কার্গিল হাই স্কুল (৩)
[এ লিখাটি ওরাল হিস্ট্রি বা স্মৃতিকথন, ইতিহাস নয়। তবে ইতিহাসবিদরা এই লিখা থেকে তথ্য- উপাত্তগুলো গবেষণার জন্য সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করতে পারেন। লেখকের সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত করে অনুমতি রইল।]
সন্দ্বীপের তৎকালীন সাব-ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মৌলভী হাফিজ উদ্দিন খানের মাধ্যমে সন্দ্বীপের গন্যমান্য ব্যাক্তিদের মধ্যে মৌলভী বশিরুল্লাহ চৌধুরী, আহমেদ মিয়া মোক্তার, প্রসন্ন কুমার দাস মোক্তার, বানীনাথ দাস মোক্তার, মৌলভী সৈয়দ মিয়া, খুরশিদ আলম চৌধুরী ও অন্যান্য কালজ্বয়ী মহাপুরুষগণ জেলা মেজিস্ট্রেট জে ডি কার্গিলের কাছে ইংরেজি হাই স্কুল প্রতিষ্ঠার আবেদন করেন ১৯০১ সালে ডিসেম্বর মাসে।। মাত্র ২ মাসের মধ্যে ১৯০২ সালের ২ ফেব্রুয়ারী কার্গিল হাই ই স্কুলের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপিত হয়। টাউনের দক্ষিণ পাশে পোলঘাট সংলগ্ন ৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। সেই থেকে ১৯৯৪ সালে নদী সিকস্তিতে বিলীন হওয়া পর্যন্ত স্কুল ভবনগুলি নানা ভাবে সংস্কারের মধ্য দিয়ে জ্ঞান বিস্তারে নিয়োজিত ছিল।
পরবর্তীতে সাব-ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মৌলভী হাফিজ উদ্দিন খানের চেষ্টায় আধা পাকা ভবন তৈরী করা হয়। টাউনবাসীগণ উনার অবদান স্মরণ করতে কার্পণ্য করেননি। আমি দেখেছি স্কুলের গায়ে শ্বেত মার্বেল পাথরে খুদাই করে কালো কালিতে লেখা ছিল: “Constructed by the extension of Moulvi Hafiz Uddin Khan B.A. Secretary 1912“
কার্গিলে প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন শচীন্দ্র গুহ, তারপর আচার্য্য গিরিশ চন্দ্র চক্রবর্তী, মনীন্দ্র লাহিড়ী, মোহিনী মোহন চৌধুর, মৌলভী মজিবুল হক, মৌলভী মোজাফ্ফর হোছাইন ও ১৯৬৩ সাল থাকে মোহাম্মদ হোসেন ছিলেন প্রধান শিক্ষক। এরপর আবু হেলাল চৌধুরী ও মিসেস ইসমত আরা শোভাও প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। হেলাল ভাই ও শোভা আপা কথায় কথায় ইংরেজি বলতে শুনেছি। হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ইংরেজিতে দক্ষতা থাকার উপর নির্ভর করতো স্কুলের গ্রেড।
স্কুল অফিসের সংলগ্ন একটি কক্ষে হেড মাস্টার মোহাম্মদ হোসেন স্যার থাকতেন। উনার বাড়ি থেকে খাবার আসতো। বাড়িতেও যেতেন। স্কুল অফিসের ও ফোয়ারা উত্তর পাশের বারান্দায় রশিদ মামু বা রশিদ পাগলা রাত্রি যাপন করতেন। খাবারও খেয়ে নিতেন।
কার্গিল পুকুরের পানি ছিল স্বচ্ছ ও পরিষ্কার। আমি মাঝে মধ্যে ওই পুকুরে গোসল করতে যেতাম। তখন হেড মাস্টার মোহাম্মদ হোসেন স্যারের সাথে দেখা হতো। স্কুল শুরু হবার আগে উনি গোসল করতে পুকুরে আসতেন। উনি আমার শিক্ষক ছিলেন না। আমার ভাইদের শিক্ষক ছিলেন। উনার আব্বার সাথে আমার বাবার বন্ধুত্ব ছিল। সেই সুবাদে আমি অপেক্ষাকৃত স্নেহভাজন অবস্থানে ছিলাম। বিভিন্ন বিষয়ে উনি আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন; খোঁজ খবর নিতেন। একবার উনি tense নিয়ে প্রশ্ন করলেন। সেকালের বিখ্যাত বাক্য “ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগীটি মারা গেল;“ ইহার ইংরেজি কি ও কোন টেন্স/tence? কতগুলি ছকবাঁধা বাক্য ছিল; যেগুলো দিয়ে ইংরেজি জানা ও না জানা নির্ণয় হতো।
