স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস এর প্রতিষ্ঠার অন্যতম নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের রুপকার সিরাজুল আলম খানের পৈতৃক বাড়ীর সীমানার দেওয়াল, গেইট ভাঙ্গা ও কবরস্থান সরানো নিয়া স্থানীয় একজন থেকে কিছু ছবি ও তথ্য পাওয়া যায় । ১৯৪০ সালে সিরাজুল আলম খানের পিতা সদরের কালীতারা হতে এসে এখানে বাড়ী নির্মান করেন । এটি চৌমুহনী – মাইজদী সড়কের আলীপুর গ্রামে অবস্থিত। সিরাজুল আলম খানের জন্ম এ বাড়ীতেই।
এটি একটি ঐতিহাসিক বাড়ী ১৯৭০ এর নির্বাচনের পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু যখন নোয়াখালীতে আসেন, তখন এ বাড়ীতে তিনি পদার্পন করেন, তিনি সিরাজুল আলম খানের মা সৈয়দা জাকিয়া খাতুনকে পা ছুঁয়ে কদমবুসি করেন। এ বাড়ীর উত্তর পার্শ্ববর্তী মাঠে তিনি জনসভায় বক্তব্য রাখেন। সড়ক বিভাগের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনে পূর্ব পাশ্বের সরকারী জায়গায় রাস্তা সম্প্রসারন না করে সিরাজুল আলম খানের বাড়ীর দিকে সম্প্রসারনের জন্য জায়গা নিয়া নেয়। পূর্ব পাশ্বে সরকারী জায়গা থাকা সত্বেও সিরাজুল আলম খানের পরিবারের ১৭ শতক জায়গা নতুন করে অধিগ্রহণ করে, তবে ক্ষতিপূরনের অর্থ পরিশোধ না করে বা কোন প্রকার নোটিশ না করে, কবর অন্যত্র সরানোর সময় না দিয়ে এভাবে সীমানা প্রাচীর গুড়িয়ে দেওয়াকে স্হানীয়রা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস মনে করছেন।
অন্যদিকে চৌরাস্তা থেকে সোনাপুর পর্যন্ত সরকার দলীয় প্রভাবশালীদের বাঁচিয়ে, তাদের স্হাপনা রক্ষা করে নিরীহদের ঘর বাড়ী, কবর উচ্ছেদের অভিযোগ করছেন স্হানীয় জনগন।গত কয়দিন ধরে সিরাজুল আলম খানের বাড়ীর সীমানা দেওয়াল, গেট বুলডেজার দিয়া গুড়িয়ে দেওয়া ও তার বাবা, মা, ভাই, ভাবীর কবর সরিয়ে নেওয়া নিয়ে দাদার অনুসারী , শুভাকাংখীরা নানা ভাবে ফেইসবুকে প্রতিবাদ নিন্দা জানানোর পর একটি মহল সিরাজুল আলম খান ও তার পরিবারের
বিরুদ্ধে নানা মিথ্যাচার করে চলেছে। সোমবার একটি মানবাধিকার সংস্হার একজন কর্মী ঘটনাস্হল পরিদর্শন ও আশপাশের বেশ কয়েক জন স্হানীয় লোকের বক্তব্য গ্রহণ করে তার মতামত ব্যক্ত করেন।
( ১) সিরাজুল আলম খানের বাড়ীর নিরাপত্তা দেওয়াল ও গেট, কবরস্হান কখনো সড়কের জায়গায় ছিল না। এটি তাদের সাফ কবলা দলিল মূলে ক্রয় করা সম্পত্তি ছিল,
( ২) রাস্তার দুই পাশে সমভাবে সড়কের জায়গা থাকা সত্বেও পূর্ব পাশ্বে নির্মানাধীন ভবনটি না ভেংগে বা সমানভাবে নূতন করে দুই দিকে অধিগ্রহণ না করে সিরাজুল আলম খানদের বাড়ীর দিকে একতরফাভাবে. ১৭ শতক জমি অধিগ্রহন করা হয়, যাহা জনগনের করের টাকা লোপাটের সামিল,
