ব্যক্তিগতভাবে কারো সুস্থ সুস্থতা অসুস্থতা নিয়ে কথা বলা সাধারণভাবে সৌজন্যতার পর্যায়ে পড়ে না। কিন্তু কোন মানুষ যখন বিশেষ কোনো দায়িত্ব থাকেন, যখন তার সুস্থতা অসুস্থতা অনেক মানুষকে প্রভাবিত করে তখন বিষয়টি নি:সন্দেহে অন্যমাত্রার। এ কারণেই ব্যক্তিগত ক্ষোভ বিক্ষোভ রাগ অনুরাগের বশবর্তী হয়ে ব্যক্তিগতভাবে যেমন কাউকে কিছু কথা বলা যায়না বা বলা উচিত নয়; তেমনি আবার সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজ বা দেশের মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে মানুষের জন্য, যদি অন্য ভাবে বলি সৌজন্যতাকে পাশ কাটিয়েই না বলে থাকাও উচিৎ না, যদি বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ হয়। সাধারণ সৌজন্যতা, চুপচুপা লকলকে আনুগত্য এবং উপযুক্ত জায়গায় সম্ভবমত সাধারণ নাগরিক হিসেবে বা পেশাজীবী হিসেবে প্রশ্নউত্থাপন এ সব ভূমিকার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে। আমাদের রিপোর্টারদের, আমাদের আমলা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কারো কারো কথা শুনলে মনে হয় তাদের জন্মই যেন হয়েছে আজানুলম্বিত ভূমিতে গড়াগড়ি খাওয়া আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য। অনেক সিরিয়াস বিষয়ে তারা কথা না বললেও বা পাশ কাটিয়ে গেলেও সে রকম কোন উপলক্ষ বা সুযোগ পেলেই তোষামোদ করার অভ্যাসটা তাদের মজ্জাগত বিষয় হয়ে গেছে।
প্রিয় পাঠক বলছিলাম আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথা, সরাসরি বলে ফেলি ভদ্রলোককে কখনোই কেন যেন মানসিকভাবে সাউন্ড মনে হয়নি। অবশ্য অনেকেই মনে করেন বিশেষ করে বিগত মিডনাইট ইলেকশনের পর গঠিত মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও তাঁর বেশ কিছু সহকর্মী রয়েছেন যাদের কথাবার্তা সুস্থ ও স্বাভাবিক বলে মানুষ মনে করেন না। আবার ও বলতে চাচ্ছিলাম স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথা। করোনা কে কেন্দ্র করে তাঁর মন্ত্রনালয়ের সামনে যে বিশাল একটা অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ এসেছে সেই ব্যাপারে টীম লিডার হিসেবে এই ব্যক্তি কতদূর যোগ্য এবং উনি কতদূর প্রস্তুত ছিলেন বা কতদূর ব্যক্তিগত সক্ষমতা রাখেন? আপনারা তাঁর সাক্ষাৎকারগুলো খেয়াল করবেন- মনে হয় যে আধা জাগ্রত ও খানিক তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে তিনি কথা বলেন। যখনই বক্তব্য রাখেন তখনই মনে হয় একটা ঘোরের মধ্যে আছেন তিনি। বুধবার নতুন চিকিৎসকদের নিয়োগদান অনুষ্ঠান চিকিৎসকদের অনুষ্ঠানে বিশেষ বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তদের জন্য করোনা আশীর্বাদ হিসেবে এসেছে। একজন মানুষের মন মানসিকতা কত দূর সংকীর্ণ এবং অসুস্থ প্রকৃতির হলে এই পর্যায়ের ( যা কোন পর্যায়ের মানুষের মুখে ই মানায় না) একজন ব্যক্তির মুখ দিয়ে এরকম অবান্তর উপমা অবান্তর কথা বেরোয় আপনারা কি তা ভাবতে পারেন? এটা সবাই জানেন- বিসিএসে লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও এই ৮ হাজার ১০৭ জন নিয়োগের সুপারিশ পাননি। স্বাস্থ্য খাতের উপর করোনা ভাইরাস জনিত কারণে বাড়তি চাপ পড়ায় এই দুই হাজার জনকে সহকারী সার্জন পদে সম্প্রতি নিয়োগের সুপারিশ করে সরকারি কর্ম কমিশন- পিএসসি। এই ব্যক্তি যিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার মুখ দিয়ে কিভাবে এরকম অর্বাচীন সুলভ কথা বেরোয়। যে মহামারী গোটা বিশ্বের জীবনব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে, উন্নত অনুন্নত স্বল্পোন্নত নির্বিশেষে পৃথিবীর সব মানুষকে এমন এক নজিরবিহীন পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে; তা থেকে পুরোপুরি উত্তরণের উপায় এখনো পরিষ্কার নয়, তা কিভাবে কারো জন্য আশীর্বাদের হতে পারে? কতদূর অসুস্থ মানসিকতার হলে তার মুখ দিয়ে এমন কথা বের হতে পারে? বরং যারা লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় পাশ করেছে বিসিএস পরীক্ষায়, যারা নিয়োগের সুপারিশ পায়নি, তার জন্য তাঁর তো লজ্জিত হওয়া উচিত ছিল। কারণ যথেষ্ট পদ শূন্য থাকার পরও তাদের নিয়োগ করা যায়নি সম্ভবত রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও নীতিগত অদূরদরশীতা ও অক্ষমতার কারণে!
