বিগত শতাব্দীর ৭০/৮০ দশকে সারা বিশ্বব্যাপী একটা ট্রেন্ড তৈরী হয়েছিল শর্টকার্টে সেলিব্রেটি হওয়ার ৷ বোম্বের ছবির জগতের এক নারী জুহু বীচে সম্পূর্ন উলঙ্গ হয়ে দৌড় দিলেন৷ কয়েকদিন পত্রিকার গরম খবর, তারপর তার নাম চলে গেল ফিল্মী ইতিহাসের নর্দমায় ৷
সেসময় ফেসবুক ত দূরের কথা ইন্টারনেটই ছিলনা ৷ পত্রিকা ছিল আর সীমিত পরিসরে ছিল টিভি ৷ আর এখন ত সামাজিক যোগাযোগ আর ইন্টারনেটের অবাধ ব্যবহার ৷ সেজন্যই এযুগেও শর্টকার্টে সেলিব্রেটি হওয়ার জন্য কোন কোন ব্যক্তির প্রচেষ্টা থাকবে ৷ হতে পারে সে কবি , আমলা, নেতা থেকে পাতি নেতা , পুলিশ, প্রশাসক, আমজনতার কেউ কেউ ৷
সহজ উপায় হচ্ছে ভেড়ার পালের মধ্যে ককুর হয়ে ঢুকে যাওয়া৷
বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত ও প্রাত্যহিক ব্যবহারের বিষয়ে সচেতন হয়েও তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক উল্টোপাল্টা কথা বলা ৷ স্বাভাবিক ভাবে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ি তাকে বোঝানোর জন্য৷ অনেক আবাল ফলোয়ারও তার সাথে থাকার কারনে, তারা বেশ সমর্থন করে মন্তব্য লিখেন ৷ সেই স্বঘোষিত আবাল সেলিব্রেটি কিন্তু বেশ তারিয়ে তারিয়ে তা উপভোগ করেন ৷ ফলাফল হচ্ছে মেধাহীন স্বঘোষিত সেলিব্রেটি হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে কিছুদিন পর খুঁজে পাওয়া যায়না ৷
বিজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলার অর্থই হচ্ছে যুক্তির কাছে হেরে যাওয়া৷
আর পৃথিবীর সবত্রই ধর্মীও জঙ্গিবাদীদের সাথে এদের সম্পর্ক খুব গভীর ৷ বিজ্ঞানকে অস্বীকার করার মধ্যে আছে পিছনের দিকে হাঁটা । অন্ধকারকে বরণ করা ৷ যে ব্যক্তি প্রশাসন ক্যাডার , পুলিশে , বিচার ব্যবস্থায় থেকে বিজ্ঞান বিরোধী বক্তব্য বলেন বা লিখেন, তাঁদেরকে চেনার জন্য তৃতীয় নয়নের দরকার ৷
এরা আছে সর্বত্র ৷ প্রশাসক থেকে আইন প্রণেতা , নেতা থেকে অভিনেতা ,উকিল থেকে বিচারক এমন কোন জায়গা নেই যে , তারা নেই। সেজন্য প্রয়োজন আধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা ৷ যা মানুষকে যুক্তিবাদী হতে শেখাবে ৷ যেখানে একজন মানুষ সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে তার মেধার জন্য ৷ কোন শর্টকার্টের নোংরা খেলার সে খেলোয়াড় হবেনা ৷
এই শতাব্দীর শুরুতেই বিল গেটস বলেছিলেন, এই শতাব্দী হবে মেধার শতাব্দী ৷ সেই কথাটা যেন আমরা স্মরনে রাখি ৷
– ইফতেখার আহমেদ বাবু, সোশ্যাল এক্টিভিস্ট