কার্গিল হাই স্কুল (৫)
[এ লিখাটি বা পর্বটি ওরাল হিস্ট্রি বা স্মৃতিকথন, ইতিহাস নয়। তবে ইতিহাসবিদরা এই লিখা বা পর্বগুলো থেকে তথ্য-উপাত্তগুলো গবেষণার জন্য সূত্র বা রেফারেন্স উল্লেখপূর্বক এবং সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে শেয়ার করতে হলে পূর্ব অনুমতি নিয়ে উদ্ধৃতি বা লেখকের টাইম লাইন থেকে শেয়ার করতে পারবেন। গবেষক ছাড়া অন্যরা পর্যালোচনা এবং প্রবন্ধ লেখার ক্ষেত্রে উদ্ধৃত করতে হলে লিখিত অনুমতি ব্যতিরেকে, আংশিক বা সম্পূর্ণ কোন ধরণের অনুলিপি করা যাবে না। বাংলাদেশ ও আর্ন্তজাতিক কপিরাইট আইন দ্বারা লেখক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লিখিত অনুমতির জন্য ইমেইল: sandwip21st@gmail.com]
আমি ফেইস বুকে ও অনলাইন পোর্টালে দেখতে পেয়েছি যে কার্গিল হাই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের একটি সংগঠন আছে। তারা যোগাযোগ রাখছে ক্লাসমেটদের সাথে। সোস্যালাইজেশন করছে, কার্গিল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের এলামনাই, কার্গিলিয়ান। কার্গিলিয়ান হলো কার্গিলের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রী পরিষদ। বরেষু মোঃ সাইফুর রহমান লিংকন প্রমুখ এই সংগঠনের সাথে জড়িত আছে। গর্ব করার মত একটি প্রতিষ্ঠানের একটি সংগঠন। অন্তত নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম তৈরি হলো।
১৮৭৯ খৃস্টাব্দের সবেধন হারামনি ও ১৯০২ খৃস্টাব্দ থেকে কার্গিলের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের নামের তালিকা প্রণয়ন করা সত্যিই এক বিস্ময়কর ব্যাপার হবে। তাহলে আমাদের প্রজন্ম জানতে পারবে কার্গিল হাই স্কুল কত হাজার জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়েছে ও কত আলোকিত মানুষ তৈরী করেছে। সন্দ্বীপের অন্যান্য স্কুল কলেজ মাদ্রাসা থেকেও আমি তা আশা করছি। অতীতকে সংরক্ষণ করা অতীব জরুরি, ভবিষ্যতের পথ সুগম করার জন্যে।
ভেবে দেখুন না, কার্গিলিয়ানরা প্রতি বছরে একই টোল টেবিলে বসে পড়েছে। একই ওয়াল রাইটিং বোর্ড বা ব্ল্যাক বোর্ড, সম্ভবত একজন শিক্ষক একই বই পড়িয়েছেন যুগ যুগ ধরে। গ্রামারের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের শিক্ষণ পদ্ধতি একই ছিল। সিলেবাস পরিবর্তন না হলে আরও মজা। ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকের মধ্যে এক জায়গায় আর্শ্চয্য রকমের মিল রয়েছে। সবেধন হারামনি বাঙলা বিদ্যালয় থেকে ইংরেজি স্কুলে রূপান্তরিত হওয়ার পর বাঙলা(দেশ)কে সার্ভ করেছেন কার্গিলিয়ানরা ও বিলাতীদেরকেও সার্ভ করেছেন। বিলাতি শাসকদের ভাষা ইংরেজি শিখে দেশ মাতৃকার জন্য নিবেদিত কাজ করেছেন। ১৯০২ খৃস্টাব্দ থেকে আজ পর্যন্ত অনেক কার্গিলিয়ান দেশে-বিদেশে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন ও রাখছেন।
কার্গিল সন্দ্বীপের আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক আশা ভরসার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। স্থানীয় ও জাতীয় ভাবে দাদাগিরী ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রেখেছেন। বলা হচ্ছে, প্রতিপক্ষের ভাষা না জানলে প্রতিপক্ষকে বুঝবেন কি ভাবে? কার্গিলিয়ান সে অর্থে প্রতিপক্ষের অন্তরের ভাষা বুঝতে সক্ষম হয়ে দেশীয় ও বিলাতি ধাঁচের প্রশাসন যন্ত্রের সাথে দেন দরবার করেছেন।
