যারা মনে করেন কর্মক্ষেত্রে কেবল মেয়েদেরকে নিয়োগের মাঝ দিয়েই “জেন্ডার ব্যালান্সড” হলো তাদেরকে বলি – ভুল। আপনারা ভুল। কেবল মেয়েদের কে নিয়োগের মাঝ দিয়েই “জেন্ডার বৈষম্য দূর করা যায় না”। নারী পুরুষ এর বৈষম্যদূরীকরনের বিষয় টা মগজীয় ৷ মননের বিষয়। কোন লিংগের শারীরিক উপস্থিতির বিষয় না।
আপনারা যারা এই “শারীরিক নিয়োগের” মাঝ দিয়ে জেন্ডার বৈষম্য দূর করার কথা বলেন আর হালাল করেন সেখানে আপনাদের একটা সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা কাজ করে। আসলে একটা ভিন্ন রকমের মানসিকতা। যা ভিতরে ভিতরে আপনি পোষণ করেন অথচ মুখে বলেন অন্যকিছু । এর বাইরে আর কিছু ই না। অফিসের অলংকার হিসাবেই মেয়েটিকে নিয়োগ দানের কথা ভাবেন আগে তারপর অন্যান্য বিষয়। কারন আপনার অফিসের পুরুষ কলিগের সাথে আপনার আচরণও আমরা দেখেছি।
সংসদে দ্যাখেন না? অধিবেশনের অলংকার/ অক্সিজেন হিসাবে অহেতুক ৪৫ জনকে পালছি আমরা আমাদের কষ্টের টাকায়? আপনারাও মেয়েগুলোকে নিয়োগ দেন ওই আদর্শ থেকেই । নইলে জেন্ডার বৈষম্য দূর করার কথা ই যদি হতো তাহলে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি হয় কিভাবে? ভাবেন একটা অফিস মেয়ে ছাড়া মরুভূমিসম। আর অফিসে একটা মেয়ে নিয়োগের মাঝে ফিরে আসে অফিসে প্রাণ চাঞ্চল্য! বাহ!!!
জানেন তো নানা দেশের যুদ্ধক্ষেত্রের কাহিনি? অথবা প্রেরণা দিয়েছে শক্তি দিয়েছে বিজয়লক্ষ্মী নারী- কবিতার এই লাইন টার মানে কি আপনি বুঝেছেন? সেলুকাস! কি বিচিত্র এই দেশ!!! যোগ্যতা হলো “বায়োলজিকালি মেয়ে” মননে মেধায় যাই হোক সমস্যা নাই। এই যে বিদেশী এজেন্ডাকেই আইডল ভেবেছেন বোঝেন তো তাদের আসল উদ্দেশ্য কি?
মেয়েটিকে মেয়েই ভাবুন। তাতেই উভয়ের ই কাজ করতে সুবিধা । অত বেশি উদার ভাব প্রচারের দরকার নাই। এটাই হিপোক্রেসি। কারণ সুযোগ পেলেই আপনার এই নারী পুরুষ এর বৈষম্য দূর করার ভাবটার মুখোশ খুলে যেতেই পারে।
– দিলরুবা শরমিন, আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী
বানানরীতি ও মতামত লেখকের নিজস্ব। মতামতের দায় লেখকের হলেও এই মতামত আমরা সমর্থন করছি।
– সম্পাদক (অ.)