ডেস্ক রিপোর্ট: রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছে, করোনাভাইরাস-সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। নির্যাতিত হচ্ছেন প্রভাবশালী বেসামরিক লোকজন ও পুলিশের কাছে। বিচারের নামে সাংবাদিকদের হয়রানি করা হচ্ছে।
প্যারিসভিত্তিক সংগঠন আরএসএফ একটি অলাভজনক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং তথ্যের অধিকার, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সোচ্চার। সংগঠনটি তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে আক্রান্ত সাংবাদিকদের নাম ও ছবি প্রকাশ করেছে। সহিংসতার শিকার এই সাংবাদিকেরা মূলত দেশের বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন জারির পর করোনাভাইরাস ইস্যু নিয়ে কাজ করছিলেন বলে জানাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
হামলার সর্বসাম্প্রতিক শিকার বেসরকারি টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদক সজল ভূঁইয়া। নরসিংদীতে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ চাল বণ্টনে অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের সময় গত বৃহস্পতিবার তাঁকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়। সজল অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আরএসএফের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান ড্যানিয়েল ব্যাস্টার্ড এক বিবৃতিতে অবিলম্বে সজল ভূঁইয়া ও বাতেন বিপ্লবের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, শারীরিক হামলা, পুলিশি নির্যাতন এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার নামে হয়রানির আরও অভিযোগ রয়েছে। স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী এসব ঘটনা বন্ধে সরকারকে অবশ্যই সম্ভাব্য সব চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল প্রথম আলোকে বলেন, সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের খবর তিনি পাননি। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবেন। তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নেওয়ার আগে তদন্ত হয়ে থাকে। তদন্তে অভিযোগে সত্যতা পাওয়া গেলেই শুধুমাত্র মামলা হয়।
আরএসএফ মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের নামের তালিকা ও কেন হামলার শিকার হয়েছে, তার একটি বিবরণও দিয়েছে। উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন আগে আরএসএফের মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫১, যা আগের বছরের তুলনায় এক ধাপ পেছানো।