শিপু ফরাজী চরফ্যাশন (ভোলা) থেকে: ইলিশের প্রজনন মৌসুম নিরাপদ করতে ২২ দিন ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আগামী ১৪ অক্টোবর ২০২০থেকে এই নিষেজ্গা শুরু । এ সময় জেলে পরিবারগুলো ভিজিএফের আওতায় ২০ কেজি করে চাল পেয়ে থাকে। তবে ব্যাংক ও এনজিও থেকে নেয়া ঋণের টাকা পরিশোধের চাপ থাকে তাদের ওপর। তাই দেনা থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে মাছ শিকারে নামেন অনেকেই। ফলে প্রকৃতপক্ষে অবরোধ সফল হয় না।এ কারণে অবরোধের ২২ দিন ব্যাংক ও এনজিও থেকে নেয়া ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন উপক‚লের জেলেরা। মা-ইলিশ শিকার বন্ধের ২ দিন আগে ঢালচরে গিয়ে কথা হয় ঢালচরের মৎস্যজীবী আমীরুল ইসলাম , কামাল, বাবুল, নুরু, কাদের মাঝিসহ অনেকের সাথে তারা জানান, বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে তারা ঋণ নেয়। ঋণের টাকা দিয়ে জাল ও নৌকা তৈরি করে। মাছ বিক্রি করে সেই ঋণের টাকা পরিশোধ করা হয়। অবরোধের সময় জেলেরা বেকার থাকে। এ সময় জেলে পরিবারের সদস্যদের অর্ধাহারে-অনাহারে কাটাতে হয়। অন্যদিকে ব্যাংক ও এনজিও থেকে নেয়া ঋণের টাকা পরিশোধ করতে চাপ দেয়া হয় তাদের ওপর। কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে চলে মানসিক নির্যাতন। তাই বাধ্য হয়ে অনেকেই মাছ শিকারে যায়।
সামরাজ মাছ ঘাট এলাকার জেলে সুমন বলেন, সঠিক সময় কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে পরবর্তীতে ঋণ জুটবে না। আর ঋণ নিতে গেলেও অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়। সুদ ও কিস্তির কারণে সংসারে অশান্তি লেগে থাকে। কাজেই বাধ্য হয়ে মাছ শিকারে যেতে হয়।
চরমাদ্রাজ এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান শাহিন মালতিয়া বলেন, সরকারের উচিত জলেদের কিস্তি পরিশোধের শর্ত শিথিল করা। তারা যেন হয়রানি ছাড়া ঋণ পায় তার ব্যবস্থা করা।
চরকুকরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসেম মহাজন বলেন, অবরোধের ২২ দিন জেলেদের ব্যাংক ও এনজিও থেকে নেয়া ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখা উচিত। এ সময় জেলেরা দেনা থেকে বাঁচতে মাছ শিকারে নামে। ফলে অবরোধ সফল হয় না।