শুনেছি হোসেন স্যারের সাথে ইংরেজি ভাষা নিয়ে হেদায়েতুল ইসলাম স্যারের মতদ্বৈততা হতো। হেদায়েত স্যার কার্গিল হাই স্কুলের চাকরিটি স্থায়ী করতে পারেননি ইংরেজিতে পান্ডিত্য থাকার করণে। কোনো কোনো সময়ে বেশি জানাশুনা ও জ্ঞান গরিমা নিজের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। আত্মঘাতী হতে পারে। হেদায়েত স্যার ছিলেন মরমীবাদী ও মাইজভাণ্ডার ভক্ত।
হেদায়েত স্যার বই পড়াতেন কম; গল্প করতেন বেশি। আসলে গল্প করার মধ্য দিয়ে উনি পড়াতেন। উনার গল্প বলার ধরণটি ছিল অন্য রকম। উনি গল্প করতেন এইভাবে যে, একবার এক ইংরেজ বাংলাদেশের যে কোন এক বাংলোতে অবস্থান করছিলেন। উনি দেখতে পেয়েছিলেন যে, কাল বৈশাখী দিনে এক ভদ্রলোক আম কুড়িয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। তখন ওই ইংরেজ ভদ্রলোক বাড়ির লোকজনদের ডেকে বলছেন- ম্যান গো অর্থাৎ লোক যাচ্ছে। সেই থেকে আমের ইংরেজি নামকরণ হলো mango। কারণ বিলাতে আম ও আম গাছ নেয়। আমের প্রতিশব্দও নাই।
History অর্থাৎ হিজ স্টোরি অর্থ হলো তার কাহিনী, ইতিহাস। উনি বলতেন যে, জেন্ডার বিবেচনায় Herstory শব্দটি নেয়। কেননা নারীরা শাসক ছিলেন না। বাংলায় ইতিহাস শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো “History”, যা গ্রিক শব্দ “Historia” থেকে উদ্ভূত, এর অর্থ কোন বিষয়ে অনুসন্ধান বা গবেষণা করা। ইতিহাসের জনক হিসেবে খ্যাত হেরোডোটাস তার গ্রিক ও পারসিকদের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষের ঘটনা সম্বলিত গ্রন্থের নামকরণ করেন Historia (যার ইংরেজি অনুবাদ করা হয়েছে Histories হিসাবে)। যাহোক উনার শিক্ষণ ধরণটাই ছিল আলাদা।
হেদায়াত স্যার আমার অগ্রজ ভাই মোহাম্মদ ইকবাল শাইলোকে ইংরেজি পড়াতেন গৃহ শিক্ষক হিসাবে। পরে উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। উনি একটি ইংরেজি পত্রিকার সর্বকনিষ্ঠ এডিটর ছিলেন। জিওপলিটিক্সে পিএইচডি করেছেন ও আন্তর্জাতিক জার্নালের সিকিউরিটি ও মানবকল্যান বিষয়ে গবেষণামূলক আর্টিকেল লেখক। ডঃ ইকবাল শাইলো বর্তমানে কানাডা সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ ন্যাশনাল ডিফেন্স এ (Department of National Defence) পলিসি এডভাইসর হিসেবে কর্মরত। অনেক বছর ধরে তিনি অটোয়ার কার্লটন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করেছেন। সন্দ্বীপের মাটি ও মানুষ এবং জীবনযাত্রার উপর উনার রিসার্চ পেপার আছে।
সন্দ্বীপের অনারারি ম্যাজিস্ট্রেট ফজলুল করিম ডেপটির ছেলে আব্দুল্লাহ স্যারের স্নেহভাজন ছাত্র ছিলেন আমার অগ্রজগণ। A T Dev এর ইংলিশ টু বাংলা ডিকশেনারী স্যারের মুখস্ত ছিল, মানচিত্রও। শেষ বয়সে চোখে ঝাপসা দেখতেন। যে কোন ইংরেজি শব্দ উনি পৃষ্ঠাসহ তর্জনীর ইঙ্গিতে বলে দিতে পারতেন- কোন পৃষ্ঠায় ও কোন দিকে শব্দটি রয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উনি ডিগ্রি করেছিলেন। আমার মেজু বোন শারাবান তহুরা থেকে ছোট বোন জান্নাতুল ফেরদৌস আফরিন পর্যন্ত ইংরেজি পড়িয়েছেন। পরে আফরিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়লয়ের সহকারী অধ্যাপক ছিল।