১৭৫৭ সালের পলাশীর পরাজয়ের পর এক শত বছর লেগেছে ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ সংগঠিত হতে। বিলাতীদের বিরুদ্ধে সঙ্গবদ্ধ হতে। ভারতীয়রা দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এক পক্ষ বিলাতীদের পক্ষ দেয়, আর অন্য পক্ষকে দমন করার নীতিতে নিগৃহীত হতে হয়েছে। কিন্তু সঙ্গবদ্ধ চেষ্টাকে আপনি দমন করবেন কি ভাবে? সুপ্ত তো আর গুপ্ত থাকে না। সত্য ও সুন্দর মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। পৃথিবীর ইতিহাসে কালো ছায়া অক্টপাসের মত আঁকড়ে ধরেছে বটে, কিন্তু তা টিকে থাকে নি। টিকে থাকে না। সাধারণরাই অসাধারণ হয়েছে ক্ষমতার বিচারে।
১৮৮৫ খৃস্টাব্দে ভারতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা লাভ করে। মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার ১ বছর আগে ১৯০৫ সালে বঙ্গ ভঙ্গ হয়। পূর্ব বঙ্গ ও পশ্চিম বঙ্গ। বিলাতীদের ব্যাবসায়িক ও প্রশাসনিক স্বার্থ ছিল বঙ্গ ভঙ্গে। পূর্ব বঙ্গের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের উপকার ও উন্নয়ন হতো বঙ্গ ভঙ্গ বাস্তবায়িত হলে। অতপর পূর্ব বঙ্গের জনগণের আশা আকাঙ্খার আরো সুষ্ঠ প্রতীক হয়ে দাঁড়ালো ১৯০৬ খৃস্টাব্দে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত মুসলিম লীগ। এক পক্ষের প্রবল বিরোধিতার ফলে ১৯১১ সালে বঙ্গ ভঙ্গ রদ হয়। এক পক্ষ অস্র হাতে তুলে নেয়। পূর্ব বঙ্গের (মুসলিম লীগকে) আশ্বস্ত করা হলো বিশ্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। বঙ্গ ভঙ্গের ফলে এই অঞ্চলে আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল। তা আর হলো না। বিরোধিতা করা হলো ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের। শিক্ষায় মানুষকে আত্মনির্ভর হতে শেখায়। শিক্ষাহীন মানুষ কর্তার ইচ্ছায় চলে, নিজের কোনো এজেন্ডা থাকে না। তাই উচ্চ শিক্ষার পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা করা হলো।
বঙ্গ ভঙ্গ আবার বাস্তবায়িত করতে আমাদের আরো ৬০ বছর লেগে যায়। আমরা ভাষা ভিত্তিক নেশন স্টেট হিসাবেও বাংলাদেশ স্বাধীন করতে পেরেছি। কুর্দিরা পারেনি, তামিলরা পারেনি, আরও অনেকে পারেনি যারা ভাষা ভিত্তিক জাতি হিসাবে স্বীকৃত। যে ভাষার স্বতন্ত্রীকরণের বীজ সন্দ্বীপের কবি আব্দুল হাকিম প্রায় ৪০০ বছর আগে বপন করে গিয়েছিলেন।
যাহোক, ১ লা জুলাই ২০২০ ইং হলো ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার এক শত বছর, শুভ জন্ম দিন। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। আমি ঢাকা কলেজের ছাত্র ছিলাম। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শত বছর ও ঢাকা কলেজের এক শ আশি বছর পূর্তি দেখেছি। আমি আরেকটি প্রতিষ্ঠানে পড়তে সমর্থ হয়েছি যার দুই শত চল্লিশ বছর পূর্তি দেখেছি। উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরানো প্রতিষ্ঠান এইগুলি। এই তিনটি প্রতিষ্ঠানই পূর্ব বঙ্গের আদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। আব্বা বলতেন- পড়তে হবে ভালো প্রতিষ্ঠানে; স্বাস্থ্যকর খাদ্য খেতে হবে। উনি আমাদের সব ভাইবোনদের সেভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন ও সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
