ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। একই সময় দেশে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২০২ জন । এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত ২০ হাজার ৬৫ জন শনাক্ত হলেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর খোঁজ মেলার পর গত সোয়া দুই মাসে আর কখনও এক দিনে এত নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি।
দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন সংবাদ বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়।
বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সব মিলিয়ে মারা গেছেন ২৯৮ জন। চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে ৪১টি ল্যাবে কভিড-১৯ এর নমুনার মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৮২ টি। তাতে ১ হাজার ২০২ জন জন করোনায় শনাক্ত হন। কতটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
সবশেষ এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৭৯ জন। তাতে মোট আরোগ্যের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হ্জার ৮৮২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা শুক্রবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, গত একদিনে যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে তাদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৮ জন নারী। তাদের মধ্যে দুজনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি। ৩ জনের বয়স ছিল ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরেরর মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ছিল ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
এলাকাভিত্তিক চিত্র তুলে ধরে অধ্যাপক নাসিমা বলেন, দেশে মোট আক্রান্তের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রোগীর হার কমে এখন ৭৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ হয়েছে। আগে তা ছিল ৮০ শতাংশের বেশি।
ঢাকা মহানগরীতে আক্রান্তের সংখ্যা দেশের মোট রোগীর ৫৮ দশমিক ১১ শতাংশ। মহানগরী ছাড়া ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলার রোগীর সংখ্যা দেশের মোট আক্রান্তের ২১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
দেশের মোট আক্রান্তের ৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ ময়মনসিংহ বিভাগের, ২ দশমিক ৫৩ শতাংর রংপুর বিভাগের, ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ সিলেট বিভাগের, ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ রাজশাহী বিভাগের এবং ১ দশমিক ১০ শতাংশ বরিশাল বিভাগের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৬৯ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে; সারা দেশে এখন আইসোলেশনে রয়েছেন ২ হাজার ৭৪৮ জন।
দেশে সর্বপ্রথম ৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। আর এর দশ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যু’র ঘোষণা দেয়া হয়।