সোজা কথা ডেস্ক রিপোর্ট
অবশেষে অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এর আগে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার অনুমোদন দেয় দেশটি। সম্প্রতি ফাইজারের ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আওতায় যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্থানে টিকাদান কর্মসূচিও চলছে।
এদিকে এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সিঙ্গাপুরে করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতেও করোনাভাইরাসের নতুন রূপে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। খবর বিবিসি ও এএফপির।
যুক্তরাজ্যে আগামী ৪ জানুয়ারি সোমবার অক্সফোর্ডের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। অক্সফোর্ডের ১০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের জন্য চুক্তি করেছে দেশটি, যার মাধ্যমে ৫ কোটি মানুষকে টিকা দেয়া যাবে। দেশটির সংশ্লষ্টরা বলছেন, ঔষধ প্রশাসন অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন দেয়ায় এ নিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশা ও সংশয় কেটে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষও টিকা গ্রহণে আস্থা পাবে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাদের টিকা তৈরি করে। এপ্রিলে স্বেচ্ছাসেবীদের ওপর ক্লিনিক্যাল টেস্ট শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার মানুষের শরীরে এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার অন্তর্র্বর্তী বিশ্লেষণে দেখা যায়, এর দুটি ডোজ করোনার বিরুদ্ধে ৭০ শতাংশ কার্যকর প্রতিরোধ গড়তে পারে।
অপর দুটির কার্যকারিতা ৯০ ও ৬২ শতাংশ বলে জানানো হয়। তবে রোববার অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী পাস্কাল সরিওট দাবি করেন, তাদের প্রস্তুতকৃত ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ করোনা প্রতিরোধে কার্যকর। এরপরই যুক্তরাজ্যের ঔষধ প্রশাসন ভ্যাকসিনটি মানবদেহে প্রয়োগের অনুমোদন দিল।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেন, ফাইজার ও অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন দিয়ে দেশের সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, এখন তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এটা বলতে পারেন যে, প্রত্যেককে ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হবে। হ্যানকুক বলেন, পুরো জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে আমরা যথেষ্ট পরিমাণ ডোজ সরবরাহ করেছি। অক্সফোর্ডের ১০ কোটি ডোজ এবং ফাইজারের ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়ও করোনার নতুন রূপে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো রাজ্যের ২০ বছর বয়সী এক যুবকের শরীরে শনাক্ত হয়েছে নতুন ভাইরাসটি। এক বিবৃতিতে কলোরাডোর গভর্নর জারেড পলিস বলেন, করোনার নতুন ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এলবার্ট হাসপাতালের আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে। উৎপত্তি নিয়ে তদন্ত চলছে। এখন পর্যন্ত ওই ব্যক্তি সংস্পর্শে আসা কারো শরীরে ভাইরাসটির নতুন রূপের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
করোনার নতুন ধরনের (স্ট্রেইন) সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় যুক্তরাজ্যে। এরপর বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব টের পাওয়া যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের আগে সবশেষ পাওয়া যায় দক্ষিণ এশিয়ার ভারতে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, নাইজেরিয়া, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স, জাপান, লেবানন, কানাডা, সুইডেন, ডেনমার্ক, স্পেন ও দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়েছে ভাইরাসটির নতুন স্ট্রেন।