সোজা কথা ডেস্ক রিপোর্ট
উচ্চ আদালতের নির্দেশনানুযায়ী ফেনীতে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামির সঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণীর বিয়ে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা কারাগারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বর-কনের পরিবারের উপস্থিতিতে ৬ লাখ টাকা দেনমোহরে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ ব্যাপারে মানবাধিকার কর্মীরা তাদের বিস্ময়ের কথা উল্লেখ করে বলেন এটা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার নীতির সাথে সাংঘর্ষিক।
ফেনীর সোনাগাজী এলাকায় ধর্ষণের মামলায় গত ২৯ মে গ্রেফতার হন স্থানীয় ইউপি সদস্যের ছেলে জহিরুল ইসলাম জিয়া। স্থানীয় আদালতে জিয়ার জন্য জামিন প্রার্থনা করলেও তা নামঞ্জুর হয়। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তের পরিবার আপস মীমাংসায় রাজি হয়। বিষয়টি উল্লেখ করে অভিযুক্ত জিয়ার জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়। উচ্চ আদালত জিয়াকে জামিন না দিয়ে কারাফটকে বিয়ের আয়োজন করতে ফেনী জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দেন। সেই আলোকে দিনক্ষণ ঠিক করে ফেনীর জেল সুপার বিয়ের আয়োজন করেন।
জেলা কারাগার সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামানের উপস্থিতিতে স্থানীয় কাজী আবদুর রহিম বিয়ে নিবন্ধন করেন। বিয়েতে ৬ লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়। উভরপক্ষের অভিভাবক ও স্বজনদের উপস্থিতিতে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান জানান, অভিযুক্ত জিয়া সোনাগাজীর চর দরবেশ গ্রামের ইউপি সদস্য আবু সুফিয়ানের ছেলে। বিয়ে হয়েছে মর্মে উচ্চ আদালতে প্রতিবেদন পৌঁছার পর তার জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন উচ্চ আদালত।
এদিকে এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মানবাধিকার কর্মী তাদের হতাশা ব্যক্ত করেছেন। কোন বিবেচনাতেই এ রকম বিয়ে সমর্থনযোগ্য নয় বলে তারা এ প্রক্রিয়ার বিষয়ে তাদের ঘোর আপত্তির কথা তুলে ধরেন। এই ধরণের আপস ভবিষ্যৎে ধর্ষণ অপরাধকে একভাবে উৎসাহিত করতে পারে বলে তাঁরা মত প্রকাশ করেন।