আল-জাযিরার সামান্যচিত্রটিকে আল-বাতাবির অসামান্য চিত্র দিয়ে আলোচনা থেকে সরানো যায়নি।
তখন জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিলের আলোচনাটি এনে আল-জাযিরার সামান্যচিত্রটির আলোচনা বিভাজনসূত্রের কলতলার হৈ চৈ-এ চাপা দেবার চেষ্টা করা হলে; দর্শক কলতলায় নামতে অস্বীকৃতি জানায়।
তখন ঈদে মিলাদুন্নবীতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পবিত্র প্রস্তাব আনা হয়। এবার আশাটা এমন এই নিয়ে গোটাকতক দলীয় সেক্যুলার সরকারের সঙ্গে তুমুল বিতর্কের ভান করবে। আর দলীয় ইসলামপন্থীরা তীব্র অনুভূতি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে কলতলা গরম করবে। দলীয় সেক্যুলারদের নাশতেক বলে আখ্যা দেবে। দলীয় সেক্যুলারেরা সেই সুযোগে পশ্চিমা দেশে ‘এসাইলামে’র আবেদন জানাবে।
রবাহূত ধর্মপ্রাণ মানুষেরা পবিত্র দিনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পক্ষের শক্তি হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবে অনায়াসে। এটা যেহেতু “গভীর অনুভূতি”র ব্যাপার; তাই আল-জাযিরার সামান্য চিত্রের রেশ আল-বাতাবি মিডিয়ায় দলীয় সেক্যুলার বনাম দলীয় ইসলামিস্ট মিউচুয়াল কুস্তিতে চাপা দিয়ে দেয়া সম্ভব।
অবশেষে ইসলামিস্টরা এই বাহাজে বিজয়ী হলে; আবার সরকার অনেকদিন পর বিজয়ের স্বাদ পাবে।
ইত্যবসরে এসাইলাম নিয়ে চলে যাওয়া সেক্যুলারেরা তখন আবার আল-বাতাবি টিভিতে যুক্ত হয়ে বলবে, এই দেশপ্রেমিক সরকার বার বার দরকার। চারদিকে স্বাধীনতার শত্রু; আপনাদিগকে সজাগ থাকিতে হইবে।
– মাসকাওয়াথ আহসান, সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার শিক্ষক
এডিটর-ইন-চীফ, ই-সাউথ এশিয়া