সোজা কথা ডটকম
  • প্রচ্ছদ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • মানবাধিকার
  • খেলাধুলা
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • প্রবাস
  • মতামত
  • যুক্তরাজ্য
  • স্বাস্থ্য
  • বিবিধ
    • কলাম
    • ভিডিও
    • সোশ্যাল মিডিয়া
    • লাইফস্টাইল
    • সাক্ষাৎকার
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • মানবাধিকার
  • খেলাধুলা
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • প্রবাস
  • মতামত
  • যুক্তরাজ্য
  • স্বাস্থ্য
  • বিবিধ
    • কলাম
    • ভিডিও
    • সোশ্যাল মিডিয়া
    • লাইফস্টাইল
    • সাক্ষাৎকার
No Result
View All Result
সোজা কথা ডটকম
No Result
View All Result

আমার দেখা সন্দ্বীপ পর্ব ৫

- শিব্বীর আহমেদ তালুকদার

ডেস্ক রিপোর্ট by ডেস্ক রিপোর্ট
রবিবার, ৭ জুন, ২০২০ | ১:২০ অপরাহ্ণ
in প্রবাস, বাংলাদেশ, মতামত, সোশ্যাল মিডিয়া
0
মুক্তিযুদ্ধে সন্দ্বীপের প্রথম শহীদ জাহিদুর রহিম মোক্তার

কার্গিল হাই স্কুল (১)

মনজুর আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। বাড়ি মুসাপুর। সম্ভবত আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে তারা সন্দ্বীপে আসে। মনজুরের বাবা চাকুরীজীবি ছিলেন। সন্দ্বীপে এসে কিছু একটা করার জন্য তৎকালীন বশিরিয়া আহমদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় শিক্ষকতায় যোগ দিয়েছিলেন। ওই সুবাদে মনজুর আমাদের পোলঘাটের বাসায় প্রায় আসতো। মনজুরের খালু তখন সন্দ্বীপ টাউনের মোমেনা সেকান্দর বালিকা হাই স্কুলের উত্তর পাশে অবস্থিত কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার ছিলেন। পোস্ট মাস্টার সাহেবের দেশের বাড়ি হাতিয়ায় ছিল। উনার পরিবারসহ পোস্ট অফিসের সংলগ্ন সরকারি ভবনে থাকতেন।

মনজুরের গল্প বলার ধরণ ও বলন অত্যন্ত ভালো ছিল। যখন কোনো কিছু সম্বন্ধে বলা আরম্ভ করতো তন্ময় হয়ে শুনতে ইচ্ছে করতো। বাবার চাকরির কারণে মনজুরেরা মেইনল্যান্ড শহরের বাসিন্দা ছিল। স্মার্ট, সব্যসাচী ও মার্জিত চলন ছিল তার। মনজুর তার দাদার গল্প বলতো। উনি ১৯০০ সালের দ্বিতীয় দশকে সেই যে গেলেন, আর আসলেন না। দাদার বাবা ছিলেন সন্দ্বীপের আদালতের মোক্তার। দাদার জন্ম হলো ৫ অগাস্ট ১৮৮৯ ইং। তাঁর জন্মের ১০ বছর আগে ১৮৭৯ সালের ১২ এপ্রিল পুরানো সন্দ্বীপ শহরে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ১২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে একটি মাইনর স্কুল শুরু করেছিলেন। ওই সবেধন নীলমনি মাইনর স্কুলটি পরে কার্গিল হাই স্কুল নাম ধারণ করেছে।

মনজুরের দাদাকে কলকাতায় ‘কাকাবাবু’ বলে সম্বোধন করতেন সকলে। আফ্রো-এশিয়া-ল্যাটিন আমেরিকার মেহনতি মানুষের আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক মুক্তির দিশারী ছিলেন তিনি। এই আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পর্ন ক্ষণজন্মা পুরুষ ছিলেন কমরেড মুজাফ্ফর আহমেদ, কাকাবাবু। কাকাবাবু সন্দ্বীপের বিভিন্ন বিষয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর মাস্টারপিস বই ”আমার জীবন ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (১৯২০-১৯২৯)” এ।

