সোজা কথা ডেস্ক: নিজের ছবি দিয়ে তৈরি মিম শেয়ার করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ছবিটির স্বত্ত্বাধিকারী নিউ ইয়র্ক টাইমস বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানানোয় ওই মিম মুছে দিয়েছে টুইটার।
রয়টার্স জানায়, ৩০ জুন ট্রাম্প একটি ছবি টুইটারে শেয়ার করেন। পরে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস দাবি করে যে, তাদের তোলা ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে ব্যবহার করেছেন ট্রাম্প।
অনুমতি ছাড়া ছবি ব্যবহারের জন্য টুইটারে অভিযোগ জানায় নিউ ইয়র্ক টাইমস। ওই অভিযোগে সাড়া দিয়ে ছবিটি মুছে দেয় টুইটার। ওখানে টুইটার লিখে রেখেছে, “স্বত্ত্বাধিকারীর অভিযোগে এই ছবিটি মুছে দেওয়া হয়েছে”।
লুমেন ডেটাবেজের নোটিশ বলছে, টুইটার নিউ ইয়র্ক টাইমসের কাছ থেকে ‘ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট অ্যাক্টে’ অভিযোগ পেয়েছিল।
উল্লেখ্য, লুমেন ডেটাবেইজ অনলাইন কনটেন্ট মুছে দেওয়ার অনুরোধ এবং আইনি অভিযোগ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের কাজটি করে লুমেন ডেটাবেইজ।
মে মাসে ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধে জড়ায় টুইটার। এর আগে ট্রাম্পের একটি পোস্টকে বিভ্রান্তিমূলক বলে উল্লেখ করে সামাজিক যোগামাধ্যমটি। পরে যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সম্পর্কিত আইন পরিবর্তনের হুমকি দেন ট্রাম্প।
গত ২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপলিসে পুলিশ জর্জ ফ্লয়েড নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করলে বিক্ষোভ শুরু হয়। টানা তিন রাত ধরে বিক্ষোভের পর ট্রাম্প ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের হুমকি দেন। বিক্ষোভকারীদের ‘গুণ্ডা’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, মেয়র জ্যাকব ফ্রে শহরের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন। টুইট বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, ‘যে কোনও জটিলতা আমরা নিয়ন্ত্রণে নিতে পারি, যখনই লুটপাট (বিক্ষোভ) শুরু হবে তখনই গুলিও শুরু হবে।’
ট্রাম্প টুইটে লিখেছেন, ‘এসব গুণ্ডা জর্জ ফ্লয়েডের স্মৃতির প্রতি অসম্মান দেখাচ্ছে আর আমি তা হতে দিতে পারি না।’ ওই পোস্ট দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এতে জনস্বার্থ নোটিশ যুক্ত করে দেয় টুইটার। কোম্পানিটি বলছে, ‘অন্যদের সহিংস কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হওয়া ঠেকানোর স্বার্থে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
এর মধ্যেই এবার কপিরাইট সংক্রান্ত অভিযোগের মুখে ট্রাম্পের শেয়ার করা ছবি সরিয়ে ফেললো টুইটার।
সাম্প্রতিক এই ঘটনা নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি টুইটার এবং নিউইয়র্ক টাইমস।