সোজা কথা ডেস্ক: ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যয় তদন্ত করে দেখা হবে। এখনও পর্যন্ত হোটেল থাকা-খাওয়া অন্যান্য বিল ভাউচার মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেনি। কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) বিকেল ৩টায় প্রথমবারের মতো ঢামেক হাসপাতাল সরেজমিন পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব পদে নিয়োগের পর এটাই তার প্রথম ঢামেক হাসপাতাল পরিদর্শন।
গণমাধ্যমকর্মীরা পরিদর্শনে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে হাসপাতালে রোগীরা কেমন আছে, চিকিৎসা সেবার সঙ্গে জড়িত চিকিৎসক-নার্সসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কেমন আছেন, তা সরেজমিনে এসে দেখা এবং জানাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।’
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিনসহ চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলে তিনি চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় কী কী সমস্যা হয়েছে এবং উত্তরণের পথ জেনে নেন।
উল্লেখ্য, ঢামেক হাসপাতালে গত দুই মাসে হোটেল ভাড়া, খাবার-দাবার ও যাতায়াত বাবদ ২০ কোটি টাকার বিলের চাহিদাপত্র পাঠানো হলে এত বিপুল অঙ্কের টাকা সঠিকভাবে খরচ হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। তবে গতকাল ১ জুলাই ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে করোনাকালীন সময়ে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য এ টাকা খরচ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।