সোজা কথা ডটকম
  • প্রচ্ছদ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • মানবাধিকার
  • খেলাধুলা
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • প্রবাস
  • মতামত
  • যুক্তরাজ্য
  • স্বাস্থ্য
  • বিবিধ
    • কলাম
    • ভিডিও
    • সোশ্যাল মিডিয়া
    • লাইফস্টাইল
    • সাক্ষাৎকার
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • মানবাধিকার
  • খেলাধুলা
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • প্রবাস
  • মতামত
  • যুক্তরাজ্য
  • স্বাস্থ্য
  • বিবিধ
    • কলাম
    • ভিডিও
    • সোশ্যাল মিডিয়া
    • লাইফস্টাইল
    • সাক্ষাৎকার
No Result
View All Result
সোজা কথা ডটকম
No Result
View All Result

শেষ প্রহরের আর্তনাদ

- শামা আরজু

ডেস্ক রিপোর্ট by ডেস্ক রিপোর্ট
বুধবার, ১৯ মে, ২০২১ | ৪:৫৪ অপরাহ্ণ
in নারী, সাহিত্য
0
শেষ প্রহরের আর্তনাদ
প্রচন্ড মারতাম তোকে। কি সুন্দর রেশমী চুল তোর! কাটিনি।বড় করেছিলাম। আর সেই যত্নে বড় করা চুল ধরেই শক্ত দেয়ালের সাথে তোর নরম মাথা ঠুকিয়ে বলতাম– মরতে পারিস না তুই, মরিস না কেনো! তুই কেবলই কাঁদতিস। তবু রাগ কমে না আমার। তোর ফর্সা গোলাপি গালে ঠাস ঠাস চড় মেরে আঙুলের দাগ ফেলে দিতাম। তোর বাপ তো আমায় প্রায়ই বলতো, লজ্জা করে না তোর বেঁচে আছিস যে বড়! আত্মহত্যা করতে পারিস না? আমার জীবনের সব ঝাল যে আমার তোর পিঠের ওপরই ঝাড়তে হবে। আরতো কোথাও কেউ নেই। ন’টায় অফিস।
তোর বাপ বাজার করতে যাবে সাতটায়। ফ্রীজ আছে, টাটকা খাবে। মাত্র পাঁচ মিনিটে গোসল করে শাড়ি পেঁচিয়ে বের হবো অমনি তুই নেই। প্রায়ই এমন করতিস। হন্যে হয়ে তোকে খুঁজে পাই রিনা কিংবা স্বর্ণাদের ঘরে। ধরে এনে ধুমাধুম মার। মারার ও সময় নেই। অফিস ছুটি। মায়ের বাড়ি রেখে তারপর অফিস। কিন্তু অফিসের কাজে কিছুতেই আমার মন লাগে না। বসকে এটা সেটা মিথ্যা বলে তোর কাছেই ছুটি। তোকে বুকে জড়িয়ে ধরতেই তোর প্রশ্ন আক্কব্বি(আর করবি)? না মা আর করবো না। তোকে বুকে জড়িয়ে চোখের জলে শীতল হবার চেষ্টা কেবল, বৃথাই চেষ্টা। অফিস করি বুকভরা যন্ত্রণা নিয়ে।
প্রতিদিন প্রতিজ্ঞা করি আর মারবো না তোকে। প্রতিদিন ভঙ্গ করি। আসা যাওয়ার পথে দশ মিনিট করে হাঁটতে হয়। তোর নাদুসনুদুস শরীর। কিন্তু তুই হাঁটবি না। আমার ছোটখাটো শরীর। তার ওপর শরীরের ওপর করা অত্যাচার অনাচার যায় কোথায়! তবু এই শরীরেই তোকে কোলে নিয়েই হাঁটতে হবে আমায়। তাই করতাম। পথে বারবার থেমে অবশেষে ঘর নামের টর্চার শেলে প্রবেশ। মাঝে মাঝে ঘরে ঢুকেই কষ্টে কান্না শুরু করে দিতাম। তুই এগিয়ে আসতি আদর করার জন্য, মেজাজ তখন তুঙ্গে। আবার মারতাম তোকে। জীবনের সব ঝাল যেন তোরই পিঠের ওপর ঝাড়তে হবে আমায়, তুই কেবলই কাঁদতিস। আমারতো কান্না করারও সময় নেই। এই ঘরের হুজুর আমি, তোকে পড়ানোর মাস্টার আমি। মাঠ পেরিয়ে কলসী ভরে খাবার পানি আনতে হবে সেও আমি। কাজের বুয়াও আমিই।
একদিন সন্ধ্যায় আমি তোকে আদর করার জন্য হাত বাড়াতেই তুই সরে গেলি। লাফ দিয়ে উঠে পড়লি সোফার টেবিলে। আমি নকশিকাঁথার কাজ করে মেজেন্টা রঙের একটা ঘাগরাসেট বানিয়ে দিয়ে ছিলাম তোকে। সেটার নিচের অংশ উপরে তুলে ধরে আমায় ধমকে বললি– আগে আমার পা ধরে মাফ চা! ভুলেই গিয়েছিলাম যে একটু আগেই তোকে মেরেছিলাম আমি। তুই মনে করিয়ে দিতেই আমি হেসে গড়াই। সেদিনের সেই ছবি এখনও লেগে আছে আমার চোখে।কিন্তু হাসি আর আসে না রে মা! আমি এখন বদলে গেছি খুব। তুই বদলাসনি। এতো মারের পরও তোর আমাকেই লাগে। কাক ডাকা ভোরে উঠেই কাজ। তুই যখন উঠতি তখন আমি রান্না আর সমাজবিজ্ঞান পড়া মুখস্থয় ব্যস্ত ভীষণ। উঠেই তোর হাঁকডাক। আম্মু কোলে নে! আম্মু আদর কর! ছোটবোন মাঝে মাঝে বাসায় থাকতো। না, তোকে সেও বিছানা থেকে তোকে নামাতে পারতো না। রান্নাঘরের ব্যস্ততা রেখে তোকে আদর করে বিছানা থেকে নামাতে হতো আমাকেই। তারপর রান্নাঘরেই পাটি বিছিয়ে একই সংগে তোকে পড়াতে হতো। তোর সাত বছর বয়সে বাবু এলো। ভয়ে ছিলাম তোকে নিয়ে। কিন্তু না, ভাইয়ের জন্য তোর আদরের কমতি নেই কোনো।
