ডেস্ক রিপোর্ট : শুক্রবার সকালে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে বাবার কবরে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে সমাহিত করা হয়েছে।
দাফনের পূর্বে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের মরদেহকে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার দেন জেলা প্রশাসনের পক্ষে ধানমন্ডি রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম । সেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটির সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন, রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উপপরিদর্শক আব্দুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর উপস্থিত ছিলেন।
দাফনের আগে আজিমপুর কবরস্থানেই সীমিত পরিসরে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল ১৪ মে বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় আক্রান্ত অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের মৃত্যুর পর করোনা শনাক্ত হয়েছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। গত ২৭ এপ্রিল অসুস্থতার কারণে এই শিক্ষাবিদকে রাজধানীর ইউনিভার্সেল কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর হার্ট, কিডনি, ফুসফুস, উচ্চ রক্তচাপ, পারকিনসন ডিজিজসহ নানা শারীরিক জটিলতা ছিল। এই হাসপাতাল থেকে পরে ৯মে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিএমএইচে নেওয়া হয়েছিল । সেখানে গত ১০ মে তাঁর নমুনা নিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হয়। তখন করোনা নেগেটিভ এসেছিল। জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষায় তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।