তিনি সেদিন ও পিপিইকে বারবার পিপিপি বলছিলেন। সেদিনও এই ভদ্রলোক বলছিলেন আমাদের অত পিপিই‘র দরকার নেই। অথচ এই যথাযথ পিপিই‘র সংকটের কারণে কয়েক শত ডাক্তার নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর ছাপা হয়েছে। কদিন আগে বললেন করোনা মোকাবেলায় আমরা নাকি ইউরোপ আমেরিকার তুলনায় ভালো করেছি। এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে কথা তুলে দুটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক শাস্তিমূলক বদলী হলেন। পরে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে তদন্ত কমিটি গঠন হয়। এখন পর্যন্ত তদন্ত কমিটি রিপোর্টের কোন খোঁজ খবর নেই। আদৌ খোঁজ খবর মিলবে কি না তার নিয়েও বিস্তর সন্দেহ কাজ করছে। এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে দাবী করেছেন এই দুর্নীতির সাথে খোদ স্বাস্থ্য মন্ত্রীর পুত্র সহ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঔষধ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট আছেন। সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী মো: নাসিমের আমলে স্বাস্থ্য খাতে মহাসাগর চুরির মত ঘটনা ঘটে। এমনিতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জিডিপি‘র .৯ ভাগ খরচ করে স্বাস্থ্য খাতকে যথেষ্ট অবহেলা করা হয়েছে। তার উপর ব্যাপক দুর্নীতি সেই মো: নাসিম, ডাঃ রুহুল হক এবং তাদের পূর্বাপর কম বেশি সব আমলের দুর্নীতির ফলাফলে সরকারী স্বাস্থ্য অবকাঠামো ব্যাপক দুর্বল হয়ে গেছে। দেশে র স্বাস্থ্য সেবাখাতের দুই তৃতীয়াংশ নাকি এখন বেসরকারী মালিকদের নিয়ন্ত্রণে। এই সংকটে যাদের অবদান প্রায় শূন্য। আয়ারল্যান্ডে বেসরকারী খাতকে সংকটকালীন সময়ের জন্য জাতীয়করণ করা হয়েছে। ব্রিটেনে সেই মার্চেই এদের এনএইচএস ( জাতীয় স্বাস্থ্য পরিসেবা)‘র অধীনে আনা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে এদের নাকি ব্যবসায়ভিত্তিক প্রস্তাব দেয়ার পরও রাজি করানো যায়নি। কেন এত নতজানুতা? দলীয় লোক বলে না সংগঠিত ব্যবসায়ী সম্প্রদায় বলে ভয়? গার্মেন্টস মালিকদের ও অকারণে যথেষ্ট তোয়াজ করা হয়েছে।
আইসিইউ বেড ভেন্টিলেটর, টেস্ট করার মত উপযুক্ত টেকনিশিয়ান সব কিছুর ঘাটতি, অথচ কথায় কথায় ইউরোপ আমেরিকার তুলনা। অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী, পিপিই নিশ্চিত করার জন্য উন্নত অনুন্নত সব দেশ নিরন্তর কাজ চলছে। তারমধ্যেও কিছু সময় সংকট দেখা দিয়েছে। ইউকেতে প্রতিবাদ, সাংবাদিকদের কঠিন প্রশ্নের জবাবদিহিতা নিত্য হয়েছে, জার্মানীতে ডাক্তার নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ করেছে। আর তা আবছা আবছা শুনে আমাদের সহমত গোষ্ঠী হৈ হৈ করে বলে উঠলো- দেখ দেখ ওদেরও সমস্যা হচ্ছে, তাহলে আমাদের হলে দোষ কি? বস্তুত: সুইডেন কিংবা ইউরোপ আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া বা ভিয়েতনাম নয় বাংলাদেশ নিজেদের মত করে এক জগাখিচুড়ী স্টাইলে করোনাকে মোকাবেলা করছে, যার খেসারত কত প্রাণকে দিতে হবে কে জানে!
