সোজা কথা ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পর থেকেই সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশীর পড়ছে চাকরি হারানোর ঝুকিতে। যার মধ্য অনেক দেশে থেকে দুই লক্ষাধিক শ্রমিক দেশে ফেরত এসেছেন বলে জানিয়েছে ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচি। বাংলাদেশে লকডাউনের কারণে আটকে পড়ায় নতুন করে আবার বিদেশ গিয়ে চাকরি করতে পারবেন কিনা সেটা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এখন এই অভিবাসী শ্রমিকদের দেশে ফেরত আসা ঠেকাতে সরকারকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক দুইভাবেই সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর বিবিসির।
এ ছাড়া ২১ মার্চ আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হওয়ার পর এ পর্যন্ত চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন আরও অন্তত ১৮ হাজার শ্রমিক।
সম্প্রতি সৌদি আরব, কাতার, কুয়েতসহ বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, বিপুলসংখ্যক শ্রমিক চাকরি হারাতে পারেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগেই এই প্রাদুর্ভাব হানা দিয়েছিল সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইতালিসহ আরও নানা দেশে। যেখানে বহু বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করেন।তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে, সামনের দিনগুলোয় অভিবাসীদের ফেরত আসার এই স্রোত আরও বাড়বে। ওই দেশগুলোয় বছরের শুরুর দিকেই লকডাউন শুরু হওয়ায় বেকায়দায় পড়ে যান প্রবাসী শ্রমিকরা। বিশেষ করে যারা অবৈধভাবে আছেন, তাদের এখন জোর করে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার বৈধ শ্রমিকদের অনেককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কাজের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও বেশিরভাগের সেটি নবায়ন করা হচ্ছে না। আবার চুক্তির মেয়াদ যাদের আছে, তাদের অনেককেই ছুটির নামে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।অভিবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দুটি পর্যায়ে সরকারের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন প্রবাসীদের বেসরকারি সংস্থা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) চেয়ারম্যান তাসনিম সিদ্দিকী।