ডেস্ক রিপোর্ট: সেবা দিচ্ছেন যারা তাঁরা সবাই স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক।জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ তে কল করলেই মিলছে তাদের।প্রতিদিনের কাজের বাইরে দেশের চার হাজারের বেশি চিকিৎসক একটি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে যুক্ত হছেন তাঁরা। তাঁদের মাধ্যমে এ পর্যন্ত তথ্যসেবা পেয়েছেন প্রায় ২ লাখ মানুষ।
স্বেচ্ছাসেবক এই চিকিৎসকদের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-কর্মসূচি ব্যবস্থাপক (মেডিকেল বায়োটেকনোলজি) ডা. মো. মারুফুর রহমান। এ উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বললেন, গত মার্চে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকলে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ও চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়ার জন্য রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ১৭টি হটলাইন নম্বর চালু করা হয়। কিন্তু কলের পরিমাণ এত বাড়ছিল যে চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। তখন এটুআই ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে অ্যাপ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। উদ্দেশ্য, এটি ব্যবহার করে স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসকেরা সুবিধামত সময়ে হটলাইন সিস্টেমে যুক্ত থেকে ই-ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরামর্শ দিতে পারবেন।
সে অনুযায়ী তৈরি হয় অ্যাপ। চিকিৎসক আহ্বান করা হয় প্ল্যাটফর্মের ফেসবুক গ্রুপে। মো. মারুফুর রহমান বলেন, ‘সে সময় নিরাপত্তা সামগ্রীর স্বল্পতার কারণে অনেকে ব্যক্তিগত চেম্বার বন্ধ রাখছিলেন। কেউ কেউ টেলিফোনে সেবা দিচ্ছিলেন। এমন চিকিৎসকদের লক্ষ্য করেই উদ্যোগটা নেওয়া।’ তিনি জানান এই স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসকেরা গত ২৪ মার্চ থেকে ৫ মে পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ কল গ্রহণ করেছেন। সাড়ে ৬ হাজার মানুষকে দিয়েছেন ই-ব্যবস্থাপত্র, কোয়ারেন্টিন বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ২ হাজার ৬০৪ জনকে।
চিকিৎসকদের এই প্রয়াসকে প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে নানা শ্রেণীর মানুষজন সাধুবাদ জানাচ্ছেন।