সোজা কথা ডেস্ক রিপোর্ট: করোনার সংক্রমণে বিশ্বে প্রাণহানির সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে। জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় সোমবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় এই সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখ দুই হাজার ৩৮৭ জন। আর বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের সংখ্যা এক কোটি পৌনে ২ লাখ। ৫ জুন করোনায় মোট মৃত্যু ৪ লাখ ছাড়ায় । সেই হিসেবে করোনা ২৪ দিনে শেষ এক লাখ প্রাণ নিয়েছে।
প্রাণহানির দিক দিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এ পর্যন্ত এক লাখ ২৫ হাজারের বেশি মারা গেছেন। ৫৭ হাজারের বেশি প্রাণহানির নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। তৃতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্য। সেখানে ৪৩ হাজারের বেশি মারা গেছেন। প্রায় ৩৫ হাজার প্রাণহানি নিয়ে এরপরই আছে ইউরোপের আরেক দেশ ইতালি। এ ছাড়া ক্রমান্বয়ে থাকা অন্যান্য দেশের মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স (২৯,৭৮১), স্পেন (২৮,৩৪৩), মেক্সিকো (২৬,৬৪৮), ভারত (১৬,৪৭৫), ও ইরান (১০, ৫০৮ জন)।
রোগী শনাক্তের দিক দিয়েও শীর্ষ অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত সেখানে সাড়ে ২৫ লাখ করোনারোগী শনাক্ত হয়েছে। ব্রাজিলে এই সংখ্যা সাড়ে ১৩ লাখ। শনাক্তের দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া (সাড়ে ৬ লাখ)। তবে রাশিয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা ৯ হাজারের কিছু বেশি। চতুর্থ স্থানে আছে ভারত (সাড়ে ৫ লাখ)। যুক্তরাজ্যে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা অন্তত তিন লাখ ১৩ হাজার জন।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সোমবার পর্যন্ত মারা গেছেন ১ হাজার ৭৮৩ জন। শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪১ হাজার ৮০১ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫৭ হাজার ৭৮০ জন। বিশ্বে সুস্থ হওয়ার এই সংখ্যা ৫১ লাখ ৬০ হাজারের মতো।
গত ১১ জানুয়ারি করোনায় প্রথম মৃত্যু দেখে বিশ্ব। চীনের উহানে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির বয়স ছিল ৬১ বছর। গত ২ ফেব্রুয়ারি ফিলিপাইনে ৪৪ বছর বয়সী এক চীনা নাগরিক করোনা সংক্রমিত হয়ে মারা যান। চীনের বাইরে করোনায় এটাই প্রথম মৃত্যু। এরপর গত ৯ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু এক লাখ ছাড়ায়। অর্থাৎ প্রথম মৃত্যুর ঠিক তিন মাসের মাথায় মৃত্যু এক লাখ ছাড়ায়। মৃত্যু ২ লাখ ছাড়ায় ২৪ এপ্রিল। অর্থাৎ এবার এক লাখ মানুষ মারা যান মাত্র ১৫ দিনে। করোনা সংক্রমিত হয়ে মোট মৃত্যু ৩ লাখ ছাড়ায় গত ১৪ মে। তারপর মোট মৃত্যু ৪ লাখ ছাড়ায় ৫ জুন। জনস হপকিনস ইউনিভার্টির তথ্যমতে আজ মৃত্যু ৫ লাখ ছাড়াল।
গত ৩০ জানুয়ারি করোনার সংক্রমণকে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরপর সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসের সংক্রমণকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি এই সংস্থা করোনার সংক্রমণে সৃষ্ট রোগকে ‘কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস ডিজিজ-২০১৯)’ নাম দেয়। চীনের উহানে অজ্ঞাত কারণে মানুষের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি গত ৩১ ডিসেম্বর শনাক্ত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর কিছুদিন পরই চীনের বিজ্ঞানীরা জানান, নতুন এই ভাইরাস সার্স-করোনাভাইরাসের গোত্রের। দ্রুতই ভাইরাসটি বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।