উনিশ শ সত্তরের দশকে আব্দুল্লাহ স্যার বশিরিয়া আহমদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ইংরেজি শিক্ষক ছিলেন ও আমাদের গৃহ শিক্ষকও ছিলেন। আমার ভাই এক্সেকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মরহুম মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন তালুকদারকে ইংরেজি ও ম্যাথ পড়াতেন। কার্গিলের সুনামধন্য ছাত্র ছিলেন। উনার ব্যাচমেট ছিলেন আখতার ভাই (নুরুল আখতার, যিনি ডাকসুর পর পর দু’বার সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন), মিন্টু ভাই (ডাক্তার রুহুল আমিন চৌধুরী, যিনি কার্গিলের হেড মাস্টার আবু হেলাল চৌধুরীর ছোট ভাই;যাঁর দাদা ছিলেন সাব রেজিস্টার মৌলভী বশিরুল্লাহ চৌধুরী, যিনি কার্গিল হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন), মাহবুব ভাই ও শফিক ভাই (ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান ও ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান, সন্দ্বীপ টাউনের ফার্মেসীর মালিক মাকসুদুর রহমান সাহেবের যমজ সন্তান), মরহুম আলমগীর ভাই (যিনি খান বাহাদুর জিয়াউল হকের নাতি ছিলেন), বশির ভাই (বশির আতহার বর্তমানে USA তে কেমিস্ট হিসেবে কর্মরত আছেন ও শহীদ জাহিদুর রহমান মোক্তারের ছোট ছেলে) এবং আরো অনেকে। আমরা তখন জানতাম, ওই ব্যাচটি কার্গিলের সবচেয়ে ভালো ব্যাচ।
কার্গিল হাই স্কুল কয়েকজন বিশ্ব ব্যাক্তিত্বকে বরণ করেছিল। তন্মধ্যে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক উল্লেখ যোগ্য। ১৯৩৮ সালে এ কে ফজলুল হক বাঙলার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সন্দ্বীপে আসেন। কার্গিল হাই স্কুলে এসে কমনরুম, স্কুল লাইব্রেরীসহ পাঠদান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বাহাদুরা জাহাজে চড়ে কবি নজরুল সন্দ্বীপে আসেন কমরেড মুজাফ্ফর আহমদের বাড়িতে। ১৯২৮ সালের ডিসেম্বর মাসে। অন্য একটি ভাষ্য মতে, আবদুল মোক্তাদের ও সলিম উল্যা চৌধুরী কবি নজরুলকে সঙ্গে করে ষ্টীমার যোগে সন্দ্বীপ পৌঁছেন ১৫ মাঘ ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ। পরদিন মঙ্গলবার, ১৬ মাঘ ১৩৩৫ বা ২৯ জানুয়ারি ১৯২৯ সালে কার্গিলের মাঠে সন্দ্বীপবাসীর পক্ষ থেকে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়। আমার বাবা মরহুম আলহাজ আলী আহমেদ তালুকদার গণসংবর্ধনা কমিটির সহযোগী ছিলেন। আব্বা বলেছেন, কবি যারপরনাই খুশি হয়েছিলেন ও অনেকগুলো গানের মধ্যে `নতুনের গান`টি শুনিয়েছিলেন।
চল চল চল!
ঊর্দ্ধ গগনে বাজে মাদল
নিম্নে উতলা ধরণি তল,
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চল রে চল রে চল
চল চল চল।। …………………………
১৯২৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নজরুল মুসলিম সাহিত্য সমাজের ২য় বার্ষিক সম্মেলনের উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসেন। `নতুনের গান` ১৯২৮/২৯ খ্রিস্টাব্দে রচিত এবং সুরারোপিত `সন্ধ্যা` কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। এই সঙ্গীতটি ১৯৭২ সালের ১৩ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকে বাংলাদেশের রণ-সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচন করে। বাংলাদেশের যে কোনো সামরিক অনুষ্ঠানে ২১ লাইন যন্ত্রসঙ্গীতে বাজানো হয়। এই গানটি ২০০৬ সালে বিবিসি বাংলার করা জরিপে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের ১৮তম স্থান অধিকার করে।