কি প্রেক্ষাপটে ও বিরূপ পরিবেশে সন্দ্বীপ টাউনের ইংরেজি স্কুল প্রতিষ্ঠালাভ করেছিল, একটা সিনারিও পাওয়া যায় তাঁর লেখা থেকে। কাকাবাবু স্মৃতিচারণ করেছেন এইভাবে:
“এখন আমি ইংরেজি স্কুলের কথা বলি। সবেধন নীলমনি ছিল সন্দ্বীপ মধ্য ইংরেজি স্কুল। শুনেছি এটিও আগে বাঙলা স্কুল ছিল। মধ্য ইংরেজি স্কুল হওয়ার পরে এর হেড মাষ্টার ছিলেন রামচরণ দাস। তিনি ঢাকা জেলার বিক্রমপুর পরগনার লোক ছিলেন, পরে ওকালতি শুরু করেন। তখনও আসাম ও বার্মার মত শুধু এন্ট্রান্স পাস করে বাংলাদেশেও প্লিডারশীপ পরীক্ষা দেওয়া যেত কিনা তা জানিনে। সন্দ্বীপ মহকুমা বা সাবডিভিশন ছিল না। দেওয়ানী (সিভিল) মোকাদ্দমার বিচারের জন্য একজন বা মোকদ্দমা বেশী হলে দু’জন মুনসেফ সেখানে থাকতেন। আর একজন সাব-ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটও সেখানে থাকতেন। সেকেন্ড ক্লাস ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা তাঁর থাকত। সন্দ্বীপে জেল ছিল না বলে ফৌজদারী মোকাদ্দমার বিচার সেখানে হত না।“

কাকাবাবু বলেন: “রামচারণ বাবুর উকিল হওয়ার পরে আমাদের মধ্য ইংরেজি স্কুলের হেড মাস্টার হয়েছিলেন উমাকান্ত ঘোষ। তিনিও বিক্রমপুরের লোক ছিলেন। তিনি এন্ট্রান্স ক্লাস পর্যন্ত পড়েছিলেন। পিতা, পুত্র ও নাতি পরে পরে এই তিন পুরুষকে কোনো কোনো স্থলে পড়িয়ে তিনি সন্দ্বীপে লোকের খুব শ্রদ্ধা আকর্ষণ করেছিলেন। “মাস্টার বাবু“ বলে লোকে ওখানে তাঁকেই বুঝতেন।“

উক্ত মাইনর স্কুলকে যখন হাই স্কুলে পরিণত করার প্রয়োজনীতার কথা উঠলো; তখন সত্যিকার অর্থে সন্দ্বীপবাসীদের উপর আর্থ-সামাজিক আদিপত্য চাপিয়ে রাখার ঘৃণ্য মানসিকতা পরিলক্ষিত হলো। এই ব্যাপারে কাকাবাবু বলছেন:
“কিন্তু মুশকিল হলো যখন মাইনর স্কুলকে হাই ইংলিশ স্কুলে পরিণত করার কথা উঠল তখন। এর মধ্যে সন্দ্বীপ বিক্রমপরীদের উপনিবেশে পরিণত হয়ে গেছে। নানা সূত্র ধরে তাঁরা এসেছেন। কেউ এসেছেন উকিল হয়ে। কেউ এসেছেন উকিলের মোহরাব হয়ে, কেউ এসেছেন ক্ষুদ্র দোকানদার হয়ে। আদালতের চাপরাসী ও বাসার চাকর হয়েও কেউ কেউ এসেছেন। উকিলের কার্করূপে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের অধিকাংশই তা ছিলেন না। সকলে মিলে করতেন সুদী কারবার। এই কারবারের স্বর্গরাজ্য ছিল সন্দ্বীপ। মুসলমান কৃষিকেরা বাপ্-পিতামহের দেনা পর্যন্ত শোধ করে দিতে চান। তা না করলে তারা বেহেশতে যেতে পারবেন না।“

