হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক থেকে
নথি ফাঁসের তদন্তের ঘটনায় তথ্যের উৎস জানার জন্য সাংবাদিকদের ইমেইল বা ফোন রেকর্ড আর জব্দ করা হবে না বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। শনিবার সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাংবাদিকদের ‘সোর্স’ চিহ্নিত করতে যোগাযোগের তথ্যের জন্য জোর খাটানোর প্রবণতা বাড়ার খবরের মধ্যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের তরফ থেকে এই নীতি পরিবর্তনের ঘোষণা এল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক অ্যান্থনি কোলি বলেন, প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বিচার বিভাগ তার দীর্ঘদিনের চর্চায় পরিববর্তন এনে ফাঁস হওয়া তদন্তের বিষয়ে সোর্সের তথ্য জানতে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের আইনি বাধ্যবাধকতা মুখোমুখি করবে না।
একদিন আগে নিউ ইয়র্ক টাইমসের আইনজীবী ডেভিড ম্যাকগ্র জানান, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রশাসনও তাদের চারজন প্রতিবেদকের ইমেইলের তথ্য চেয়েছিল। আইনজীবী ডেভিড ম্যাক্র জানিয়েছেন, পত্রিকাটির শীর্ষ কয়েকজন নির্বাহীর কাছে এ বছরের শুরুতে প্রতিবেদকদের ইমেইলের তথ্য চাইলেও এ বিষয়ে মুখ খুলতে নিষেধ করেছিল বাইডেন প্রশাসন। ফলে বার্তা কক্ষ বা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদককে তারা বিষয়টি জানাতে পারেননি।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের আইনজীবী জানান, গুগলের কাছ থেকে ম্যাট আপুজ্জো, অ্যাডাম গোল্ডম্যান, এরিক লিচটব্লাউ এবং মিখায়েল শ্মিদ- এই চারজন প্রতিবেদকের ইমেইল চালাচালির তথ্য চেয়েছিল বিচার বিভাগ।
শনিবার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি বলেন, অপরাধের তদন্তের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ স্বাধীন, ফলে শুক্রবার রাতের আগ পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের কেউ এ ধরনের তৎপরতার বিষয়ে জানত না।
তিনি বলেন অপরাধ মামলার তদন্তে হোয়াইট হাউজ কোনো হস্তক্ষেপ করে না, ফাঁস হওয়া নথির তদন্তের বিষয়ে রিপোর্টারদের তথ্য চেয়ে সমন জারির বিষয়টি প্রেসিডেন্টের দিক নির্দেশনার সঙ্গে যায় না এবং বিচার বিভাগ এটা নিশ্চিত করেছে এ বিষয়ে তারা আর সামনে বাড়বে না।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ডের অধীনে থাকা বিচার বিভাগ এই চর্চা থেকে বরিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিলেও নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। যে কারণে প্রশাসন বদল হলে তা আবারও চালু হতে পারে।
শুক্রবার নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারি ওয়াশিংটনের অ্যাটর্নি দপ্তরের আইনজীবীরা একটি সিল করা আদালতের নির্দেশ বের করেন, যেখানে গুগলের কাছে গোপনে ওই পত্রিকাটির চারজন প্রতিবেদকের ইমেইলের তথ্য চাওয়া হয়।
অবশ্য তাতে আপত্তি জানিয়ে গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইমেইলের তথ্য নেওয়ার বিষয়টি নিউইয়র্ক টাইমসকে জানতে হবে।