তার সদ্য রিলিজ করা মিররলেসে একসাথে দুটো ব্যাটারী লাগানোর অপশন রেখেছে।
এই EVF থাকার মস্ত বড়ো সুবিধা হলো ছবি নেওয়ার আগেই আপনি দেখতে পাচ্ছেন ছবি কেমন আসবে। তাই প্রয়োজন মতো এক্সপোজার সেট করা যায় সহজেই। DSLR এ OVF থাকার জন্য, আগে থেকে কিছু বোঝা যায় না এক্সপোজার পারফেক্ট হলো কিনা, সেটা ফটোগ্রাফারের দক্ষতার উপর নির্ভর করে।
অটো ফোকাসের ক্ষেত্রে DSLR যেখানে শুধু ফেস ডিটেকশন করে, বর্তমান মিররলেস ক্যামেরাগুলোর অধিকাংশই সেখানে আই ডিটেকশন করার ক্ষমতা রাখে। আর যেখানে অটো ফোকাস পয়েন্ট একটা হাই এন্ড DSLR এ থাকে খুব বেশি হলে 100 সেখানে মিররলেসে ফ্রেমের 95% এরিয়া কভার করে।
ছবিতে শেক কম করার জন্য অধিকাংশ DSLR কোম্পানির ক্ষেত্রে ইমেজ স্টেবিলাইজার থাকে লেন্সে, তার জন্য লেন্সের দামও সেই রকম হয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিররলেস ক্যামেরার বডিতেই ইমেজ স্টেবিলাইজার থাকার কারণে যে কোনও লেন্স ব্যবহার করেই এই সুবিধা পাওয়া যায়।
সাইলেন্ট শাটার মিররলেস ক্যামেরার আর একটি বড়ো সুবিধা। সাবজেক্ট কন্সাস হয় না। যারা ওয়াইল্ড লাইফ, ইভেন্ট বা শুটিং ফ্লোরে ফটো তোলেন তাদের এটা মস্ত বড়ো সুবিধা। ভিডিও শুট করার ক্ষেত্রে DSLR এর থেকে মিররলেস অনেক গুণ এগিয়ে।
কিছু কিছু মিররলেসে ফেস রেজিস্ট্রেশন বলে একটা সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ধরুন আপনি একটা গ্রুপ ফটো তুলছেন, সেই গ্রুপে এমন কয়েকজন আছেন তাদের আপনি বিশেষভাবে পছন্দ করেন। আপনি যদি আপনার পছন্দের প্রায়োরিটি অনুযায়ী সেই বিশেষ মানুষদের ছবি আগে থাকতে ক্যামেরায় রেজিস্টার করে রাখেন, তবে ওই গ্রুপ ফটো তোলার সময় আপনার মিররলেস ক্যামেরা প্রায়োরিটি অনুযায়ী সেই ব্যক্তিদের ফোকাস করবে। মানে আপনার কাছে সবথেকে বেশি প্রায়োরিটি যার, তার উপর ফোকাস সবথেকে বেশি থাকবে। বেশ ইন্টারেসটিং না?
ক্যামেরার বডির লেন্স-মাউন্ট রিং থেকে সেন্সরের দূরত্বকে বলে flange distance। এই দূরত্ব মিররলেসে অনেক কম থাকায় উপযুক্ত অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করে অন্য অনেক কোম্পানির লেন্সও খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়।
তবে এখনও লেন্স আর অ্যাক্সেসরিজের দিক থেকে DSLR অনেকটা এগিয়ে। বাজেটের মধ্যে বিভিন্ন মানের ও ফোকাল লেন্থ এর লেন্স পাওয়া অনেক বেশি সহজ। সেখানে মিররলেসের নিজস্ব লেন্সের দাম অনেকটা বেশী আর ভ্যারাইটিও অনেক কম।
এখন অনেককেই বলতে শুনি “DSLR is Dead”, আমার মতে এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। অদূর ভবিষ্যতে মিররলেস আরও জনপ্রিয় হতে চলেছে ঠিকই। কিন্তু দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন টেকনোলজিতে বানানো এই দুই রকম ক্যামেরাই সমান তালে নিজেদের আপগ্রেড করে চলেছে।
আর বেশি জ্ঞান দেবো না (খুব একটা নেই যদিও) এবার সবাই ক্ষেপে যেতে পারে। এখানেই শেষ করছি।
সব শেষে একটা কথা বলি, দামী ক্যামেরা কিনলেই যে ছবি ভালো হবে, এই রকম ভাবার কোনও কারণ নেই। তার জন্য দরকার শিক্ষা, ধৈর্য্য, চর্চা। আর সর্বোপরি সব ভালো কাজের জন্যই একজন ভালো মানুষ হওয়া।
– হুমায়ুন কবির, অনলাইন এক্টিভিস্ট