নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা থেকে
নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলাধীন ছোট যমুনা নদীর বালুমহালের বালু উত্তোলনের নামে ফসলী জমির মাটি কাটার অভিযোগে সোমবার নওগাঁর আদালতে মামলা হয়েছে!
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও নওগাঁর আইনজীবী শাহানূর ইসলাম সৈকত জনস্বার্থে বিজ্ঞ আমলী আদালত ০৫, নওগাঁয় এ সংক্রান্তে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞ বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিজ্ঞ বিচারক মোঃ সরোয়ার জাহান অভিযোগটি সুয়োমোটো আমলে গ্রহণ করে আদেশের জন্য অপেক্ষমান রাখে।
ঘটনায় জানা যায় যে, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ছোট যমুনা নদী বালু শুন্য হলেও বন্ধ হচ্ছে না সরকারিভাবে লিজ প্রক্রিয়া।
নদীতে বালু না থাকায় নদী লিজের নামে বালু ব্যবসায়ীরা ফসলসহ কেটে নিয়ে যাচ্ছে নদীর দু’পারের তিন ফসলি জমির মাটি।
নদীপাড়ের কয়েক জন ভুক্তভোগী বলেন, বালুমহাল লিজ কাকে বলে তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে নদী পাড়ের মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাষ্টডোব খাগড়া মৌজায় বালুমহাল ইজারাদার গাছপালা উপড়ে ফেলে আলুক্ষেত, পটলক্ষেতসহ ৩ ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। গভীর করা হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ফুট। তাতে আশপাশের ফসলি জমি ভেঙে পড়ছে।
কৃষক সাইফুল জানন, স্যার নাকি তাদের কাটার আদেশ দিয়েছেন। তাই তারা ফসলসহ মাটি কাটছে। মালিকানা জমি নষ্ট হচ্ছে কোন বাধা নিষেধ তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।
দোনইল গ্রামের হাবিল জানান, তার পিতার নামে ৮৫ শতক জমি চিরস্থায়ী পত্তন। তাদের খাজনা খারিজ রয়েছে। সে জমি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, ভূমি অফিসসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নওগাঁ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না।
অপরদিকে নালুকাবাড়ী গুচ্ছগ্রামের পাশেই বালু কাটার মহোৎসব চলছে। ভেকু মেশিন দিয়ে প্রতিদিন ২০/৩০টি ট্রাক্টর একই ভাবে মাটি বহন করছে। সেখানেও কাটা হচ্ছে ফসলি জমি।
নালুকা বাড়ি গুচ্ছগ্রামের সভাপতি বক্কর বলেন, আমরা বিভিন্ন কর্মকর্তা ব্যক্তির কাছে ঘুরছি কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। এভাবে মাটি কাটলে গুচ্ছগ্রাম রক্ষা হবে না। বর্ষা মৌসুমে নদী ভরে গেলে পানির স্রোত সরাসরি গুচ্ছগ্রামে এসে আঘাত হানবে তখন এখানকার আবাস নিচিহ্ন হয়ে পড়বে।