একটি সমাজ উন্নীত হতে হলে তার নাগরিকদের শিক্ষা থাকা চায়। কারণ সুশিক্ষাই ভাল মন্দ প্রভেদ করার আত্মিক ক্ষমতা অর্জন করতে সাহায্য করে। ইংরেজি স্কুলের ব্যাপারে কি ধরণের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছিল টাউনবাসী, তা নিয়ে কাকাবাবু বলছেন:
“বিক্রমপুরীরা চাইতেন না যে, সন্দ্বীপের লোকেরা ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হন। উকিলদের মধ্যে তখন সন্দ্বীপবাসী একজনও ছিলেন না। তাঁরা হাই স্কুল করার বিরুদ্ধে লোককে প্রভাবিত করেছিলেন। এই কারণে তাদের হাকিম মুনসেফ বাবুরা এগিয়ে আসছিলেন না। তাঁরা আবার জনসাধারণের সঙ্গে তেমন মিশতেনও না। সাব-ডিপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে পাওয়া যাবে এটা ভাবা হয়েছিল। তিনি শুধু বিচার করতেন না, অনেক ব্যাপারে তাঁকে জনসাধারণের সাথে মিশতে হত, খাসমহলের কাজও তিনি করতেন। সাব-রেজিস্ট্রার বশিরুল্লা সাহেব, মুখতার প্রসন্ন কুমার দাস ও বানিনাথ দাস শক্ত হয়ে দাঁড়ালেন। হাই স্কুল করতেই হবে। তাঁদের সঙ্গে শিক্ষিত মুসলমান এবং হিন্দুরা থাকলেন, মুখতারেরা প্রায় সকলে থাকলেন। এবার তরুণ দ্বিতীয় মুনসেফ তাঁদের বললেন যে, দ্বীপের কিছু কিছু বিশিষ্ট লোক এসে তাঁকে জানান যে, হাই স্কুলের প্রয়োজন আছে তবে তিনি স্কুলের জন্য বিশেষভাবে খাটবেন। উকিল বাবুরা তাঁদের বোঝাচ্ছিলেন দেশের লোক হাই স্কুল চায়না। অনেক লোক এসে দ্বিতীয় মুনসেফকে জানালেন যে, তাঁরা হাই চান।“

স্কুল বিরোধীদের কন্সপিরেসিকে প্রতিহত করতে হলে, চাই জনবল, জনগণের সমর্থন। তাই জনগণের সমর্থন ও স্কুলের প্রয়োজনীয়তা জন্য একটা পদ্ধতি বেঁচে নিলেন সাব-রেজিস্ট্রার বশিরুল্লা সাহেব। এই ব্যাপারে কাকাবাবু বলছেন:
“বশিরুল্লাহ সাহেবেরা দুইজন বিশিষ্ট ও সম্মানিত লোককে ডাকালেন, একজন দক্ষিণের, আর একজন উত্তরের। দক্ষিণ থেকে মুহাম্মদ ছৈয়দ মিয়া সাহেব এলেন। ন্যায়ামস্তি গ্রামের লোক তিনি। তার পথে কোনো বাধা ছিল না। তিনি দরিদ্র হয়েছিলেন বটে, কিন্তু পরিবারে গর্বে তিনি বড় গর্বিত ছিলেন। তাঁর পিতা মুনসেফ ছিলেন, কাকা জজকোর্টের উকিল, আর মা ছিলেন কাশ্মিরী সন্দরী। পার্সী ভাসায় তিনি সুপন্ডিত ছিলেন। আর বিশুদ্ধ বাংলায় সুন্দর হস্তাক্ষরে তিনি পত্র লিখতে পারতেন। যদিও উঠে যাচ্ছিল, এটা ছিল পুরানো দিনের একটা রেওয়াজ।“

