সোজা কথা প্রতিবেদক: সাংবাদিক টিপু সুলতানের কথা মনে পড়ে? ফেনীর টিপু সুলতান। বর্তমানে ঢাকার একটি শীর্ষস্হানীয় দৈনিকের বিশেষ প্রতিনিধি টিপু সুলতান রোববার দিবাগত রাতে চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শুভাকাংখীরা তার করোনা রোগমুক্তির জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের জানুয়ারীতে টিপু সুলতান ফেনী জেলায় কাজ করছিলেন যেখানে তিনি ওমরপুরের সুলতানা মেমোরিয়াল জুনিয়র গার্লস স্কুল-এ হামলার অনুসন্ধান করেছিলেন। তিনি স্কুলটির ওপর ওই বছরের ১৭ জানুয়ারি একটি প্রতিবেদন বেসরকারি সংবাদ সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশে প্রকাশ করেন। এ প্রতিবেদনে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও তৎকালিন আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারীর নাম প্রকাশ পায়। জয়নাল হাজারী তখন “ফেনীর একচ্ছত্র গডফাদার” বা ফেনীর শীর্ষসন্ত্রাসী।
স্কুল ধ্বংসের প্রতিবেদনের ৮ দিন পর ২৫ জানুয়ারি, প্রায় ১৫ জন মুখোশধারী একটি দল টিপু সুলতানকে অপহরণ করে। লাঠি-সোটা, ক্রিকেট ব্যাট এবং রড দিয়ে তাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। হামলাকারীরা তার হাত-পা জোরপূর্বক ভেঙ্গে দেয়। আক্রমণকারী বিশেষ করে তার ডান হাতের উপর দৃষ্টি লক্ষ্য করে মারধর করে। যা দিয়ে তিনি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন তৈরিতে ব্যবহার করতেন। [ টিপুর মতে, তার আক্রমণকারীরা তাকে বলেছিল, “এটা হাজারীর আদেশ।” মারধর করার পর, অচেতন হয়ে পড়লে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়া হয়।
ঢাকায় হাসপাতালেও চিকিৎসা প্রদান করতে সেদিন সন্ত্রাসী বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়। সেখানে দীর্ঘ চিকিৎসাশেষে টিপু সুলতান অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেন। চিকিৎসা ও বর্বর ঘটনার বিচারের জন্য সে সময় মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জোর ভূমিকা রাখে। পরে প্রথমত জনকন্ঠ ও পরে প্রথম আলো চিকিৎসা তহবিল গঠন করলে সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে এগিয়ে এসে সহায়তা করে।