সোজা কথা ডেস্ক রিপোর্ট : আজ ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে মানব পাচারসহ কয়েকটি অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার বাংলাদেশি সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিচার শুরু হচ্ছে । মানব পাচার, ভিসা বিক্রি, অর্থ পাচার ও ঘুষ লেনদেনের চারটি অভিযোগে পাপুলসহ নয়জনের বিরুদ্ধে এদিন আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে বলে কুয়েতের পাবলিক প্রসিউকিশন জানিয়েছে। এদিকে বাংলাদেশে সংসদ সদস্য পদে পাপুল এখনো বহাল আছেন।
১৫ জুন কুয়েতের আল-কাবাস সংবাদ প্রকাশ করে যে, পাপুল তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তবে তিনি বলেছেন, তিনজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ ৫০ হাজার দিনার বা এক লাখ ৬৩ হাজার ৩৮৮ ডলার তিনি উপহার দিয়েছিলেন।
এর আগে এই পত্রিকাটি খবর প্রকাশ করে যে, পাপুলের সঙ্গে বিদেশি কর্মীদের পাচারের এসব ঘটনায় কুয়েতের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী এবং কর্মকর্তাও জড়িত আছেন।
এ মামলায় কুয়েতের আরও কয়েকজন অভিযুক্ত রয়েছেন, যাদের মধ্যে দেশটির দুজন আইনপ্রণেতাও রয়েছেন।
বাংলাদেশের কোনো সংসদ সদস্যকে এর আগে কখনই বিদেশের মাটিতে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি।
গত ৬ জুন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পাপুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন কুয়েতের সরকারি কৌঁসুলিরা।
সেই সময় তার প্রতিষ্ঠানের একজন হিসাবরক্ষকসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়।
রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সর্বশেষ গত ২৪ জুন তাকে ২১ দিনের জন্য কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে এমপি পাপুলসহ ছয়জন কারাগারে আছেন। জামিনে রয়েছেন দুই কুয়েতি এমপি এবং একজন পলাতক।
এদিকে হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেয়া ও জাল সার্টিফিকেট দাখিলের অভিযোগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে পাপুলের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল ফয়েজ ভুইয়া ১৬ আগস্ট হাইকার্টে এই রিট করেন। এই রীটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ তার সংসদ সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না, সেই মর্মে চার সপ্তাহের রুল জারি করেন।