এখানে স্কুল বিরোধীরা থেমে থাকেনি। তারাও পন্দি আটলো কিভাবে সাব-রেজিস্ট্রার বশিরুল্লা সাহেবদের পরিকল্পনাকে অসফল করা যায়। তাদের আদিপত্য ও পরিকল্পনাকে নস্যাৎ ও যেন ভেস্তে যায় সাব-রেজিস্টার সাহেব ব্যবস্থা নিলেন। কাকাবাবু এই ব্যাপারে লিখেছেন:
“উত্তর হতে সাব-রেজিস্ট্রার সাহেবেরা যাঁকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন তিনি ছিলেন সাব রেজিস্ট্রার সাহেবের মামাত ভাই খুরশিদ আলম চৌধুরী। পুরানো জমিদার পরিবারের লোক, তখনো তাঁর কিছু জমিদারি অবশিষ্ট ছিল। চলাফেরা করতেন বড় পাল্কীতে। বিক্রমপুরী উকিলদের বাসাগুলি পার হয়েই তাঁকে আসতে হতো। সেই উকিলদের ভিতরে জগবন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বৃদ্ধ ও সম্মানিত। বাঙ্গালায় পাস করা উকিলদের মধ্যে তিনি ছিলেন শেষ, কিন্তু পসার জমানো উকিল। চৌধুরী সাহেবের পাল্কী জগবন্ধু বাবুর বাসার সামনে আসতেই তাঁর ছেলে হাতজোড় করে পাল্কীর পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন। বললেন হুজুর আমার বাবার একান্ত অনুরোধ যে, আপনি আমাদের বাসায় কিঞ্চিৎ পায়ের ধুলা দিন। চৌধুরী সাহেব গেলেন। বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ তাঁকে একথা ওকথায় এমন ভুলিয়ে রাখলেন যে, তাঁর আর দ্বিতীয় মুনসেফের নিকটে যাওয়াই হলো না। দ্বিতীয় মুনসেফ সব কিছু বুঝলেন। তিনি তাঁর কথা রেখেছিলেন। প্রাণপাত পরিশ্রম করেছিলেন তিনি স্কুলের জন্য। আর সাব-ডেপুটী ম্যাজিস্ট্রেট তো করবেনই।“

সন্দ্বীপ টাউনবাসী সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে স্কুলকে নিয়ে এবার অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য নিপতিত হয়েছিল। এই অর্থনৈতিক সংকটকে জয় করে কিভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ালো; তার একটি বর্ণনা দিলেন কাকাবাবু এইভাবে:
“বিক্রমপুরের যাঁরা এসে উপনিবেশ স্থাপন করেছিলেন তাঁদের বাধা অতিক্রম করা গেল। কিন্তু তবুও স্কুল কি সহজে হয়? একসঙ্গে পাঁচ দশ হাজার টাকা চাঁদা দেবেন এমন লোক কেউ ছিলেন না। কাঠের খুঁটির উপরে ঘর তোলা হয়েছিলো। তার মেঝে ছিল মাটির, বেড়া ছিল থেতলানো বাঁশের, আর ছাউনি ছিল ছনের। তবে ঘরটা বেশ বড় ছিল। অনেকগুলো ক্লাস তাতে বসতে পারতো। এটা ছিল আগেকার এম. ই. স্কুলের ঘর।“

কয়েকটি কন্টাকীর্ণ ধাপ অতিক্রম করার পর কিভাবে মনজুরি পাওয়া গেল ও আর্থিক সংকটের কিছুটা লাঘব হলো। সে ব্যাপারে কাকাবাবু বলছেন:
“স্কুলের মন্জুরি পাওয়াও কঠিন কাজ। তার ওপর মাসিক কিছু সাহায্য চাই। নোয়াখালীর ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট তখন ছিলেন একজন ইংরেজ আই. সি. এস। তাঁর নাম ছিল মিস্টার কার্গিল। তাঁর নিকটে সন্দীপের শিক্ষিত বাসিন্দাদের একটা ডেপুটেশন গেল। তাঁকে বলা হোল ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড হতে আপনি একটা মাসিক সাহায্য মনজুর করুন। সেকালে ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটরাই সরকারিভাবে ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান হতেন। কিন্তু বোর্ড হতে হাই স্কুলে কোন সাহায্য দেওয়ার নিয়ম ছিল না। স্কুলের গ্রাজুয়েট শিক্ষকই পাওয়া যাচ্ছিল না। কার্গিল সাহেব একবার যখন ব্যাপারটায় হাত দিলেন তখন অনেক কিছু করেছিলেন। ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড হতে সাহায্য পাওয়া গেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের মনজুরিও এসে গেল।