করোনা সংকটের শুরু থেকে স্বভাবজাত ডিনাইয়াল একটা প্রবণতা দৃশ্যমান। বিশ্বের সব দেশ এ নিয়ে চিন্তিত, উৎকন্ঠিত। ইটালি স্পেন আমেরিকা সবাই কম বেশি দেরি করে রেসপন্স করার মূল্য দিচ্ছে। সুইডেন মডেল এর রেফারেন্স যারা টেনে ‘অর্থনীতি মানুষের চেয়ে বড়‘ নীতিকে মাথায় রেখে বাংলাদেশের মত ঘনবসতিপূর্ণ এক দেশের বিপুল জনসংখ্যাকে কথিত হার্ড ইমিউনিটির ফাঁদে ফেলে দিলেন, তাদের জন্য দু:সংবাদ হচ্ছে সুইডেনে এখন গড়পড়তা মৃত্যুর হারে বিশ্বে শীর্ষ। মহামারী কোন বিরোধী দল নয়, নয় অনুগত নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত কোন নির্বাচন। যে যেমন খুশি দমন করে ফেললাম, যেমন খুশি আমরা আমরা নির্বাচন নির্বাচন খেলা খেলে ফেললাম। এটা এক বিশ্ববিস্তৃত দুর্যোগ। বিভিন্ন সংস্থা এ নিয়ে বিশাল তহবিল গঠন করছে বিশ্বের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে। এই যে ভালো আছি ভালো আছি‘র অবান্তর কোরাস এই কোরাসে আমরা তো সে সব সহায়তার ন্যায্য অংশ থেকে কিছুটা হলেও নিশ্চিত বঞ্চিত হবো। এদিকে আইএমএফ এডিবি বিশ্ব ব্যাংকের কাছেও দৌড়ঝাপ চলছে নতুন ঋণের জন্য। অব্যবস্থাপনার সংকট, নেতা মন্ত্রীদের অবান্তর বকোয়াজ কথাবার্তা, প্রাকৃতিক সংকটকে রাজনৈতিক সমস্যার মত করে দেখা, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সমন্বয় ও পরিকল্পনাহীনতা, এমন দুর্যোগ পরিস্থিতিতেও এন-৯৫ মাস্ক দুর্নীতির মত অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা, করোনা নাই বলে বিজ্ঞান ও তথ্যকে উপেক্ষায় এরমধ্যে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। ইউরোপ আমেরিকার তুলনা না করে ভিয়েতনাম বড় জোর কোরিয়ার বিবেচনা করলেও দেশে হয়তো ক্ষয়ক্ষতি অনেক কমানো যেত। আজও করোনার চেয়ে আমরা শক্তিশালী- কোটেশনের জন্মদাতা বলেছেন, করোনা সংকটের শুরু থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে বাংলাদেশ এখনো বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই সংক্রমণ থেকে কিছুটা ভালো অবস্থানে আছে। সব কিছুতে তেল মারতে মারতে এই ভাইরাসের চেয়ে শক্তিশালী নেতাদের দৌরাত্ম্যও করোনা সংকটের চেয়েও দেশের মানুষের জন্য কম বিপদের কিছু নয়।
এদের কথা গুজবকে হার মানায়। তথ্য মন্ত্রীর ও সমান কোরাস। কি এ সবের ভিত্তি? করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার সক্ষমতা, মানুষকে পর্যাপ্ত সহায়তা করে ঘরে রাখা এসব নিয়ে যখন উন্নত ধনী রাস্ট্রগুলো হিমশিম খাচ্ছে তখন সরকারপ্রধান দু চার দিন আগে বলছিলেন শিগগির সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ইউরোপ আমেরিকার সাথে নিত্য তুলনা হয় বলেই জানাচ্ছি গত দুদিনে ইউকে তে