ঐতিহাসবিদ গবেষণা করে দেখবেন `নতুনের গান`টি সর্বপ্রথম কার্গিলের মাঠে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কবি গেয়েছিলেন কিনা? কবি নজরুল ইনস্টিটিউট কর্তৃক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কাজী নজরুল ইসলামের জীবনপঞ্জিতে সন্দ্বীপে কবির আগমন ও কিছুদিন অবস্থান করে গান-কবিতা লিখেছেন; তার কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয় নাই। যাহোক কার্গিলে প্রদেয় সন্দ্বীপবাসীদের পক্ষ থেকে মানপত্রটি ছিল নিন্মরূপ:
খোশ আমদেদ
বুলবুলের কবি
কাজী নজরুল ইসলাম সাহেব সমীপেষু।
হে অতিথি।
সিন্ধুর কনিষ্ঠা কন্যা আমাদের এই শ্যামল তটভূমিতে তরুণ প্রাণের সমস্ত আবেগ, সমস্ত আনন্দ লইয়া আমরা তোমাকে অভিনন্দন জানাইতেছি। দরিদ্র আমরা, গৃহে ডাকিয়া লইবার সামর্থ কি আমাদের আছে? চারিদিকের সফেন জলরাশির উচ্ছল আনন্দনর্তন আমাদিগকে আমাদের অভাব অভিযোগ ভুলাইয়াছে; তোমাকেও একান্ত আপনার বলিয়া গ্রহণ করিবে, তসলিম জানাইবে। `ওগো কৃষাণের কবি, আর্তের দরদী` আমাদের প্রাণের কথা গানের সুরে তোমার কণ্ঠের বুলবুল গাহিয়া বেড়াইতেছে; আমাদের ব্যথা তোমাকে ব্যথিত করিয়াছে, আমাদের `ক্ষুধা` তোমাকে অভিভূত করিয়াছে; ওগো বন্ধু। তাই আমাদের সমস্ত ভক্তি-শ্রদ্ধা ভালোবাসা উজাড় করিয়া তোমার ডালি সাজাইয়া আনিয়াছি।
সমুদ্রের কল্লোল দিবারাত্র আমাদের নিকট কোন অজানার বাণী বহিয়া আনিতেছে; কোন দূর সীমান্তের পানে কে যেন হাতছানি দিয়া আমাদিগকে ডাকিতেছে; সে ডাকে, সে হাতছানিতে তুমি তোমার `গোপন প্রিয়ার`উদ্দেশ্যে গাইবে, তোমার বাঁশি নতুন সুরে বাজিয়ে উঠিবে, তোমার প্রাণ ভালোবেসে আপ্লুত হইবে। সে প্রাণের, সে গানের ধারায় আমাদিগকে উদ্বুদ্ধ কর; অনুপ্রাণিত কর, হে কবি!
তোমর আগমন আমাদিগকে সবুজ প্রাণরসে সিঞ্চিত করিয়াছে; নব বসন্তের হে নকিব!
তোমাকে সালাম জানাই!
ইতি-
তোমার স্নেহের মহিমান্বিত
সন্দ্বীপের অধিবাসীগণ।
তাং: ১৬ মাঘ ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ
সন্দ্বীপবাসী কবির সম্মানে হৃদয় নিংড়ানো প্রেমময় ভালোবাসা থেকে উপরোক্ত মানপত্রটি উপহার দেন। যা সন্দ্বীপবাসিদের জন্য বিশ্ব ইতিহাসের একটা অংশ হিসাবে পরিগণিত হতে চলেছে। অনেক বছর আগে ঢাকার নজরুল ইনস্টিটিউটে মানপত্রটির কপি দেখেছি। আপনিও সময় করে মানপত্রটি দেখে আসতে পারেন বৈ কি!
আর এইভাবে আমাদের পূর্বপুরুষদের সাথে সময়ের ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও, হয়তো আত্মার বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারব!
স্মৃতিকথনে: শিব্বীর আহমেদ তালুকদার
আইনজীবী, সমাজ সংগঠক ও কথ্য ইতিহাস গবেষক।
sandwip21st@gmail.com
বাংলাদেশ সময় সকাল ৯ টা, তাং: রোববার, ২১/০৬/২০ ইং।
—————-
লেখকের ব্যাখ্যা: আশা করি, এই পর্বটি আপনাদের ভালো লেগেছে। লাইক ও কমেন্টের মাধ্যমে মতামত দিবেন, প্লিজ। কোনো রকমের তথ্য বিভ্রাট হলে জানাবেন বা ইমেইল করবেন। ফলে ভুল শুধরে নিতে পারবো। আর এই পোস্টটি শেয়ার করে নিন আপনার অনলাইনের সোশ্যাল বন্ধুদের মাঝে। যাতে আগামী পর্ব থেকে উনারাও সরাসরি স্মৃতিকথনের সাথে যুক্ত হতে পারেন। সন্দ্বীপকে নিয়ে নস্টালজিয়া ও কেতাদুরস্ত সন্দ্বীপিয়ানা স্মৃতিকথনমূলক পরবর্তী পর্বের উপর ‘চোখ রাখুন’ – আগামী রোববার ২৮/০৬/২০ইং
শিরোনাম থাকবে: কার্গিল হাই স্কুল (৪)