বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশালের বাকেরগঞ্জে ধর্ষণের মামলায় আটক চার শিশুকে বৃহস্পতিবার রাতে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় বসে বরিশালের শিশু আদালত।
শুনানি নিয়ে ওই শিশুদের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক আবু শামীম আজাদ। রাতেই জামিন আদেশ পাঠানো হয় যশোরের পুলেরহাট কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে। এরপর রাতেই তাদেরকে সেখান থেকে মুক্তি দিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মাইক্রোবাসে করে বাকেরগঞ্জে পাঠানো হয়। এই শিশুদের বয়স ৬ থেকে ৯ বছর।
রোববার ছয় বছরের প্রতিবেশী মেয়ে শিশুর সঙ্গে বাড়ির পাশের বাগানে খেলছিল ওই চার শিশু। তাদের আসামি করে মঙ্গলবার বাকেরগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা করে ওই মেয়ে শিশুর বাবা। পরে চার শিশুকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
বুধবার বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাকেরগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক এনায়েত উল্লাহ তাদের জামিন না মঞ্জুর করে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন। এ বিষয়ে সময় টিভিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন রাত ৯টায় বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আসে।
এরপরই হাইকোর্ট ওই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে আগামী ১১ অক্টোবর তলব করেন। একই সঙ্গে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ওই ৪ শিশুকে তাদের অভিভাবকসহ ওই দিন আদালতে হাজির থাকত বলেছেন।
এছাড়া বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে একই দিন সাড়ে ১০টার মধ্যে ভিকটিম শিশুর ধর্ষণ সংক্রান্ত মেডিকেল রিপোর্ট হাইকোর্টে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ওই চার শিশুকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মাইক্রোবাসে করে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে তাদের অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দিতে যশোর জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এরপরই হাইকোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. সাইফুর রহমান উচ্চ আদালতের ওই আদেশ বরিশালের শিশু আদালতের বিচারক, জেলা প্রশাসক, বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বাকেরগঞ্জ থানার ওসিকে টেলিফোনে অবগত করেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত বসে শিশুদের জামিন দেয়।