আরিফুল ইসলাম, রোম(ইতালী) থেকে: বুধবার রোমের একটি রেষ্টুরেন্টে জহিরুল ইসলাম (রফিকুল) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশী তাঁর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেন। অভিযোগে তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকার মোহাম্মদ লিটনের বিরুদ্ধে ৪ লাখ ইউরো আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে পঠিত লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন “মোহাম্মদ লিটনের সাথে তার মেজো ভাই আমিনুল ইসলামের ইতালীর ভিসেন্জা শহরে পরিচয় হয়। সেইসূত্রে ২০১৫ সালে মোহাম্মদ লিটন তাদেরকে রোমে এসে হোটেল ব্যবসায় বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেয়। মোহাম্মদ লিটনের পরামর্শ মোতাবেক তারা ও তাদের পরিবারের আরও ৪ জন মিলে জমি, বসবাসের বাড়ী বিক্রয় করে তিন বারে ৪ লাখ ইউরো প্রদান করেন। এ অর্থের বিনিময়ে মোহাম্মদ লিটন তাদেরকে ইতালীর রাজধানী রোমের টেরমিনি এলাকার ভিয়া মাজ্জেনটা ১৩ ঠিকানায় অবস্থিত হোটেল জর্জি নামে একটি ৩০ রুমের থ্রী স্টার হোটেলের ৫০ শতাংশ মালিকানা, রোমে একটি রেষ্টুরেন্টে, ঢাকার মানিকদিতে ‘স্বপ্নচূড়া বিল্ডার্স ‘ এ শেয়ার হোল্ডার, উত্তরাতে একটি রেষ্টুরেন্ট ও ময়মনসিংহে একটি ইটভাটায় পার্টনার রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই বিশাল অংকের টাকা হতিয়ে নেয় প্রদান করে। কিন্তু বাস্তবে মোহাম্মদ লিটন অর্থ নিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে নিজের নামে সবকিছু লিখে নেন।
তারা মোহাম্মদ লিটনের কাছে প্রদত্ত অর্থ ফেরত চেয়ে ফেরত না পেয়ে আইনের আশ্রয় গ্রহন করেন। পরে ইতালীয়ান আদালত মোহাম্মদ লিটনকে অর্থ পরিশোধ করার আদেশ দেয়।
জহিরুল ইসলাম (রফিকুল) বিষয়টি বাংলাদেশ কমিউনিটি ও দূতাবাসকে অবহিত করেন। এসংক্রান্ত সকল তথ্যাদি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়েও প্রেরণ করা হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, অর্থ ফেরত চাইতে গেলে মোহাম্মদ লিটন ৮ ই আগষ্ট তাদের পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সেইসাথে মোহাম্মদ লিটন প্রধান মন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের মন্ত্রী, এম,পি, এবং প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে তার ছবি দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
জহিরুল ইসলাম তার লিখিত বিবৃতিতে বলেন ইতিমধ্যে মোহাম্মদ লিটন এই সব ছবি প্রদর্শন করে ইতালীতে অসংখ্য লোকের কাছ থেকে বিপুল অংকের অর্থ হতিয়ে নিয়েছে। তার নামে এধরনের আরও ৮ টি মামলাও রয়েছে।
এমতাবস্থায় জহিরুল ইসলাম সহ আরও ৫টি পরিবার সকলের সহায়তা ও সাহায্য কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদ লিটনের সাথে তার বক্তব্যের বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।