আর এভাবে কৃতজ্ঞতার বহিঃ প্রকাশ করতে গিয়ে জে ডি কার্গিলকে আজীবন স্মরণ রাখলেন সন্দ্বীপবাসীরা। কাকাবাবু আরো বলেন:
“সন্দ্বীপবাসীরা স্কুলের নাম করে দিলেন ‘সন্দ্বীপ কার্গিল হাইস্কুল।’ স্থাপনার সাল ১৯০২ খ্রিস্টাব্দ।“

এই কষ্ট সহিষ্ণু পথপরিক্রমায় বিভিন্ন সময়ে কার্গিল হাই স্কুলের উপর ধাক্কা আসতে থাকে। এরপর ধাক্কা আসে শিক্ষক সংকট। কাকাবাবু হৃদয় বিদারক স্মৃতিচারণ করলেন এই বলে:
“সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ ওঠে, বাইরে থেকে ভয়ে কোনো হেডমাস্টার আসতে চান না। রাজেন্দ্র লাল বসাক নামে একজনকে পাওয়া গেল। একদিন পিতার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তিনি বাড়ী গেলেন, সেখানে গিয়ে তিনিও মরে গেলেন।“

এর পর ঢেউ ওঠেছে অনেকবার এই দ্বীপে। সমুদ্রের বড় বড় এই ঢেউগুলো অনেক ছাত্রশিক্ষককে প্রাণে মেরেছে হয়তো; কার্গিল হাই স্কুলও মরেছে। কার্গিল হাই স্কুল সে ঢেউয়ে মরেও এখনো বেঁচে আছে পৌরসভার সংলগ্ন। আর এইভাবে আজ বেঁচে আছে এই মহান কীর্তির সাথে জড়িত আমাদের সেইসব স্মরণীয় বরণীয় পূর্ব পুরুষগণ।

স্মৃতিচারণে: শিব্বীর আহমেদ তালুকদার
আইনজীবী, সমাজ সংগঠক ও কথ্য ইতিহাস গবেষক।
sandwip21st@gmail.com

বাংলাদেশ সময় সকাল ৯ টা, তাং: রোববার, ০৭/০৬/২০ ইং।
………………………
সংশোধনী: আমার দেখা সন্দ্বীপ পর্ব ৪, এর ‘হতাল (সাঁওতাল) খাল এবং বিপ্লবী সাঁওতাল ও তাদের সন্দ্বীপে আগমন’ এর উপর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তথ্যগত অসাঞ্জস্যতা থাকায় নিন্মের এই অংশটি পর্ব ৪ থেকে বাদ দেওয়া হলো। ভবিষ্যতে নিন্মের এই অংশটি কোনো রকমের উদৃতি বা রেফারেন্স হিসাবে গণ্য না করার জন্য আহবান জানাচ্ছি। ধন্যবাদ।

`টাউনের উত্তরে অবস্থিত আমাদের মূল তালুকদার বাড়ির দক্ষিণ পার্শ্বে ছিল সুলতান তালুকদারের বাড়ি। তারা আমাদের কাছাকাছি পড়শী ছিল, কিন্তু তালুকদার হলেও তাদের ও আমাদের মধ্যে কোন আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল না। তারা ছিল নদী সিকস্তি। সময়ের ব্যবধানে তাদের ও আমাদের মধ্যে এক আশ্চর্য রকমের মিল হয়ে গেল; এখন আমরাও নদী সিকস্তি। কপাল পোড়া সন্দ্বীপের জনগণ পড়শীদের বিরহ ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছে অনবরত। এ যেন বহে নদী নিরবধি। এভাবে আমরা কত বন্ধু বান্ধবকে হারিয়েছি। পুনর্মিলনের আশায় পথ চেয়ে বসে আছি। দেখা হবে তো!`

