“দুইজন মুক্তিযোদ্ধাকে গুলি করে মেরে ফেললে আর কেউ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবী করবে না” বলে হাইকোর্টের খুশরিদ জামানের বেঞ্চ সম্প্রতি এক মামলার শুনানিকালে যে মন্তব্য করেছেন সেটির বিরুদ্ধে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান আবীর আহাদ তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, একথার মাধ্যমে উক্ত বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি চরম অবজ্ঞা ও বিতৃষ্ণা প্রদর্শন করেছেন। তাঁর এ বক্তব্যের মধ্যে প্রকারান্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদ্গার প্রকাশিত হয়েছে।
আজ এক বিবৃতিতে আবীর আহাদ বলেন, আমরা জানি যে, অর্থের বিনিময়ে, আত্মীয়তা ও রাজনৈতিক প্রভাবে হাজার হাজার অমুক্তিযোদ্ধা, এমনকি রাজাকাররাও মুক্তিযোদ্ধা বনে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় মর্যাদার স্বার্থে উক্ত বিচারপতি মহোদয় যদি বলতেন যে, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার করে গুলি করে মেরে ফেলা হোক, তাহলে সেটি হতো মুক্তিযুদ্ধ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আইনের শাসনের প্রতি পরম শ্রদ্ধা প্রদর্শন। কিন্তু ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কথা না বলে ‘মুক্তিযোদ্ধা’দের গুলি করার কথা বলে যে মন্তব্য করা হয়েছে তাতে প্রমাণিত হয়, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নয়, যেনো প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গুলি করে মেরে ফেললেই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে!
আবীর আহাদ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সৃষ্ট স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের আলোবাতাসে বেড়ে উঠে, সেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি হয়ে উক্ত বিচারপতির এ ন্যক্কারজনক মন্তব্যে চরম রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এ বেআইনি মন্তব্যের মধ্য দিয়ে উক্ত বিচারপতি তাঁর ‘বিচারপতি’ পদের মর্যাদাহানি করেছেন। অবিলম্বে ঐ তথাকথিত বিচারপতির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে বিচারপতির পদ থেকে অপসারণ করে কঠোর শাস্তি প্রদানের জন্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।