আরিফুল হক, রোম (ইতালী) থেকে
ইতালীর প্রধানমন্ত্রী জোসেপ্পে কন্তে “কোভিড-১৯” এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন ভাইরাস আশঙ্কাজনক হারে ছড়িয়ে পড়ায় নতুন বিধিনিষেধের প্রয়োজন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জোসেপ্পে কন্তে বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে “কোভিড-১৯” সংক্রমণের তীব্র উর্ধগামী গতিকে মোকাবেলায় সরকারী বিধিনিষেধ আরোপ করেন।
নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলির মধ্যে গৃহীত একাধিক ব্যবস্থার সর্বশেষ পদক্ষেপগুলি হচ্ছে ইতালীর বার এবং রেস্তোঁরা অবশ্যই সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে গ্রাহকদের সেবা দেওয়া বন্ধ করবে; অপরদিকে সিনেমা, থিয়েটার, সুইমিং পুল এবং জিম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।
সরকার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ খাতগুলিতে পাঁচ বিলিয়ন ইউরো সহায়তার দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছে।
গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপতি সার্জিও মাত্তারেল্লা বলেন, “আমাদেরকে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলার মধ্যে থেকেই ঐক্য ও সংহতির মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী কন্তে সংসদের নিম্ন কক্ষের এক সভায় বলেন, “আমাকে বলতেই হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ থাকার এখনই প্রকৃত সময়।”
বুধবার ইতালীতে প্রায় ২৫,০০০ নতুন করে করোনভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী একে “আকস্মিক” বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন তাঁর সরকার যে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর থেকে কাজের ভারী চাপ কমানো এবং সাথে সাথে “সংক্রামণের উর্ধগতিকে প্রশমিত করা”।
তিনি বলেন, “সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে, সংত্রমণের আনুপাতিক হার এবং পর্যাপ্ততার উপর ভিত্তি করে এই নীতিমালা প্রয়োগ করা হয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা কখনই বলিনি যে আমরা বিপদমুক্ত হয়েছি এবং সতর্কাবস্থার বাইরে ছিলাম।”
“গত দুই সপ্তাহের পরিসংখ্যান সংক্রমণের দ্রুত উর্ধগতির নির্দেশ করে। নতুনকরে ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যাও উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতি জাতীয় স্বাস্থ্য সেবাকে মারাত্মক চাপে ফেলেছে।আমরা কখনই এই মহামারীকে খাটো করে দেখিনি।”
সাম্প্রতিক সময়ে সরকার কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এবং কারফিউ জারী করাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদের সময় ইতালীর বেশ কয়েকটি অঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।