সোজা কথা ডেস্ক রিপোর্ট: সিলেটের ওসমানীনগরে ৫ হাজার টাকা ধার চেয়ে না পাওয়ার ক্ষোভে প্রবাসী রহিমা বেগমকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ বাথরুমে রেখে হত্যাকারী পালিয়ে যায়। শনিবার পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
শনিবার ওসমানীনগর থানায় মামলার বাদি পক্ষের উপস্থিতিতে ১৬১ ধারায় এই স্বীকারোক্তি দেয় গ্রেফতারকৃত আব্দুল জলিল কালু। আসামি কালু কালু ২০০৭ সালে গোয়ালাবাজারে অনরূপভাবে সংঘটিত হওয়া আরেকটি হত্যা মামলা ছাড়াও কয়েকটি ডাকাতি মামলার আসামি।
গ্রেফতার হওয়া আব্দুল জলিল কালু উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের নগরীকাপন গ্রামের মৃত আব্দুল কাছিমের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে গোয়ালাবাজারের করনসী রোডে বাসা ভাড়া নিয়ে বাস করেন।
শুক্রবার গভীর রাতে কালুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত মঙ্গলবার বিল থেকে রহিমা বেগমের মোবাইল বন্ধ পান স্বজনরা। বৃহস্পতিবার রাতে বাসায় গিয়ে বাসাটি তালাবদ্ধ দেখতে পান প্রতিবেশিরা। পরে গভীর রাতে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে গেইট ও দরজার তালা ভেঙে বাথরুম থেকে রহিমা বেগমের গলা কাটা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খুন হওয়া রহিমা উমরপুর ইউনিয়নের কটালপুর গ্রামের মৃত আখলু মিয়ার স্ত্রী। তিনি ৪ সন্তানসহ যুক্তরাজ্যে থাকতেন। গত ২ বছর ধরে দেশে অবস্থান করছেন। পাশের বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন গ্রেফতারকৃত আব্দুল জলিল ওরফে কালু।
ওসমানীনগর থানার ওসি শ্যামল বণিক জানান, আসামীর জবানবন্দির পর আসামিকে সাথে নিয়ে খুন হওয়া প্রবাসী মহিলার মোবাইলসহ খুনের আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ।