ডেস্ক রিপোর্ট: ব্রিটেনের পরিবেশ মন্ত্রী জর্জ ইউস্টুইস বলেছেন জনগণকে বাস্তবসন্মতভাবে বুঝতে হবে ব্রিটেনের লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে রাতারাতি কোন নাটকীয় পরিবর্তন হবে না। ব্রিটিশ মন্ত্রী আরো বলেন রোববার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার যে কর্মপরিকল্পনার ঘোষণা দিবেন তাতে মানুষের এটা আশা করা উচিত হবে না যে রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যাবে।
এ ঘোষণা তখনই আসলো যখন আগামী সোমবার থেকে ওয়েলস মানুষকে ঘরের বাইরে একাধিকবার ব্যায়াম করার সুযোগ দিতে যাচ্ছে। তিনি জানান -১৬ মিলিয়ন পাউন্ডের একটা ফান্ড গঠন করা হয়েছে যা দিয়ে যারা এই মহামারী অবস্থায় খাদ্যের জন্য সংগ্রাম করছেন তাদেরকে এই ফান্ড থেকে সহযোগিতা করা হবে।
১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে প্রতিদিনের ব্রিফিংয়ে তিনি আরো জানান-শুক্রবার নতুন করে ৬২৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে, এর ফলে সব মিলিয়ে ইউকের এখন মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১ হাজার ২৪১ জন। গতকাল ঘোষিত মৃতদের মধ্যে ৬ সপ্তাহ বয়সী স্বাস্থ্যগত অবস্থা থাকা এক শিশুও রয়েছে।
বিবিসির সাংবাদিক বেন রাইট-এর বরিস জনসন কি ওয়েলস এর মত লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন? এরকম প্রশ্নে পরিবহন মন্ত্রী বলেন- এক্ষেত্রে নাটকীয় কোনো পরিবর্তন রাতারাতি হবে না এবং সরকার এ ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক আছে, যে বিধিনিষেধ গুলো আছে সেগুলো তুলে নেয়া হলে কি পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
তিনি আরো বলেন এই মেসেজটি সরকার দিতে চায় যে সপ্তাহান্তে সূর্যকরোজ্জ্বল ব্যাংক হলিডে‘র সময়ও স্টে এট হোম ( ঘরে থাকুন) এ বাধ্যকতা সবার জন্য বলবত থাকবে।
ব্রিফিং-এ কথা হয় R রেট নিয়ে। R রেট অর্থাৎ যে হারে ভাইরাসটি ছড়ায় সেই বিষয়ে বিশ্বজনীন মাপকাঠিতে কম হতে হবে লকডাউন প্রত্যাহার করার আগে। এই কথার সাথে ইংল্যান্ড ন্যাশনাল মেডিকেল ডিরেক্টর অফ এন এস এস প্রফেসর স্টিফেন পোউইস যোগ করেন -ইংল্যান্ডের স্থান স্থান থেকে স্থানান্তরে এ হার ভিন্ন হতে পারে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে সব মিলিয়ে এটা থাকতে হবে ১ এর নিচে। আর এটা হচ্ছে সেই সংখ্যা যা একজন আক্রান্ত ব্যক্তি গড়ে অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে সে হার।
উল্লেখ্য স্কটল্যান্ড ওয়েলস এবং নর্দান আয়ারল্যান্ড তাদের লকডাউন রেগুলেশন এর ক্ষেত্রে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখে এবং তারা এটা বিভিন্ন মাত্রায় বাধ্যবাধকতা তুলে নিতে পারে।