গত একমাসে কতজন নিরীহ আদম সন্তান এই ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় খুন হয়েছেন ?
ভারতের কসাই মোদীর আগমনকে কেন্দ্র করে হত্যা করা হয়েছে ১৮/১৯ ধর্মপ্রাণ মানুষকে ।
তারপর বাঁশখালীতে ন্যায্য মুজুরি চাওয়ার অপরাধে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে আরো ৮ জন নিরীহ দরিদ্র অভুক্ত শ্রমিককে ।
নিয়মনীতি না মেনে ভুয়া কাগজ বানিয়ে শেখ পরিবারের শেখ তন্ময় এম পির লঞ্চ ডুবিতে জীবন দিলো আরো ত্রিশ জন । একটা মামলাও তার বিরুদ্ধে করা হয়নাই ।
তাহলে সংখ্যাটা এখন কত হয়েছে ? লাশ গুলো কি গুনতে পেরেছেন ?
অথচ এই আমরা মামুনুল হকের কেচ্ছায় পরকীয়া ছিল নাকি আপনকীয়া ছিল তাই নিয়েই ব্যস্ত আছি । আরে এটাই তো ফ্যাসিবাদী দুঃশাসকেরা চায় । তাই তারা এই সব হত্যাকাণ্ডকে আড়াল করতে জাতীয় সংসদে ফালতু কেচ্ছা কে আলাপের বিষয় বানিয়ে আমাদের কে ব্যস্ত রাখছে । আর আমরাও সেই আলোচনায় না বুঝেই বাতাস দিচ্ছি । বলতে পারেন স্বাধীন দেশে গত একমাসে যে এতগুলো হত্যাকাণ্ড হলো তা কি অতীতের কোন সরকার করেছিল ? মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাড়া পাকিস্তানী হানাদারেরাও এক সাথে এতো মানুষকে হত্যা করার সাহস দেখাতে পারেনাই ।
আপনার কাছে এই সব মানুষের জীবন বড় নাকি মামুনুল হকের কেচ্ছা বড় ? নিজেকেই প্রশ্ন করেন ।
আর এই যে হেফাজতের নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে এটাও সেই একই উদ্দেশ্যে ।
কত বড় প্রতারণা দেখেন কওমি জননী খেতাব নেয়ার অনুষ্ঠানে আজকে যাদের শাপলা চত্বরের মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে তারাতো সবাই সেদিনের সেই সভায় ছিল । এতো বছর এরা ঘুরে বেড়িয়েছে কোন সমস্যাই হয় নাই আর আজকে তাঁদের সেই প্রায় একযুগ আগের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে ।
তাহলে তখন কেন গ্রেফতার করেন নাই ? কারন পক্ষে থাকলে ভাল । আর বিরুদ্ধে গেলেই জঙ্গি । এই হচ্ছে এদের নীতি ।
সুতরাং অকারণে ফ্যাসিবাদের ছুঁড়ে দেয়া মরণঘাতি চেতনার বটিকা সেবন না করে বাস্তব উপলব্ধি করে সোচ্চার হোন । মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান ।।
– আনোয়ার হোসেন মুকুল, সদস্য নাগরিক ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটি