আরিফুল হক (রোম)ইতালী থেকে: তরপিনাত্তারার একটি প্রতিষ্ঠানসহ শেন্তশেল্লে ও কাসিলিনায় অবস্থিথ সাতটি অর্থ প্রেরনকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকরা তাদের অর্জিত অর্থ দেশে প্রেরণ করেছিলেন। গোয়ারদিয়া দি ফিনানজার স্পেশাল কারেন্সি পুলিশ ইউনিটের একটি বিশেষ তদন্তকারী দলের তদন্তে এ সব তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশী নাগরিকদের দ্বারা পরিচালিত এধরনের ৬টি অর্থপ্রেরনকারী প্রতিষ্ঠানের সকল সম্পদ জব্দ করেছে সংস্থাটি। অর্থ স্থানান্তর এজেন্সিগুলির মাধ্যমে বিদেশে প্রতারণামূলকভাবে নগদ অর্থ পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সাতটি প্রতিষ্ঠানের অফিস, মূলধন, পণ্য, চুক্তি এবং আর্থিক লেনদেন কার্যকলাপ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গত ৩০ জুলাইয়ে সংস্থাটি তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদে এ সকল তথ্য জানিয়েছে। ইতালির ফিনান্স বিভাগ নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থাটি জানিয়েছে। এসকল প্রতিষ্ঠানগুলি বারবার দেশে অর্থ পাঠানোর প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করছিল।
জুলাই ২০১৯ সাল থেকে পরিচালিত এক তদন্তের ফলে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশীদের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড। তদন্তকারী দলটি ইতালি থেকে বাংলাদেশে অর্থপ্রেরনের পদ্ধতির দিকেও লক্ষ্য রাখছিল। তারা দেখতে পেয়েছে দশ বছর আগের চেয়ে বর্তমানে প্রেরিত অর্থের প্রবাহ তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তদন্তকারীরা ২৪ হাজার লেনদেন পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করেন, যাহা ৯০ মিলিয়ন ইউরোর সমান।
ইতালীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র শেয়ারহোল্ডার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি কোম্পানির মাধ্যমেই গত তিন বছরে (২০১৬-২০১৮) এই অর্থ হস্তান্তর করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলি বাংলাদেশী নাগরিকদের দ্বারা পরিচালিত। পেমেন্ট সংস্থার মধ্যে ব্যাংক অফ ইতালি-র নিবন্ধনে নিবন্ধিত এবং রোমে পরিচালিত, যাদের ৩০ টি অর্থ স্থানান্তর শাখার বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে।
সংক্ষেপে – ওয়্যারট্যাপিং, ডকুমেন্টারি প্রমাণ, স্টেকআউট, গোপন অনুসন্ধান, ভিডিও নজরদারি এবং সন্দেহজনক লেনদেনের একাধিক বিবরণী থেকে জানা যায় – অবৈধ স্থানান্তরের পরিমাণ ২০ মিলিয়ন ইউরো (মোট বিশ্লেষণের প্রায় ২২% )। প্রকৃতপক্ষে গ্রাহক নির্দিষ্ট কিছু ব্যাক্তির কাছে অর্থ স্থানান্তর করতে চেয়েছিলেন তা পরে বিভিন্ন পরিমাণে ভাগ করা হয় (সাধারণত ৯৯৯ ইউরোর সমান)। কাল্পনিকভাবে তৃতীয় পক্ষ তৈরী করে পরিবারের সদস্য, বন্ধু অথবা পরিচিতদের কাছে একাধিক অর্থ স্থানান্তর করেন বিভিন্ন অর্থ হস্তান্তরের সার্কিট ব্যবহার ব্যবহার করে।