অফিস অফ ন্যাশনাল স্ট্র্যাটিকসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে সোশ্যাল কেয়ার খাতে কর্মরত কর্মীদের মৃত্যুর সম্ভাবনা অন্যান্য খাতে কর্মরত কর্মীদের তুলনায় দ্বিগুণ। কিন্তু স্বাস্থ্য খাতে কর্মীদের মৃত্যুর সম্ভাবনা অন্যান্য খাতে কর্মরত ওয়ার্কারদের তুলনায় বেশি হবে না।খবর বিবিসির।
সর্বমোট মৃত্যুর ২৪৯৪ কর্মীর মধ্যে ২০ থেকে ৬৪ বছরের যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ পুরুষ এবং ৬৩ জন পুরুষ সিকিউরিটি গার্ডের মৃত্যু জানান দেয় অন্যান্য কর্মীদের বিশেষত সোশ্যাল ওয়ার্কারদের তুলনায় তাদের মৃত্যর সম্ভাবনা দ্বিগুণ।
পরিসংখ্যান অফিসের তথ্যে দেখা যায় ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বয়সের বিবেচনায় তারা যে সংখ্যা দিয়েছে তাতে মানুষের জাতিগত পরিচয়, অর্থনৈতিক অবস্থা অথবা বিদ্যমান স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিবেচনায় আনা হয়নি। ফলে এটা প্রমাণ করে না যে ওই মৃত্যুগুলো শুধু কাজের ধরণের কারণে হয়েছে না অন্য কোন কারণে ঘটেছে।
জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পুরুষ এবং যাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে কোভিড-১৯ তে তাদের মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি।
২৪৯৪ কর্মীর মৃত্যুর বিশ্লেষণে দেখা যায় ১৩১ জন কেয়ার ওয়ার্কার মৃত্যুবরণ করেছে যাদের মধ্যে ৮৬ জন নারী এবং ৪৫ জন পুরুষ।
নারীদের মৃত্যুর প্রধান কারণ কেয়ার ওয়ার্কারদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী, এই মৃত্যুর হার ১০০ হাজারের মধ্যে ২৩.৪ ভাগ পুরুষ এবং ৯.৬ নারীর মৃত্যু হারের সমান। তারপরও রোগীদের সাথে কাজ করা হেলথকেয়ার ওয়ার্কার এবং ডাক্তার নার্স এর মৃত্যুর হার অন্যান্য কর্মীদের তুলনায় কম।
এটার কারণ হতে পারে তারা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অন্যান্য কর্মীদের তুলনায় বেশি সুযোগ পান।
সাধারণভাবে ২০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মৃত্যুর হার ১০০ হাজারের মধ্যে ৯.৯ জন পুরুষ এবং তুলনামূলকভাবে তা নারীদের ক্ষেত্রে ৫.২ ভাগ। পুরুষ নিরাপত্তা কর্মীদের ক্ষেত্রে এই হার ছিল ৪৫.৭।
পুরুষদের মধ্যে কিছু সুনির্দিষ্ট কিছু পেশায় বেশি মৃত্যুবরণ করেছে বলে দেখা যায়। তাদের মধ্যে রয়েছে
- ট্যাক্সি ড্রাইভার এবং ব্যক্তিগত গাড়ি র চালক ( ১০০ হাজারে ৩৬.৪)
- বাবুর্চি (৩৫.৯)
- বাস এবং কোচ ডাইভার (২৬.৪)
- বিক্রয় কর্মী ও খুচরা ব্যবসায়ী ( ১৯.৮)
এবং কম দক্ষতা সম্পন্ন চাকরির ক্ষেত্রে কর্মরত কর্মীদের মৃত্যুর সংখ্যা এমনকী একই খাতে কর্মরত ( যেমন ম্যানেজার, দক্ষ কর্মী এবং পেশাজীবী) অন্য কর্মীদের চাইতে বেশি। ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটনের গ্লোবাল হেলথ বিভাগের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ডক্টর মাইকেল হেড বলেন যে কর্ম ক্ষেত্রে কর্মীদের নিরাপত্তা ক্ষেত্রে যে গাইডেন্স আসছে সেখানে কিভাবে প্রত্যেকটা সেক্টর তাদের কর্মী এবং কর্মপরিবেশ এর ব্যবস্থাপনা করবে তা নিয়ে বিস্তারিত বলা হবে।