পোলঘাট থেকে উত্তর দিকে মাত্র দু তিন মিনিট হাঁটলে পাকা রাস্তার পূর্ব পার্শ্বে একটি পাকা গেইট ছিল। টাউনের পোলঘাট থেকে যে পাকা রাস্তাটি উত্তর দিকে সন্দ্বীপ হাই স্কুল পর্যন্ত (ও পরে চাইর আনি হাট বা চৌদ্রির হাট পর্যন্ত) ছিল। ওই গেইটের রাস্তাটি স্কুলের নিজস্ব রাস্তা, পুকুর পর্যন্ত ছিল পূর্ব পশ্চিমে লম্বা। পূর্বে পুকুর ও পশ্চিমে টাউনের পাকা রাস্তা। চার পাঁচ মিনিট হাঁটা পথ। এই রাস্তা সংলগ্ন উত্তর পাশে কার্গিল হাই স্কুল ও দক্ষিণ পার্শ্বে দরাজ মাঠ। এক সময় হেলিপ্যাড ছিল। তারপর খেলার মাঠ। টুর্নামেন্ট। দেশি বিদেশী খেলোয়াড়ের আগমন। রাজনৈতিক দলের সমাবেশ এই মাঠে। দেশীয় ও জাতীয় নেতাদের জ্বালাময়ী বক্তৃতা এই মাঠে। কতই সুন্দর ছিল দিনগুলো।
কার্গিলের পুকুরের অনতি পশ্চিমে উনিশ শ সত্তরের দশকে মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। পরে অবশ্য শহীদ মিনারও নির্মিত হয়েছিল। পুকুরের ঘাটলা সংলগ্ন টিউব ওয়েল ছিল। পানি উপরে সংরক্ষণ করার জন্য টিনের তৈরী ট্যাংক ছিল। কোনো এক অদৃশ্য কারণে তা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আর মেরামত করা হয়নি।
টিউব ওয়েলের পশ্চিম পাশে বড়সর ফ্লোর পাকা টিনের ঘর ছিল। এই টিনের ঘরের উত্তর পাশে আরেকটি বড়সর ঘর ছিল, যেখানে পাঠ দান হতো। প্রাইমারি পাঠ দান সেই ঘরেই হতো। সামনের ফ্লোর পাকা টিনের ঘরটি ১৯৬০ সালের ঝড়ে ভেঙে যায়। হেলিপ্যাডের অফিসও ছিল। প্রলয়ঙ্করী ঝড় আসে ১৯৬০ সালের অক্টোবর মাসে। স্কুল গৃহ ভেঙে যায়। শের এ বাংলা এ কে ফজলুল হক বাংলার প্রধানমন্ত্রী থাকা কালীন সন্দ্বীপে আসেন ১৯৩৮ সালে। উনার পরিদর্শনকৃত কমনরুম ও লাইব্রেরীও চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে পড়ে। সন্দ্বীপে তখন মুরব্বীদের মধ্যে বলাবলি হচ্ছিল যে, রাজা অপরাধী ও নীতিহীন হলে দেশে অরাজকতা ও দুর্যোগ আসে- প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বড় বৃষ্টি; দুঃসময়, অশুভ সময় আসে। গ্রীকের রাজনৈতিক ইতিহাসেও এমন কাহিনী সমেত উপাখ্যান আছে। তার মধ্যে ইডিপাস উল্লেখযোগ্য।
আমাদের ইতিহাসে ১৭৫৭, ১৮৫৭ ও ১৯৫৮ সাল বেদনাহত ছিল। ১৯৫৮ সালে স্বৈরশাহী আইয়ুব খানের সামরিক শাসন চলছে। নির্বাচিত যুক্তফ্রন্টের সরকার সোহরাওয়ার্দীকে উৎখাত করে সামরিক শাসন জারি করে। ব্রিটিশ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর সম্ভবত যেকোন স্বাধীন দেশের জন্য এটাই প্রথম সামরিক অভ্যত্থান।
আগেই বলেছি, কার্গিল হাই স্কুলের মাঠে হেলিপ্যাড ছিল। আজম খান হেলিকপ্টারে চড়ে সন্দ্বীপে আসেন ঝড়ে বিধ্বস্ত সন্দ্বীপকে দেখতে ও কাৰ্গিলকে অনুদান দেন। আজম খান কার্গিলের হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। মুহাম্মদ আজম খান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর লেফটেনেন্ট-জেনারেল হিসাবে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ১৯৫৩ সালে লাহোরে সংঘটিত আহমদিয়া বিরোধী দাঙ্গা দমনে ভূমিকা রেখেছিলেন। আইয়ুব খানের শাসনামলে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ছিলেন। ১৯৬৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় তিনি আইয়ুব খানের বিরোধী প্রার্থী ফাতেমা জিন্নাহর পক্ষে কাজ করেছেন।