(৩) নূতন করে অধিগ্রহণ করলেও ক্ষতিপূরনের টাকা অদ্যাবধি পরিশোধ করা হয়নি।
( ৪) কবর অন্যত্র সরানোর জন্য খরচ ঠিকাদার রাষ্ট্রীয় তথা সড়ক বিভাগ থেকে অর্থ গ্রহণ করলেও তা সিরাজুল আলম খানের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। তাহলে যারা সিরাজুল আলম খানের পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে বেড়ায় তারা কার স্বার্থে কিসের জন্য এ অপপ্রচার চালায় এটি সমগ্র জাতির কাছে আমাদের প্রশ্ন? যাদের জন্ম ১৯৭১- ১৯৭৫ এর পর তাদের এ মিথ্যাচার করার অনুপ্রেরণা দানকারী কারা, আসুন ওদের মুখোশ খুলে দিই।
শুধু বাড়ীর সীমানা দেওয়াল, গেট ও কবর স্হানের জমি অধিগ্রহন করে ক্ষান্ত হয়নি বর্তমান সরকার। নারিকেল গাছ ও কাঠের গাছ বেষ্টিত উত্তর পাশের জায়গাটিও ছিল সিরাজুল আলম খানের পরিবারের ১৯৪০ সালে সাফ কবলা দলিল মূলে ক্রয় করা সম্পত্তি । উপজেলা মডেল মসজিদ করার অজুহাতে এ জমিনের. ৮ শতক সম্পত্তিও অধিগ্রহণ করে নেয় সরকার। নামেমাত্র মূল্যে। আজ পর্যন্ত এ আট শতক জমির মূল্য এখনো সিরাজুল আলম খানের পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়নি , অন্যদিকে বাজার মূল্য প্রতি শতক জমি বিক্রি হচ্ছে বিশ লাখ টাকা সেখানে মৌজা মূল্য হিসাবে দেওয়া হচ্ছে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা দরে। তাও টাকা না বুঝিয়ে দিয়ে ক্ষমতার জোরে ২০% কাজ শেষ করে ফেলেছে ঠিকাদার, অন্য দিকে বনজ ও ফলজ গাছগুলো সিরাজ পরিবারকে দেওয়ার শর্তে ন্যূনতম একটি মূল্য নির্ধারন করলেও সে টাকাও দেওয়া হয়নি।
স্হানীয় জনগণ অদূরে অবস্থিত উপজেলার প্রানকেন্দ্র চৌরাস্তার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদকে মডেল মসজিদ করার দাবী করলেও অজ্ঞাত কারনে কেন্দ্রস্হল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মডেল মসজিদ নির্মানকে অনেকে প্রতিহিংসাবশত: বলে মত প্রকাশ করছেন। উপজেলা ভবনের আশ পাশে সরকারের বিপুল খাস জমি থাকা সত্ত্বেও মডেল মসজিদের জন্য সিরাজুল আলম খান পরিবারের সম্পত্তি অধিগ্রহণ কেউ কেউ পরিবারটিকে এখান থেকে উচ্ছেদের সরকারী নীল নকশা বলে মন্তব্য করেছেন। এত জুলুমের পর পরও ১৯৭৫ এর জন্ম নেওয়া কিছু হাইব্রিড গত কয়েকদিন যাবত অপপ্রচার করে যাচ্ছে সিরাজুল আলম খানের ছোট ভাই ফকরুল আলম খান অধিগ্রহণের টাক৷ এবং গাছ গাছালির ক্ষতিপূরন গ্রহন করে জায়গা বুঝিয়ে দিচ্ছে না, আর গাছপালাগুলো বিক্রি করে দিচ্ছে।
আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।আপনারাও প্রতিবাদে সামিল হউন।
– আহমেদ ফজলুর রহমান মুরাদ
অবসরপ্রাপ্ত ডিজিএম, সোনালী ব্যাংক
অবিভক্ত জাসদ রাজনীতির সাথে সংশ্লিস্ট ছিলেন
বর্তমানে বিভক্ত জাসদ ঐক্যের সংগঠক।