ডেস্ক রিপোর্ট: বোরহানউদ্দিন থানার এসআই শফিকুল ইসলাম কর্তৃক কুয়েতে পুলিশ হেফাজতে থাকা হারুন নামের এক ব্যক্তির ভেরিফিকেশনের জন্য ৫ হাজার টাকা দাবির অভিযোগ বিষয়ে প্রবাসীর মা দৈনিক ভোরের কাগজের বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি ও শাহবাজপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেককে জানান। সাংবাদিক মালেক ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে দারোগা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে দুর্ব্যবহার করেন!
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, সোমবার এসআই শফিকুল উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কুয়েতপ্রবাসী হারুনের বাড়িতে পুলিশ ভেরিফিশেনের জন্য যান। হারুনের মা রওশনআরা অভিযোগ করে জানান, এসআই তাকে ৫ হাজার টাকাসহ কাগজপত্র নিয়ে থানায় যেতে বলেন। তিনি ধার-দেনা করে দেড় হাজার টাকাসহ থানায় তার কাছে যান। কিন্তু এসআই শফিকুল কাগজপত্র টাকা না রেখে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) ৫ হাজার টাকাসহ থানায় আসতে বলেন।
রওশনআরা আরও বলেন, ছেলে হারুন ২ বছর আগে ঋণ নিয়ে কুয়েত গেছে। এজেন্সি কুয়েত নিয়ে তার ছেলের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ওই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। ওর বাবা গত ৬ বছর মারা যাওয়ায় সংসারে উপার্জনশীল ব্যক্তি নেই। তিনি শুনেছেন, হারুন কুয়েতের পুলিশ হেফাজতে আছে। এর বেশি টাকা যোগাড় করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি।
সাংবাদিক আব্দুল মালেক বলেন, ওই বিষয়টি বোরহানউদ্দিন থানার এসআই শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, তোমার কি দরকার? কিছুক্ষণ পর বলেন থানায় আস। ১ ঘণ্টা পর আবার ফোন দিয়ে দাম্ভিকতা দেখিয়ে বলেন ফেসবুকে লিখে আমার কিছু করতে পারবে না।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালমোহন সার্কেল) মো. রাসেলুর রহমান এবং জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।