ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম এমপি রাজধানীর শ্যামলীস্থ বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন।
বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আল ইমরান চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, শনিবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে মোহাম্মদ নাসিমকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য, ১ জুন গুরুতর অসুস্থ হয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। এরপর পরীক্ষায় তার দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। প্লাজমা থেরাপিতে কিছুটা সুস্থ হলে ৫ জুন তাকে হাসপাতালের আইসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়ার কথা ছিল। ওইদিনই ভোরে তার ব্রেইন স্ট্রোক হলে সকালে ওই হাসপাতালেই তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। ৬ জুন অবস্থার আরও অবনতি ঘটায় তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার পাশাপাশি ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এই বোর্ডের ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণের সময়সীমা পার হওয়ার পর ৯ জুন নতুন করে সাত সদস্যের আরেকটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। নতুন এই মেডিকেল বোর্ড আরও ৭২ ঘণ্টা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। হাসপাতাল সূত্র জানায় তিন দফা তার করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। করোনা থেকে সেরে উঠলেও মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর থেকেই ডিপ কোমায় ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম।
১৯৭৫ সালের নভেম্বেরে জেলে হত্যা করা জাতীয় চার নেতার একজন ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম সিরাজগঞ্জ-১ আসনের এমপি ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।