কমপক্ষে ১ লাখ ৭০/৮০ হাজার টেস্ট হয়েছে। যেটা গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সম্পন্ন মোট টেস্ট থেকেও বেশি। রোববার বলা হয়েছে শনিবার পর্যন্ত ২ মিলিয়ন ৫৮০ হাজার ৭৬৯ টেস্ট করা হয়েছে, যার মধ্যে শনিবার করা হয়েছে ৯১ হাজার ২০৬ টি টেস্ট। ২৩ মার্চ থেকে লকডাউন চলছে। কবে পুরো উঠে যাবে তা কেউ জানে না। ২৫ সদস্যের বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকের দলের পরামর্শ কে বিবেচনায় নিয়ে সব সিদ্ধান্ত হচ্ছে। অক্সফোর্ড ও ইম্পেরিয়াল কলেজে ভ্যাকসিন এর কাজ চলছে। তারপরও নিশ্চিত আশাবাদী হতে পারছেন না কেউ। অথচ যে দেশের বাজেটের তিন ভাগের এক ভাগ যায় ঋণের সুদ দিতে, যাদের সড়ক রেল সড়ক নির্মাণের খরচ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সেই তারাই চোপার জোরে করোনাজয়ী হয়ে বসে আছে।
সব রাস্ট্র যখন সর্বশক্তি নিয়ে করোনার মোকাবেলা করছে তখন কে কি ফেইসবুকে পোস্ট দিল, কোন চাল চোরের ইজ্জত গেল, কোন অসুস্থ মন্ত্রীর সম্মান গেল, কার ভাবমূর্তির কেমন বিনাশ হলো সে নিয়ে মামলা করা হচ্ছে। আগেও বলেছি আবারও বলছি যারা গুজব ছড়ায় তারা অতি অবশ্যই নিন্দনীয় ও ঘৃণিত কাজ করে। আর যারা পায়ের তলার খবর না রেখে মুখ চালিয়ে ক্ষমতার রেসে নিজের ব্যক্তিগত লাভালাভের জন্য প্রকৃত তথ্য গোপন করে নানা অযৌক্তিক কথা বলছে, তারাও কিন্তু গুজবের কারবারীই বটে। আমার এখন বন্ধু সেদিন বললেন- এটা হয়তো স্ট্র্যাটেজি, জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার। তারপর ও চাওয়া এ টুকু- সব অপরাজনীতি ও অব্যবস্থাপনার মধ্যেও মানুষ জিতুক, বাংলাদেশ বাঁচুক।মুনাফাখোর গার্মেন্টস মালিক, ঋণখেলাপি, ঘরে ঘরে নগদ টাকার ভান্ডারের মালিকরা, চাল চোর আর তাদের সহযোগীরা কোটি কোটি নিরন্ন মানুষকে না হয় একটু দয়া করুক। রাষ্ট্র যখন শ্রমিকের স্বার্থ/অধিকার নিশ্চিতে ব্যর্থ ও অপারগ বা ওদের কাছে সমর্পিত হয়ে বসে আছে, তখন না হয়, ওরা নিজেরাই একটু মানবিক হয়ে মানুষকে বাঁচতে দিক। সোশ্যাল মিডিয়া অনলাইন বিটিভি মিডিয়া কিংবা এ মুহুর্তে বিশ্বে বিরল একতরফা প্রশ্নোত্তরবিহীন নিয়মিত করোনা বুলেটিন বা কোন মন্ত্রীর বসার ঘর থেকে দেয়া অমূল্য বাণীতে থাকা গুজব সদৃশ কথা বা তথ্য বা প্রকৃত গুজব গুলো বন্ধ হোক। সুখ দুঃখে যাই থাকি, আপাতত না হয় কস্টে আছি সবাই জানুক। তাতে সমস্যা কি হে বাক্যলোচন?? উন্নয়নের চটকদার গল্প না হয় এ করোনাকালে খানিকটা উহ্যই থাক। মানুষ থাকলেই মানুষ বাচার পরই তো অন্য কিছু। বিশ্ব জুড়ে তো কমবেশি এই সুর। এর মধ্যে আমাদের সুর ভিন্ন হবে কেন???
শাহ আলম ফারুক
মানবাধিকার কর্মী আইনজীবী
সম্পাদক (অবৈতনিক) : স্ট্রেইট ডায়ালগ ডট কম