—————-
আশা করি, এই পর্বটি আপনাদের ভালো লেগেছে। লাইক ও কমেন্টের মাধ্যমে মতামত দিবেন, প্লিজ। কোনো রকমের তথ্য বিভ্রাট হলে ইনবক্সে ম্যাসেজ দিবেন বা ইমেইল করবেন। ফলে ভুল শুধরে নিতে পারবো। আর এই পোস্টটি শেয়ার করে নিন আপনার অনলাইনের সোশ্যাল বন্ধুদের মাঝে। যাতে আগামী পর্ব থেকে উনারাও সরাসরি এই স্মৃতিচারণের সাথে যুক্ত হতে পারেন। সন্দ্বীপকে নিয়ে নস্টালজিয়া ও কেতাদুরস্ত সন্দ্বীপিয়ানা স্মৃতিচারণমূলক পরবর্তী পর্বের উপর ‘চোখ রাখুন’ – আগামী রোববার ১৪/০৬/২০ইং, সময়: সকাল ৯ টা: পর্ব নং ৬, পোস্ট হবে ইনশাআল্লাহ।
শিরোনাম থাকবে: কার্গিল হাই স্কুল (২)
আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। ধন্যবাদ

Previous Post

বেড়িবাঁধ নির্মান ও সুপেয় পানির দাবিতে নৌকা বন্ধন কর্মসূচী আজ সাতক্ষীরা থেকে সরাসরি প্রচার

Next Post

“রায়কা বাচ্চা রায়” আর “খানকা বাচ্চা খান”

Next Post
মাসকাওয়াথ আহসানের বিচূর্ণীভাবনার ধারাবাহিক ‘করোনার শহর-৯’

"রায়কা বাচ্চা রায়" আর "খানকা বাচ্চা খান”

লিখুন - বলুন - তথ্য দিন।।

দেশে বিদেশে যেখানে থাকুন আপনি হ্যাঁ আপনি যুক্ত হতে পারেন সোজাকথা ডটকম পরিবারের সাথে। রিপোর্টার, লেখক কিংবা তথ্যদাতা হিসেবে থাকুন! যুক্ত হতে লিখুন/ লেখা পাঠান। লেখা পাঠানোর ঠিকানা sojakotha.com@gmail.com

সম্পাদক ও প্রকাশক (অবৈতনিক):

ব্যারিস্টার শাহ আলম ফারুক

Contact Us

221 Whitechapel Road London E1 1DE
Email : sojakotha.com@gmail.com

অনুসরণ করুন

Browse by Category

  • ENGLISH SECTION
  • কলাম
  • খেলাধুলা
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • নারী
  • নির্বাচিত
  • প্রবাস
  • বাংলাদেশ
  • বিনোদন
  • বিবিধ
  • বিশ্ব
  • ভিডিও
  • মতামত
  • মন্তব্য প্রতিবেদন
  • মানবাধিকার
  • যুক্তরাজ্য
  • লাইফস্টাইল
  • লিড নিউজ
  • সংবাদ শিরোনাম
  • সম্পাদকীয়
  • সাক্ষাৎকার
  • সাহিত্য
  • সোশ্যাল মিডিয়া
  • স্বাস্থ্য

Recent News

মেঘনা আলমকে আটকের ঘটনা ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী আচরণের প্রকাশ

মেঘনা আলমকে আটকের ঘটনা ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী আচরণের প্রকাশ

রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ | ৫:০৪ পূর্বাহ্ণ
নির্বাচনী অনিয়মের কারণে স্বাধীনভাবে পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার থেকে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে

সরকারের মধ্যে অস্থিরতা : প্রেস উইংয়ের সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি

রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ | ৪:৫১ পূর্বাহ্ণ
  • About
  • Advertise
  • Privacy & Policy
  • Contact

স্বত্ব © 2025 সোজা কথা | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed and Maintained by Team MediaTix.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • মানবাধিকার
  • খেলাধুলা
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • প্রবাস
  • মতামত
  • যুক্তরাজ্য
  • স্বাস্থ্য
  • বিবিধ
    • কলাম
    • ভিডিও
    • সোশ্যাল মিডিয়া
    • লাইফস্টাইল
    • সাক্ষাৎকার

স্বত্ব © 2025 সোজা কথা | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed and Maintained by Team MediaTix.