আরিফুল হক রোম (ইতালী) থেকে: করোনা ভাইরাস সংক্রমনের উর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করে ইতালীর জনগনকে সতর্ক থাকতে বলেছে ইতালীয় প্রশাসন।
ইতালীর করোনা ভাইরাস মহামারী নিয়ে সাম্প্রতিক এক সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য বিষয়ক উচ্চতর ইনস্টটিউিট জানিয়েছে, ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে এবং অন্যান্য দেশ থেকেও ইতালীতে সংক্রমিত হচ্ছে এই ভাইরাস যা এর প্রাদুর্ভাব আরও বাড়িয়ে দিতে পারে । সামগ্রিকভাবে দেশটিতে নতুনভাবে সংক্রমনের সংখ্যা উর্ধ্বমুখী।”
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত ২৭শে জুলাই থেকে ২ আগষ্টের মধ্যে, ইতালীতে নতুন করে সংক্রামিতের সংখ্যা আগের সপ্তাহের তুলনায় গড়ে ০.৯৮ থেকে বেড়ে ১.০১ এ পৌঁছেছে। মহামারী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যদি এই রোগ নির্মূল করতে হয় তাহলে সংক্রমণের হার ১-এর নীচে হওয়া জরুরী।
ইতালীর ২০ টি অঞ্চলরে অর্ধেকের বেশী আর,টি এখন ১ এর উপরে রয়েছে, বিশেষত ইতালীর সিসিলিতে আঞ্চলিক আর, টি সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়েছে ১.৬২।
এছাড়াও বোলজানো(১.৪৪), তারান্ত (১.২৮), ভেনেতো (১.২৮), কাম্পানিয়া, (১.২৫), তোস্কানা (১.২), লিগুরিয়া (১.১৬), মার্কে (১.১৩), পুলিয়া (১.১), লাজ্জিও (১.০৮) , লোম্বারদিয়া (১.০৪) এবং এমিলিয়া-রোমানিয়ার (১.০১) মত অঞ্চলগুলিও সংক্রমণের সূচক সীমার উপরে অবস্থান করছে।
তবে ইতালীর তিনটি অঞ্চল – কালাব্রিয়া, বাসিলিকাতা এবং মোলিসে সহ সমস্ত দক্ষিণ বা মধ্যবর্তী অঞ্চলে আর, টি শূন্যের কোঠায় এবং সংক্রমণের হার সেখানে খুবই নিম্ন।
পুরো ইতালী জুড়ে করোনাভাইরাস প্রকোপের সংখ্যা গড় প্রতি ১০০,০০০ লোকের মধ্যে ৫.৮-এ দাঁড়িয়েছে, যেটি আগের পনের দিন ছিল ৫.১।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশেষত ভাইরাসের লক্ষণবিহীন লোকদরে মধ্যে এই সংখ্যা আরও বেড়েছে ।
প্রতিবেদকরা/বিশেষজ্ঞরা ঘন ঘন হাত ধোয়া, ফেস মাস্ক ব্যবহার, সামাজকি দূরত্ব এবং বিশেষত যারা সংক্রামিত ব্যক্তির সংর্স্পশে এসেছেন বা এমন কোনো দেশ থেকে ফিরে এসেছেন যেখানে সংক্রমণের হার ছিল উচ্চ পর্যায়ের তাদেরকে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোয়ারেন্টাইনে রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রতিবেদনে সর্তক করে দিয়ে উল্লেখ করা হয়, “যদি কোয়ারান্টাইনের নীতিমালা ঠিক মত না মানা হয় তাহলে আগামীতে আমাদের জাতীয় পর্যায়ের সংকট মোকাবেলা করতে হবে।”
এই হুঁশিয়ারি তখনই এল যখন ইতালীর সরকার করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধের উপর নতুন ডিক্রী ঘোষণার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে যা আগামী কয়েক সপ্তাহ অথবা কয়েক মাস বহাল থাকবে।
আশা করা যায় আগামী সোমবার ডিক্রী জারী করা হতে পারে, যার মধ্যে থাকবে জনসমাগমে অবশ্যই ফেস মাস্ক পরিধান করতে হবে, সামাজিক দূরত্বরে নিয়মগুলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে এবং বড় বড় সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের র্সবশষে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ১২,৭০০ জন ইতালীতে করোনভাইরাস পজিটিভ। দেশটিতে প্রার্দুভাব শুরুর পর থকেইে ২৪৯,২০৪ টি কেস নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫,০০০ এরও বেশী ছিল মারাত্মক ভাবে আক্রান্ত।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতবিার আরও ৪০২টি বুধবার ৩৮৪ এবং মঙ্গলবার ১৯০ টি সংক্রমণজনিত ঘটনা নিশ্চিত হয়েছে ।