লাইফস্টাইল ডেস্ক
ত্বকের বয়স রুখে দিতে, ত্বকে বলিরেখা মলিন করার ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা তথা ঘৃতকুমারীর ভূমিকা আছে। রুক্ষ-শুষ্ক ভাব দূর করে ত্বক আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে ঘৃতকুমারীর জেল। ঘৃতকুমারীতে প্রচুর পরিমাণে এনজাইম, অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান, ভিটামিন থাকায়, এর ব্যবহারে কমে ব্রণের সমস্যা।
অ্যালোভেরার সঙ্গে বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে ঘরেই বানাতে পারেন ফেসপ্যাক। এক টেবিল চামচ জেলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ গোলাপজল মিশিয়ে নিন। এটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। পোরসের সমস্যা সমাধানের জন্য এই পেস্ট তোলার আগে দুই-তিন মিনিট ম্যাসাজ করতে পারেন। সপ্তাহে তিন বার এই প্যাক ব্যবহার করলে কালো দাগ, ব্রণের দাগ, ত্বকের ফাটা দাগ কমবে। এটি সব ধরনের ত্বকে ব্যবহার করা যাবে।
অ্যালোভেরার জেলের সঙ্গে এক চিমটি হলুদের গুড়া, এক চা চামচ মধু, কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। মুখ ও গলায় এই মিশ্রণ লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার ও নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। সপ্তাহে দুই বার এটি ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর হবে। কেননা হলুদে থাকা বিভিন্ন উপাদান ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়।
তিন চারটি পাকা কলার টুকরোর সঙ্গে এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরার জেল মেশান। চাইলে কলা ও ভেষজ উপাদানটির জেল বেশি পরিমাণে নিয়ে ব্লেন্ড করতে পারেন। এরপর সপ্তাহে একদিন মুখে লাগান। এটি ত্বকের গভীর থেকে পুষ্টি যোগাবে।
দুই চা চামচ জেলের সঙ্গে এক চা চামচ টক দই, এক চা চামচ মধু অথবা লেবুর রস মেশান। যাদের ত্বক শুষ্ক, তারা মধু মেশাবেন। মিশ্র ও তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা লেবুর রস মেশাবেন। সপ্তাহে তিনবার ১০-১৫ মিনিট করে ব্যবহার করুন। ত্বকের সব ধরনের অপরিপক্কতা দূর করবে এই পেস্ট।
রোদে পোড়া দাগ দূর করতে ঘৃতকুমারীর জেলের সঙ্গে শসার রস ও কয়েক ফোটা গোলাপ জল মেশান অথবা এসেনশিয়াল অয়েল। এটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। শুকালে ধুয়ে ফেলুন। রোদে যাদের ত্বক কালচে হয়ে গেছে, যাদের ত্বক চুলকায় তারা এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।