হাকিকুল ইসলাম খোকন নিউইয়র্ক থেকে : নিউইয়র্কের লোয়ার ইস্ট ম্যানহাটনে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ(৩৪) কে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এই যুবককে নিজের বাসায় হত্যার পর টুকরো টুকরো করে রেখে গেছে হত্যাকারীরা। ১৪ জুলাই দুপুর সাড়ে তিনটার সময়ের ঘটনা। হত্যাকারীকে এখনও ধরতে পারেননি পুলিশ। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলের ভিডিও পেয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা সার্জেন্ট কার্লোস নিভস নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজকে বলেন, ‘ফাহিমের হাত-পা, মাথা সবকিছু খণ্ড-বিখণ্ড ছিল। আমরা এগুলো পেয়েছি।’
ফাহিমের বোন তাঁর খোঁজ না পেয়ে ৯১১-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
ফাহিম সালেহ গত বছর ২ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১৮ কোটি ৫৮ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮৬ টাকা) দিয়ে ম্যানহাটনের ডাউনটাউনে এই বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টটি কেনেন।
ইলেকট্রিক করাত ব্যবহার করে তাকে হত্যা করেছে ঘাতক। মৃত্যুর আগে একই এলিভেটরে হত্যাকারীর সঙ্গে বাসায় ফিরেছিল যুবকটি। নিউইয়র্ক পোস্টে এ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্নক অবনতির এটি একটা খন্ড চিত্র।
১৯৮৬ সালে জন্ম ফাহিমের। তাঁর বাবা সালেহ উদ্দিন বড় হয়েছেন চট্টগ্রামে আর মা নোয়াখালীতে। ফাহিম পড়াশোনা করেছেন ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে। থাকতেন নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে। তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় রাইড শেয়ার অ্যাপ পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা। ফাহিম নাইজেরিয়া আর কলম্বিয়ায়ও এমন আরো দুটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কোম্পানির মালিক।
ফাহিমের মৃত্যুতে বাংলাদেশী কমিউনিটি সহ ম্যানহাটানের অধিবাসীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।