আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর স্বজনদের প্রতি আমার সমবেদনা। গাফফার ভাইয়ের সাথে আমার মতপার্থক্য সুবিদিত। তা স্বত্বেও আমার লন্ডন প্রবাসী জীবনে বহুবার তাঁর সাথে একত্রে কাজ করেছি। আমি যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসার পরে যোগাযোগ ক্ষীন হয়ে যায় – একবার লন্ডনে তাঁর বাড়িতেও দেখা হয়েছে। ২০০৯ সালের পরে এই মতপার্থক্য বেড়েছে। কিন্তু তাঁর মতপ্রকাশের অধিকারের ব্যাপারে আমার সমর্থনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। তিনি সকলের মত প্রকাশের ব্যাপারে ১৯৭২-৭৫ সালে দৈনিক জনপদ -এ যতটা দ্বিধাহীন ছিলেন. কিংবা তারপরে প্রবাস জীবনে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে যতটা দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছিলেন তা অব্যাহত থাকলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাথে ভিন্নমত অবলম্বনকারীরা লাভবান হতেন। বিপরীতে তিনি দলীয় পরিচয়কেই বেছে নিয়েছিলেন। ২০০৯ সালের পর তা আরো প্রত্যক্ষ হয়েছে। দলের পরিচয় বেছে নেয়া তার অধিকার ছিলো। কিন্ত আজকের বাংলাদেশে সেই অধিকার চর্চা সীমিত হয়ে গেছে সেটা তিনি বলতে চাননি।
গাফফার ভাই যে কারনে চিরদিন মনে থাকবেন সেটি তার লেখা একুশের গান- যা দলের উর্ধ্বে. সর্বজনীন। সাংবাদিক ও বিশ্লেষক হিসেবে তাঁর খ্যাতি হলেও তার লেখক জীবনের সূচনা হয়েছিলো কথা সাহিত্যিক হিসেবে। তাকে আমরা সেই ভাবেও স্মরণ করবো।