আজম খান প্রথমে নির্বাচিত বেসামরিক সরকার সোহরাওয়ার্দীর বিরুদ্ধে এবং তারপরে রাষ্ট্রপতি ইস্কান্দার মির্জার বিরুদ্ধে, সেনাবাহিনী অফিসার ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খানের অভ্যুত্থানকে সমর্থন করেছিলেন। ১৯৫৮ সালের ২৮ অক্টোবর তাকে আইয়ুব খানের প্রশাসনে শরণার্থী পুনর্বাসনের সিনিয়র মন্ত্রী করা হয়। আজম খান ১৯৫৮ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে ১৯৬৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান অলিম্পিক এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
১৯৬০সালের ১৪ এপ্রিল তিনি পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত হন। তিনি পূর্ব পাকিস্তানের একজন সুপরিচিত গভর্নর ছিলেন। আজম খান তাঁর ব্যক্তিগত আচরণ এবং সকল শ্রেণীর লোকের সাথে অবাধ মিশ্রণের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন। এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল যে, রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান গভর্নরের জনপ্রিয়তায় বিরক্ত হয়েছিল এবং তাঁর দ্বারা হুমকী অনুভূত করেছিল। আইয়ুব খান তাকে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে মনে করতে থাকে। ১৯৬২ সাল পর্যন্ত তিনি গভর্নর পদে ছিলেন।
আজম খান ১৯৫৭ সালে গ্রাফিক আর্ট ইনস্টিটিউট ঢাকায় প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় আযম খান “ফাতেমা জিন্নাহর রাষ্ট্রপতির প্রার্থিতা সমর্থন করেছিলেন” এবং পরবর্তীকালে ১৯৬২ সাযে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে দৃঢ়তা সাথে বিরোধীতা করেছেন।
এক সময় কার্গিল প্রাইমারি স্কুলকে পাকা ভবনে রূপ দানের পরিকল্পনা করা হয়। তখন প্রাইমারী ছাত্রছাত্রীদের থেকে চাঁদা নির্ধারিত হয়। আমার যতটুকু মনে পড়ে, আমিও ক্লাস থ্রী’র ছাত্র হিসাবে পাঁচ সিকা (এক টাকা পঁচিশ পয়সা) চাঁদা দিয়েছিলাম। মূল গেইটের প্রবেশ পথে হাতের উত্তর পার্শ্বে দ্বিতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল ও সাথে একটি টিনের ঘর ছিল।
আইয়ুব বিরোধী মনোভাবের ফলে আজম খান ও ফাতেমা জিন্নাহকে `মন্দের ভাল` বা স্টাট্ৰেজিক পলিসিতে আমরা সমর্থন করি। গভর্নর আজম খান ঝড়ে ভগ্ন ও বিধ্বস্ত কার্গিল হাই স্কুল গৃহের সংস্কার ও নুতন ভবন নির্মাণে তাৎক্ষণিক অর্থ বরাদ্দ করেন। আজম খানের প্রদেয় অর্থ সাদরে গৃহীত হয়।
১৯৯৪ সালে নদী গর্ভে পতিত ও বিলীন হওয়া পর্যন্ত ঐতিহ্যবাহী কার্গিল হাই স্কুল ভবনটি আজম খানের শিক্ষার প্রতি মমত্ববোধ বহন করতো।
স্মৃতিকথনে: শিব্বীর আহমেদ তালুকদার
আইনজীবী, সমাজ সংগঠক ও কথ্য ইতিহাস গবেষক।
sandwip21st@gmail.com
—————-
আশা করি, এই পর্বটি আপনাদের ভালো লেগেছে। লাইক ও কমেন্টের মাধ্যমে মতামত দিবেন, প্লিজ। কোনো রকমের তথ্য বিভ্রাট হলে ইনবক্সে ম্যাসেজ দিবেন বা ইমেইল করবেন। ফলে ভুল শুধরে নিতে পারবো। আর এই পোস্টটি শেয়ার করে নিন আপনার অনলাইনের সোশ্যাল বন্ধুদের মাঝে। যাতে আগামী পর্ব থেকে উনারাও সরাসরি স্মৃতিকথনের সাথে যুক্ত হতে পারেন। সন্দ্বীপকে নিয়ে নস্টালজিয়া ও কেতাদুরস্ত সন্দ্বীপিয়ানা স্মৃতিকথনমূলক পরবর্তী পর্বের উপর ‘চোখ রাখুন’ – আগামী রোববার ১২/০৭/২০ইং, সময়: সকাল ৯ টা: পর্ব নং ১০, পোস্ট হবে ইনশাআল্লাহ।
শিরোনাম থাকবে: কার্গিল হাই স্কুলের মাঠে খেলাধুলা ও টুর্নামেন্ট