পনেরো ষোলো বছর বয়সে জড়িয়ে পড়লি এক মাদকাসক্তের সাথে। কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি নি। একসময় ঘর ছাড়লি। শেষ পর্যন্ত পারলিই না। আরো ভুল করা তোকে পেয়েই বসলো যেন। আমিও জীবনযন্ত্রণায় বিধ্বস্ত খুব। সবমিলিয়ে তোর ওপর অত্যাচারটা বেড়েই গেলো। আমার ওপর হ্যাঁ শুধু আমার ওপর রাগ করেই তুই চারবার একগাদা করে ঘুমের বড়ি খেলি, নিজেকে শেষ করে দেবার জন্য। একবার দিলি ফাঁস। ছোট্ট তন্ময় না দেখলে সেদিনই তোর খেলা শেষ হয়ে যেতো। আমি যখন তোকে ফাঁস থেকে নামাই তখন তুই অজ্ঞান। তবু সেই অবস্থাতেই আমি তোকে মেরেছিলাম খুব। চারবার ঘুমের বড়ি খাবার জন্য চারবারই ওয়াশ করা হয়েছিলো তোকে। দ্বিতীয়বার ওয়াশ দেয়ার পর হাসপতাল থেকে তোকে রিলিজ দিয়েছিলো ডাক্তার। বাড়ি নিয়ে যাবার জন্য বলেছিলো। কিন্তু আমার যে বাড়ি নেই তা কি আর ডাক্তার জানে! আমি বারবার তোর বন্ধ চোখ খুলে পরখ করি তোর চোখের মণি নড়ে ওঠে কি না! নাহ্ নড়ে না একটুও। স্থির। তুই মৃত। আমি তোকে নিয়ে একা। ডাক্তারকে বললাম আমি ওকে ঢাকায় নিয়ে যাই? নিতে পারেন তবে লাভ নেই। আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল। অফিস শেষ করে, ছোট ভাই এলো। বারোশ টাকা বের করে বললো আমার কাছে আর নেই। বলে চলে গেলো। আমি কপালে হাত দিয়ে বসে রইলাম। ফোন করলাম দু’ জনকে। ভালোই সাড়া পেলাম।
মাইক্রোবাস নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের উদ্দেশ্যে। সারাটা পথ কেবল মেয়ের নাকে হাত দিয়ে শ্বাস পড়ছে কিনা পরখ করছিলাম। আমার মেয়ে নাই। কেবল কাঁদছি আল্লাহকে বলছি আল্লাহ তুমি পঙ্গু করে হলেও আমার মেয়েটাকে আমার জন্য রেখে যাও। আমি পঙ্গু হলেও ওকে চাই। রাত সাড়ে তিনটায় ঢাকা পৌঁছাই। আবার ওয়াশ। তখন তোর কোনো চিৎকার নেই। তোর যে চিৎকার করার শক্তিটুকুও আর নেই। বারান্দায় নিচে তোর জন্য বিছানা পাতা হলো। পাঁচদিন পর তুই একটু করে নড়ে উঠলি। কতো কাকুতি মিনতি করেছিলাম এক’দিন তোকে বেড়ে উঠানোর জন্য। উঠালো না কেউ। এটা নাকি শাস্তি। এইতো মাত্র সেদিন দেখলাম, আমেরিকায় বিজ্ঞানীদের মৃত মানুষকে বাঁচিয়ে তোলার গবেষণার অনুমতি দেয়া হয়েছে। ক্লিনিক্যালী মৃত ঘোষনার পর লাইফ সাপোর্টে রাখা যায় আর সেখান থেকেই আবার জীবিত করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীগণ।
বিজ্ঞানে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। আদৌ তাঁরা একাজ করতে পারবেন কি পারবেন না আমি জানি না। তবে এটা ঠিক যে আমার মনে হয় যে আমি মৃত তোকেই ফিরে পেয়েছিলাম। কিন্তু রাখতে পারলাম না। একটা সময় তুই আমাকে ছেড়ে চলেই গেলি। এর আগেও গিয়েছিলি। বাপের কাছে। কিন্তু সে কি আর মেহেদী পরা হাতে এতো বড় একটা মেয়ে রাখতে পারে তার নতুন সংসারে! সে তখন নতুন বর। অন্য রমণীর। তুই আসলে যাসনি। যেতে বাধ্য হয়েছিস। বাপের কাছ থেকে ফিরে এসে আমাকে বলেছিলি- মা রে আর একটু হলেই ওখানে আমি দম বন্ধ হয়ে মরেই যেতাম। কতোবার যে তুই মরতে মরতে বেঁচে উঠেছিস তার কোনো ইয়ত্তা নেই রে মা!
– যখন আমাকে ছেড়ে চলে গেলি তারপর আমি সত্যি মরে গেলাম। এখন আমি নিজের ভেতর একটা লাশ টেনে বেড়াই নিত্যদিন। কতোজন যে বাঁচিয়ে তোলার মিথ্যে আশ্বাসদিয়ে কত যে  গেম খেলো রে মা, আসলে ওরা কেউই আমাকে ভালবাসেনি। ওরা আমার টাকার জন্য এমনকি তোর লোভে আমার দিকে হাত বাড়াতো। এটা বুঝতে আমার খুব একটা কষ্ট হতো না। আর কিছু না পারলেও এইটুকু তো পেরেছি যে, মায়ের প্রেমিকের হাতে তোকে লাঞ্ছিত হতে হয়নি ! এই অভিশপ্ত রাষ্ট্র সিঙ্গেল মা অথবা সিঙ্গেল নারীর জন্য নয়।
– শামা আরজু,  লেখক
Tags: শামা আরজু
Previous Post

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মামলায় দরকার গণমাধ্যমের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

Next Post

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞাপন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা

Next Post
রোজিনা ইসলামের প্রতি আচরণ স্বাধীন সাংবাদিকতার টুটি চেপে ধরার শামিল

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞাপন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা

লিখুন - বলুন - তথ্য দিন।।

দেশে বিদেশে যেখানে থাকুন আপনি হ্যাঁ আপনি যুক্ত হতে পারেন সোজাকথা ডটকম পরিবারের সাথে। রিপোর্টার, লেখক কিংবা তথ্যদাতা হিসেবে থাকুন! যুক্ত হতে লিখুন/ লেখা পাঠান। লেখা পাঠানোর ঠিকানা sojakotha.com@gmail.com

সম্পাদক ও প্রকাশক (অবৈতনিক):

ব্যারিস্টার শাহ আলম ফারুক

Contact Us

221 Whitechapel Road London E1 1DE
Email : sojakotha.com@gmail.com

অনুসরণ করুন

Browse by Category

  • ENGLISH SECTION
  • কলাম
  • খেলাধুলা
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • নারী
  • নির্বাচিত
  • প্রবাস
  • বাংলাদেশ
  • বিনোদন
  • বিবিধ
  • বিশ্ব
  • ভিডিও
  • মতামত
  • মন্তব্য প্রতিবেদন
  • মানবাধিকার
  • যুক্তরাজ্য
  • লাইফস্টাইল
  • লিড নিউজ
  • সংবাদ শিরোনাম
  • সম্পাদকীয়
  • সাক্ষাৎকার
  • সাহিত্য
  • সোশ্যাল মিডিয়া
  • স্বাস্থ্য

Recent News

মেঘনা আলমকে আটকের ঘটনা ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী আচরণের প্রকাশ

মেঘনা আলমকে আটকের ঘটনা ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী আচরণের প্রকাশ

রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ | ৫:০৪ পূর্বাহ্ণ
নির্বাচনী অনিয়মের কারণে স্বাধীনভাবে পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার থেকে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে

সরকারের মধ্যে অস্থিরতা : প্রেস উইংয়ের সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি

রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ | ৪:৫১ পূর্বাহ্ণ
  • About
  • Advertise
  • Privacy & Policy
  • Contact

স্বত্ব © 2025 সোজা কথা | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed and Maintained by Team MediaTix.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • মানবাধিকার
  • খেলাধুলা
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • প্রবাস
  • মতামত
  • যুক্তরাজ্য
  • স্বাস্থ্য
  • বিবিধ
    • কলাম
    • ভিডিও
    • সোশ্যাল মিডিয়া
    • লাইফস্টাইল
    • সাক্ষাৎকার

স্বত্ব © 2025 সোজা কথা | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed and Maintained by Team MediaTix.