শ্রমিক সংগঠনের দাবি, কারখানাটির ৪ হাজার ৩০০ শ্রমিক প্রায় ৮০ কোটি টাকা পাবেন মালিকপক্ষের কাছে। বিজিএমইএ, শ্রম মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও টাকা না পেয়ে তারা শ্রমভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে বসেছেন। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) তাদের কর্মসূচি সপ্তম দিনে গড়িয়েছে।
সরেজমিনে শ্রমভবন ঘুরে দেখা গেছে, ভবনটির নিচতলা ও দোতলায় অবস্থান নিয়েছেন কয়েকশ’ নারী শ্রমিক। গত আট দিন ধরে ভবনের পাশের রাস্তায়, ফুটপাতে ও আশেপাশের ভবনে থাকছেন তারা। রাতে কেউ না কেউ গণখাবার রান্নার ব্যবস্থা করলে পেটভরে খান, না হলে শুকনো কিছু। শ্রমভবনের অল্প কয়েকটি টয়লেট ব্যবহার করতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে তাদের। আট দিন ধরে সেখানে আছেন অন্তঃসত্ত্বা শ্রমিকও।
কেউ কোনও আশ্বাস দেয়নি—এটাই এখন বড় হতাশার উল্লেখ করে এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা বেতন পাই না ঈদের আগে থেকে। ঈদের পরে হাতে চার-পাঁচ হাজার কইরা টাকা ধরিয়ে বিদায় দিছে। কারখানা খোলার নিশ্চয়তা নাই। আমাদের পাওনা টাকাটাও পাবো না? এতগুলো মানুষ শীতের মধ্যে বসে আছি আজ আট দিন। কারোর চোখে পড়ে না আমাদের দিকে।’গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, ‘বার বার কথা দিয়ে কথা না রাখার ফলে শ্রমিকরা বাধ্য হয়েছেন অবস্থান নিতে। শ্রমিকদের চার মাসের আর স্টাফদের ৯ মাসের বেতন বাকি। কাজ করেছেন, এই টাকা পাওয়া তাদের অধিকার। সেটুকুও না দিয়ে নানা টালবাহানা চালানো হয়েছে। গত আট দিন ধরে শ্রমিকরা অবস্থান নিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ১৫ দিনের বেতন দেবে বলেছিল। কিন্তু শ্রমিকরা তা মানতে চান না। তারা অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের রাগ-ক্ষোভও আছে।’
সাত দিন ধরে অবস্থান নেওয়া শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে প্রশ্নে শ্রমসচিব এহছানে এলাহী সাংবাদিকদের বলেন, সমাধান হবে। আজকে কিছু টাকা দেওয়া হবে এবং পরে সময় দেওয়া হবে। আড়াই কোটি টাকা চুক্তি অনুযায়ী প্রথমভাগে আজকে দেওয়ার কথা। চুক্তি অনুযায়ী একমাস ও অর্ধেক মাসের বেতন হয়।