তিনি বলেন, রাসেলকে গ্রেপ্তারের পর আমরা জানতে পেরেছি সে মিরপুরের জনি হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। সে একসময় পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করেছে। তার বিরুদ্ধে আরও দুইটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
ওসি মোরশেদ আরও বলেন, রাসেলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি পল্লবী থানাকে জানানো হয়েছে। তারা আদালতে শোন অ্যারেস্ট আবেদন করবেন। লালবাগ থানায় রাসেলের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। মাদকের সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি জানতে রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মিরপুরের ইরানি ক্যাম্পের এক গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান থেকে জনিসহ আট যুবকে গ্রেপ্তার করে পল্লবী থানায় নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায় এসআই জাহিদসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা ও সোর্স রাসেল। এ ঘটনায় পুলিশ হেফাজতে জনির মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ছয় বছর আইনি লড়াই শেষে ২০২০ সালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েসের আদালত রায় দেন। এতে এসআই জাহিদ, এএসআই রাশেদুল ও এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টুর যাবজ্জীবন এবং পুলিশের দুই সোর্স সুমন ও রাসেলকে সাত বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
বর্তমানে মামলাটি আপীল উচ্চ আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। এ মামলার আসামি এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টু ও পুলিশের সোর্স রাসেল পলাতক ছিলেন। অবশেষে রাসেলকে গ্রেফতার করলো পুলিশ।