ডেস্ক রিপোর্ট: বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে তিন শিল্প এলাকায় বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানা প্রায়
সাড়ে ৮ হাজার শ্রমিক ছাঁটাই করেছে। আশুলিয়া, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তার বিধান
না করে সঠিক বেতন না দিয়ে, চাকুরিচ্যুতির পথ বেছে নিয়ে শ্রমিকদের পারিবারিক জীবনমানের ওপর একটি বড়
ধরনের ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে। সরকারের দিক নির্দেশনা থাকা সত্বেও আট হাজার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের
বিষয়ে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) তীব্র ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ১০ এপ্রিল গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় ৪০৬ জন ও ৭ এপ্রিল আরো
কয়েকটি কারখানায় ১৭০ জন শ্রমিক চাকুরিচু ̈ত হন। দেশের শিল্প এলাকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী আশুলিয়া
ও গাজীপুরে শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে সবচেয়ে বেশী। আশুলিয়ায় মোট ৪৮টি কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনা
ঘটেছে। নারায়ণগঞ্জে ছাঁটাই হয়েছে প্রায় ৫০০ জন শ্রমিক।
পোশাক শিল্প মালিক সংগঠন বিজিএমইএ সদস্য কারখানা ৩৮টি এবং বিকেএমইএ সদস্য কারখানার পাঁচটি ও অন্যান্য ̈ খাতের পাঁচটি মিলিয়ে ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকের সংখ্যা ৬ হাজার ৪৩০। এছাড়া গাজীপুরে বিজিএমইএ সদস্য কারখানা সাতটি ও অন্যান্য ̈ খাতের কারখানা তিনটি মিলিয়ে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকের সংখ্যা ১ হাজার ৬২৩ জন। নারায়ণগঞ্জে বিজিএমইএ সদস্য
কারখানা একটি ও চারটি বিকেএমই সদস্য কারখানার শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবকালে কারখানা বন্ধ বা শ্রমিক ছাঁটাই না করার বিষয়ে সরকারী নির্দেশনা থাকা সত্বেও
সামনে ঈদুল ফিতরের আগে মালিকপক্ষের এধরনের সিদ্ধান্ত জাতীয় ̄ স্বার্থের পরিপন্থী’।এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী এ খাতে শ্রমিকদের বেতনভাতা অব্যাহত রাখার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রনোদনা তহবিল ঘোষণা দিয়েছেন।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) মনে করে চলমান করোনাভাইরাস মহামারীর এ সময়ে বিভিন্ন
গার্মেন্টস কারখানাসমূহ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে শ্রমিকদের ও তাঁদের পরিবার ̧লোকে চরম অনিশ্চয়তার মূখে
ঠেলে দিচ্ছে যা আমাদের কারোরই কাম্য নয়। সার্বিক বিবেচনায় এমএসএফ শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করা ও তাদের
পূর্নবহালে দ্রুততার সাথে সরকার ও গার্মেন্টস মালিক পক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জোর দাবি জানাচ্ছে।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি